বিশ্বজুড়ে ‘অ্যাভাটার’–ঝড়, কী আছে আলোচিত এই সিনেমায়
‘অ্যাভাটার’-এর গল্পটা সেই নব্বইয়ের দশকেই লিখেছিলেন জেমস ক্যামেরন। প্রযুক্তিগত কারণে তখন করা সম্ভব হয়নি। ২০০৯ সালে যখন হলো, তৈরি হলো নতুন ইতিহাস, বদলে গেল চলতি শতকের বিশ্ব চলচ্চিত্রের ভাষা। এই স্কেলে গল্প বলা, ক্যামেরা থেকে প্রযুক্তির ব্যবহার আর সঙ্গে অবশ্যই অতি আবেগ, যা পর্দায় তুলে ধরতে বরাবরই মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন পরিচালক।
এরপর এক যুগের বেশি সময় পার হয়েছে, এখনো সর্বকালের সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার অন্যতম ‘অ্যাভাটার’। এতেই অনেকটা আঁচ করা যায় ছবিটির জনপ্রিয়তা। গত শুক্রবার বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্স ও ব্লকবাস্টার সিনেমাসেও মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। নতুন কিস্তি মুক্তি উপলক্ষে জেনে নেওয়া যাক এই ফ্র্যাঞ্চাইজির বিস্তারিত।
চিত্রনাট্য লেখার সময় মনে করি, আমার ছেলেমেয়েরা কৈশোর পার করছে। পরিবারই মানুষের সবচেয়ে বড় জায়গা। কোনো না কোনোভাবে আমার শিল্পের মাধ্যমে সেটি তুলে ধরি। আজকালকার অ্যাকশন সিনেমায় এসব আর দেখা যায় না।
‘অ্যাভাটার’, ২০০৯
২০০৯ সালের ডিসেম্বর মাসে পরিচালক জেমস ক্যামেরন এক নতুন দর্শন নিয়ে হাজির হন। এই সিনেমা কেবল প্রযুক্তিগত দিক থেকে নয়, দর্শকের হৃদয় ও কল্পনার সঙ্গে খেলা করার দিক থেকেও একটি মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়।
‘অ্যাভাটার’ কল্পবিজ্ঞান জগতের ইতিহাসে ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যামেরন দর্শককে এমন একটি জগতে নিয়ে যান, যেখানে আমরা প্যানডোরার সবুজ বন, উজ্জ্বল জলপ্রপাত ও রহস্যময় নক্ষত্রমণ্ডল দেখতে পাই। সিনেমার প্রতিটি দৃশ্য যেন একটি চিত্রকর্ম, যেখানে প্রতিটি পাতার, প্রতিটি আলো ও প্রতিটি প্রাণীর প্রাণবন্ত জীবনের ছোঁয়া রয়েছে।
কাহিনি নায়ক জেক সলির (স্যাম ওয়ারথিংটন) চোখের মধ্য দিয়ে দেখা হয়। তিনি একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত মেরিন সেনা—‘অ্যাভাটার প্রোগ্রাম’–এর মাধ্যমে নাভি জনগোষ্ঠীর দেহে প্রবেশ করেন। জেকের লক্ষ্য ছিল শিল্প কোম্পানির স্বার্থে গ্রহের বিরল খনিজ ‘আয়োটাইট’ সংগ্রহ করা। কিন্তু নাভির সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও সমবেত জীবনের সঙ্গে পরিচয় তাঁকে এক নতুন চেতনার দিকে নিয়ে যায়। এখানেই সিনেমার শক্তি—এটি কেবল ভিজ্যুয়াল আনন্দ নয়, এটি দর্শককে মানবতার মূল্য, প্রকৃতির সুরক্ষা এবং সংস্কৃতির মর্যাদা নিয়ে ভাবায়।
জেমস হর্নার পরিচালিত সাউন্ডট্র্যাক সিনেমার আবহকে আরও গভীর করে তোলে। পার্থ-নাভির রহস্যময় পরিবেশে সংগীত একধরনের জীবনধারার স্পন্দন ছড়িয়ে দেয়।
মুক্তির পর ২৩৭ মিলিয়ন ডলারের বাজেটের সিনেমাটি আয় করে ২ দশমিক ৯২৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি!
‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’, ২০২২
‘অ্যাভাটার’–এর ব্যাপক সাফলের ১৩ বছর পর এর সিকুয়েল নিয়ে হাজির হন জেমস ক্যামেরন। প্রথম পর্ব মুক্তির ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্যের পর ২০১৪ সালের ডিসেম্বরেই সিনেমাটির মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেশ কয়েকটি কারণে এতটা দেরি হয়ে গেল।
প্রথমত, গভীর সমুদ্রের মধ্যে সিনেমাটির শুটিং করা হয়েছে, সমুদ্রের যথাযথ লোকেশন খুঁজতে গিয়ে কয়েক বছর কেটে যায়। পুরো চিত্রনাট্য লিখেও বহুবার বদলাতে হয়। এ ছাড়া ছিল প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, বেশ কিছু নতুন প্রযুক্তি কেবল এই সিনেমার জন্যই আবিষ্কৃত হয়েছে! এরপর শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয় কোভিড, ফল আরও কয়েক বছরের বিলম্ব।
সিকুয়েলটি মূলত নাভির জলজ প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর কেন্দ্রিত। সিনেমার শুরুর মুহূর্ত থেকেই দর্শক পানির নান্দনিক ও রহস্যময় পৃথিবীতে প্রবেশ করেন। নায়ক জেক সলি (স্যাম ওয়ারথিংটন) ও তার পরিবার নেইতিরির (জোয়ি সালদানা) সঙ্গে নতুন প্রজন্মের সন্তানেরা কেন্দ্রে। তারা নাভি সমাজের শান্তি রক্ষা করতে, মানব–আগ্রাসনের বিরুদ্ধে; তাদের পরিবারের নিরাপত্তা রক্ষা করতে যুদ্ধ করে। এই গল্প শুধু যুদ্ধে সীমাবদ্ধ নয়; এটি পারিবারিক বন্ধন, সাহস আর মানবিক চেতনার এক অদ্ভুত মিশেল।
ছবিতে জেক সলির চরিত্রে আগেরবারের মতোই ছিলেন স্যাম ওয়ার্দিংটন। এ ছাড়া আগের কিস্তির জোয়ি সালদানা, সিগুর্নি ওয়েভার, স্টিফেন লাংরাও ছিলেন। নতুন যুক্ত হয়েছেন ক্লিফ কার্টিস, মিতকানিয়া গোত্রের নেতা তনোয়ারির চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। আছেন ক্যামেরনের প্রিয় পাত্রী কেট উইন্সলেট, তাঁকে দেখা যায় রোনাল চরিত্রে। এ ছাড়া এবার দেখা যাবে এডি ফ্যালকো, জেমি ফ্ল্যাটার্স, ব্রেনডন কাউওয়েলকে।
‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ মুক্তির পর বক্স অফিসে বড় সাফল্য পায়। ৩৫০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের সিনেমাটি আয় করে ২ দশমিক ৩৪৩ বিলিয়ন ডলার।
‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’
আগের কিস্তির মতো এই সিনেমার কেন্দ্রেও সলি পরিবার। আগের পর্বে নেটেয়ামের মৃত্যু তাদের জীবনে গভীর দাগ রেখে গেছে। সেই শোক, সেই লড়াই, তার মধ্যেই আসে নতুন বিপদ। ট্রেলারে দেখা যায়, এবার নতুন প্রতিপক্ষ ‘অ্যাশ ক্ল্যান’। এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছে ভারাং (ওনা চ্যাপলিন); যারা জেক সালি (স্যাম ওয়ার্থিংটন) ও নেইতিরির (জোয়ি সালদানা) জন্য নতুন হুমকি হয়ে উঠবে।
জেমস ক্যামেরন নতুন সিনেমাটি নিয়ে বলেন, ‘দর্শকেরা দেখবেন, সন্তানেরা বড় হয়ে নিজেদের পরিচয় খুঁজছে। কারণ, তাদের মা পুরোপুরি নাভি প্রজাতির। আর বাবা অন্য গ্রহ থেকে আসা। এই সংকর জীবন তাদের হাসি-আনন্দের সঙ্গে একঝাঁক চ্যালেঞ্জও নিয়ে আসে। আমরা মূলত শরণার্থী বা বাস্তুচ্যুত অভিবাসীদের পারিবারিক অবস্থাকে দেখানোর চেষ্টা করেছি। মানুষ এটি দেখে সহজেই বাস্তবতার সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।’
