২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

আন্দোলনকর্মী থেকে অভিনেত্রী

হান্টার শেফার। ছবি: রয়টার্স

অভিনয়ে আসার আগেই পরিচিতি পেয়েছিলেন হান্টার শেফার। ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার ‘দ্য পাবলিক ফ্যাসিলিটিজ প্রাইভেসি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ বা এইচবি২-এর বিরুদ্ধে প্রবলভাবে সোচ্চার ছিলেন তিনি। এই অ্যাক্টের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নিয়েছিলেন তিনি। দুই বছর আইনি লড়াই চালান, ২০১৮ সালে বিলটি বাতিল করা হয়। পরে টিভি সিরিজ আর চলচ্চিত্র দিয়ে তরুণদের মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। সর্বশেষ তিনি আলোচনায় হরর সিনেমা ‘কুকু’ দিয়ে।

হান্টার শেফার ট্রান্সজেন্ডার নারী। নিজের এই পরিচয় নিয়ে শৈশব থেকেই নানা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গেছেন তিনি। পর্দায় তিনি পরিচিতি পেয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার চরিত্রে অভিনয় করে। সেটা ছিল এইচবিওর বহুল চর্চিত সিরিজ ‘ইউফোরিয়া’। তবে কেবল এই একটি কাজই নয়, একের পর এক বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করে অল্প সময়েই ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। তাঁকে আগামীর অন্যতম সম্ভাবনাময় অভিনেত্রী বলেও মনে করছেন সমালোচকেরা।

‘কুকু’ সিনেমায় হান্টার শেফার। আইএমডিবি

‘ইউফোরিয়া’র পর শেফারকে গত বছর দেখা যায় ‘দ্য হান্টার গেমস: দ্য ব্যালাড অব সংবার্ডস অ্যান্ড স্নেকস’ সিনেমায়। চলতি বছর তাঁর দুই কাজই দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে। প্রথমেই বলা যাক ‘কুকু’র কথা।

টিলম্যান সিঙ্গার পরিচালিত এ ছবির পটভূমি আল্পস পর্বতমালা। মাকে হারিয়ে বাবা ও সৎমায়ের সঙ্গে জার্মান আল্পসের এক রিসোর্টে যেতে বাধ্য হয় গ্রেচেন। নিজের ট্রমা ঠিকমতো কাটিয়ে ওঠার আগেই মুখোমুখি হয় অতিপ্রাকৃতিক কিছু ঘটনার। এমন গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে হরর ধাঁচের সিনেমাটি। প্রধান চরিত্রে হান্টার শেফারের দুর্দান্ত অভিনয়, চিত্রনাট্য আর ভিজ্যুয়াল মিলিয়ে প্রশংসিত সিনেমাটির প্রিমিয়ার হয় গত ফেব্রুয়ারিতে, বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে। এরপর গত আগস্ট মাসে মুক্তি পায় প্রেক্ষাগৃহে।

‘ইউফোরিয়া’তে হান্টার শেফার। আইএমডিবি

অন্যদিকে ‘কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস’ ভিন্ন ধারার ছবি। এটি বানিয়েছেন এ সময়ের অন্যতম আলোচিত নির্মাতা ইয়োর্গস লান্থিমোস। এতে এমা স্টোন, মার্গারেট কোয়ালি, জেসি প্লেমনস, উইলেম ডাফোর মতো তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন শেফার। চলতি বছরের কান উৎসবে পুরস্কারজয়ী এই সিনেমা গত জুন মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এখানেও শেফারের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।

অভিনয়ের প্রথাগত প্রশিক্ষণ নেননি শেফার। নিউইয়র্কে মডেলিং করছিলেন, ইচ্ছা ছিল ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়বেন। তবে ইউফোরিয়া তাঁর ক্যারিয়ারের গতিপথ বদলে দেয়। ডব্লিউ সাময়িকীকে তিনি বলেন, ‘আমি এখন মডেলিং থেকে দূরে সরে এসেছি। অভিনয় বেশি উপভোগ করছি। এখন আমি নতুন নতুন চরিত্রে নিজেকে আবিষ্কার করতে চাই।’

আরও পড়ুন

আন্দোলনকর্মী হিসেবে পরিচিতি পেলেও এই তকমা পছন্দ করেন না শেফার। নিজেকে এখন পুরোদস্তুর অভিনেত্রী মনে করেন। তাঁর ভাষ্যে, ‘আমি এমন একজন যে অল্প বয়সেই পরিচিতি পেয়েছি প্রতিবাদ করে। তবে এখন আমি মন দিয়ে অভিনয়টাই করতে চাই।’
মডেল ও অভিনয় ছাড়া পরিচালনা নিয়েও পরিকল্পনা আছে শেফারের। এরই মধ্যে একটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন।