আবার কি উঠবে ‘অ্যাভাটার’–ঝড়

‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’-এর দৃশ্য। ছবি: আইএমডিবি

‘অ্যাভাটার’-এর গল্পটা সেই নব্বইয়ের দশকেই লিখেছিলেন জেমস ক্যামেরন। প্রযুক্তিগত কারণে তখন করা সম্ভব হয়নি। ২০০৯ সালে যখন হলো, তৈরি হলো নতুন ইতিহাস; যেন বদলে গেল বিশ্ব চলচ্চিত্রের ভাষা। এভাবেও গল্প বলা যায়!
ক্যামেরা থেকে প্রযুক্তির ব্যবহার, সঙ্গে অতি অবশ্যই আবেগ; যা পর্দায় তুলে ধরতে বরাবরই মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন পরিচালক। ১৩ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষা পর ২০২২ সালে আসে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সিকুয়েল ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’। গতকাল বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে তৃতীয় কিস্তি ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্স ও ব্লকবাস্টার সিনেমাসেও মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।

প্রায় তিন বছর পর আবার প্যান্ডোরার জগতে ফিরছে ‘অ্যাভাটার’। এই বহুল প্রতীক্ষিত সিকুয়েলের ট্রেলার প্রথম দেখানো হয় গত এপ্রিলে, যুক্তরাষ্ট্রের সিনেমাকন উৎসবে। পরে এটি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়। ট্রেলারে দেখা যায়, এবার নতুন প্রতিপক্ষ ‘অ্যাশ ক্ল্যান’। এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছে ভারাং (ওনা চ্যাপলিন); যারা জেক সালি (স্যাম ওয়ার্থিংটন) ও নেইতিরির (জোয়ি সালডানা) জন্য নতুন হুমকি হয়ে উঠবে।

অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ-এর দৃশ্য। ছবি: আইএমডিবি

এক সাক্ষাৎকারে নির্মাতা জানান, দ্বিতীয় ছবির দর্শক প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে তিনি তৃতীয় ছবিতে কিছু পরিবর্তন এনেছেন। ক্যামেরনের ভাষায়, ‘লো আক (ব্রিটেইন ডাল্টন) চরিত্রটি দর্শকদের কাছে দারুণভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এটা নিয়ে তাই আমাকে ভাবতে হয়েছে।’ এ মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, চরিত্রটি পরবর্তী ছবিগুলোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

ছবির গল্প নিয়ে জেমস ক্যামেরন বলেন, ‘এবার আগুনের প্রতীক হিসেবে থাকবে অ্যাশ পিপল। আমি নাভিদের আরেকটি দিক দেখাতে চাই। কারণ, এখন পর্যন্ত আমি তাদের শুধু ভালো দিকটাই দেখিয়েছি। প্রথম ছবিগুলোতে মানুষকে দেখানো হয়েছে নেতিবাচক রূপে আর নাভিদের দেখানো হয়েছে ইতিবাচক হিসেবে। এবার আমরা উল্টোটা করব।’

জেমস ক্যামেরন। এএফপি

তবে নির্মাতা সতর্ক করে দিয়েছেন, ছবিটি হয়তো অনেক ভক্তের প্রত্যাশার সঙ্গে পুরোপুরি মিলবে না। কারণ, তিনি ছবিটিকে আলাদা করে তুলতে কিছু ‘সাহসী সিদ্ধান্ত’ নিয়েছেন।

আরও পড়ুন

এমপায়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি সাহসী সিদ্ধান্ত না নেন, তাহলে সবার সময় ও টাকা নষ্ট করছেন। শুধু এটুকু সাফল্যের জন্য যথেষ্ট নয়, কিন্তু এটি অপরিহার্য। প্রতিবারই আপনাকে ছক ভাঙতে হবে।’
আগে ‘অ্যাভাটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির আরও কিস্তি মুক্তির কথা শোনা গেলেও ক্যামেরন জানিয়েছেন, ছবিটির ফল দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। ভ্যারাইটিকে নির্মাতা আরও জানিয়েছেন, শিগিগরই নতুন ‘টার্মিনেটর’ সিনেমার কাজও শুরু করবেন। তবে নতুন কিস্তিতে আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার থাকবেন না।
৪০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ ছবিটির বড় অংশের শুটিং হয়েছে নিউজিল্যান্ডে।