‘অ্যাভাটার’ সিনেমা মানেই প্রযুক্তির এক বিশাল চমক। এর সিনেমাটোগ্রাফি, অ্যানিমেশন বা কারিগরি—সবকিছুতেই থাকে নতুনত্বের ছোঁয়া। কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না, এই সিনেমার সংগীত বা মিউজিকের ক্ষেত্রেও ঠিক একই কথা প্রযোজ্য।
সুরকার সাইমন ফ্র্যাংলেন জানান, এবারের সিনেমার কাজ শেষ করতে তার দীর্ঘ সাত বছর সময় লেগেছে। এই দীর্ঘ যাত্রায় তিনি ১ হাজার ৯০৭ পাতার অর্কেস্ট্রা স্কোর বা স্বরলিপি লিখেছেন। এমনকি ভিনগ্রহের কাল্পনিক জগৎ ‘প্যান্ডোরা’র বাসিন্দাদের বাজানোর জন্য তিনি সম্পূর্ণ নতুন বাদ্যযন্ত্রও আবিষ্কার করেছেন।
৪০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ ছবিটির বড় অংশের শুটিং হয়েছে নিউজিল্যান্ডে।
কী বলছেন নির্মাতা আর শিল্পীরা
‘অ্যাভাটার’–এর নতুন কিস্তির মুক্তি উপলক্ষে বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নির্মাতা জেমস ক্যামেরন আর অভিনয়শিল্পীরা। নির্মাতা জানান, দ্বিতীয় ছবির দর্শক–প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে তিনি তৃতীয় ছবিতে কিছু পরিবর্তন এনেছেন। ক্যামেরনের ভাষায়, ‘লো আক (ব্রিটেইন ডাল্টন) চরিত্রটি দর্শকদের কাছে দারুণভাবে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। এটা নিয়ে তাই আমাকে ভাবতে হয়েছে।’ এ মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, চরিত্রটি পরবর্তী ছবিগুলোয় আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
ছবির গল্প নিয়ে জেমস ক্যামেরন বলেন, ‘এবার আগুনের প্রতীক হিসেবে থাকবে অ্যাশ পিপল। আমি নাভিদের আরেকটি দিক দেখাতে চাই। কারণ, এখন পর্যন্ত আমি তাদের শুধু ভালো দিকটাই দেখিয়েছি। প্রথম ছবিগুলোয় মানুষকে দেখানো হয়েছে নেতিবাচকভাবে আর নাভিদের দেখানো হয়েছে ইতিবাচক হিসেবে। এবার আমরা উল্টোটা করব।’
তবে নির্মাতা সতর্ক করে দিয়েছেন, ছবিটি হয়তো অনেক ভক্তের প্রত্যাশার সঙ্গে পুরোপুরি মিলবে না। কারণ, তিনি ছবিটিকে আলাদা করে তুলতে কিছু ‘সাহসী সিদ্ধান্ত’ নিয়েছেন। এমপায়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি সাহসী সিদ্ধান্ত না নেন, তাহলে সবার সময় ও টাকা নষ্ট করছেন। শুধু এটুকু সাফল্যের জন্য যথেষ্ট নয়, কিন্তু এটি অপরিহার্য। প্রতিবারই আপনাকে ছক ভাঙতে হবে।’
জোয়ি সালদানা যখন প্রথম ‘অ্যাভাটার’-এর নায়িকা নেইতিরি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তখন তাঁর বয়স কেবল ২০–এর কিছুটা বেশি। আজ ৪৭ বছর বয়সে, তিনি ফিরে এসেছেন তৃতীয় সিনেমা ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ নিয়ে।
সালদানা ভোগ সাময়িকীকে বলেন, ‘এই সিনেমার মূল ভাবনা হলো একটি পরিবার কীভাবে শক্তিশালী থাকতে পারে এবং বড় ক্ষতির পরেও হাসতে ও ভালোবাসতে শিখতে পারে। আগুন হলো ঘৃণা, রাগ, হিংসার প্রতীক; আর ছাই হলো শোক ও ক্ষতির পরবর্তী অবস্থা। এই সিনেমা মূলত সেই ভাঙা চক্রের কথা বলে—নেটিয়ামের মৃত্যুর পর নেইতিরি ঘৃণার আগুনে দগ্ধ হয়—সে গল্পই এবার উঠে এসেছে।’
নেইতিরির শোক ও ঘৃণার মিশ্রণকে পর্দায় প্রকাশ করা ছিল সালদানার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। তিনি বলেন, ‘সে আগে ভাবে না, অনুভব করে। তাই সে হৃদয় দিয়ে রাজত্ব করে। তার ব্যথা ও রাগ শরীরের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়—এ ধরনের শারীরিক অভিব্যক্তি ছিল আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জের।’
সালদানা বিশ্বাস করেন, এই অভিনয় সম্ভব হয়েছে তাঁর সহকর্মী ও ক্রুদের নিরাপদ সমর্থনের কারণে। ‘যখন সত্যিই ক্লান্তি বা শূন্যতা আসে, তখন আমি তা জিম, স্যাম বা স্টিফেনকে জানাতে পারি। এমন কাজ করতে হলে আপনাকে নিরাপদ পরিবেশে থাকতে হবে এবং আপনার চারপাশের মানুষদের বিশ্বাস করতে হবে,’ বলেন তিনি।
আরও কিস্তি কী আসবে
দ্বিতীয় কিস্তি মুক্তির বছর কয়েক আগেই আরও তিন কিস্তির ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন পরিচালক। জানিয়েছিলেন, চতুর্থ ও পঞ্চমটি মুক্তি পাবে যথাক্রমে ২০২৬ ও ২০২৮ সালে। ক্যামেরন বলেছিলেন, ‘সব কটিরই চিত্রনাট্য লেখা শেষ, ঘটনাক্রম থেকে শুরু করে সিনেমায় কী দেখাব, সেটা পুরোপুরি তৈরি।’
তবে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ মুক্তির আগে তিনি বলছেন ভিন্ন কথা। ক্যামেরন জানিয়েছেন, ছবিটির ফল দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। ভ্যারাইটিকে নির্মাতা আরও জানিয়েছেন, শিগগিরই নতুন ‘টার্মিনেটর’ সিনেমার কাজও শুরু করবেন। তবে নতুন কিস্তিতে আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার থাকবেন না।
কী বলছেন সমালোচকেরা
মুক্তির সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’; ব্যবসা করছে, তবে তা ঠিক ‘অ্যাভাটার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির আগের সিনেমাগুলোর মতো নয়। সমালোচকেরা বলছেন, এ সিনেমা খারাপ নয়, তবে চমকে দেওয়ার মতো কিছু নেই। অনেক কিছুই আগে থেকে অনুমেয়।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান সিনেমাটি নিয়ে লিখেছে, ‘জেমস ক্যামেরনের মহাকাব্যিক ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় অধ্যায়ের ভিজ্যুয়াল আর অ্যাকশন দৃশ্য যেমন অভূতপূর্ব, কিন্তু এটি দর্শককে আবেগগত গভীরতায় ততটা ছুঁতে পারেনি। মানুষের চরিত্রগুলো প্রায় কখনো বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খায় না, যা কিছুটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা দেয়।’
টাইম সাময়িকী সিনেমাটির রিভিউয়ে লিখেছে, ‘ক্যামেরনের নির্মাণশৈলী এখনো নজরকাড়া। নাভিরা আগের মতোই লম্বা নীল দেহ, ঝিলমিলানো চেহারার ব্রণ এবং প্রকাশক কানগুলোসহ দর্শকের চোখে প্রাণবন্ত। ৩ ঘণ্টা ১৭ মিনিটের সিনেমার প্রতিটি ফ্রেমে বিলিয়ন বিলিয়ন পিক্সেলের মাধ্যমে তৈরি বিশদ ডিজিটাল বিশ্ব দেখতে পাওয়া যায়। তবে এই উচ্চপ্রযুক্তির জগৎ মাঝেমধ্যে ক্লান্তিকর হয়ে ওঠে।’
টাইম আরও লিখেছে, সিনেমার মূল থিম আগের কিস্তির মতোই—মানুষের লোভ ও প্রকৃতির ধ্বংস নিয়ে। ‘আগুন ও ছাই’ এখানে প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে ঘৃণা, রাগ ও শোককে দেখাতে। তবে কাহিনি অনেকাংশে আগের সিনেমার পুনরাবৃত্তি, নতুন কিছু দিতে ব্যর্থ।
ভ্যারাইটি, ভোগ, দ্য গার্ডিয়ান, পিপলডটকম, আইএমডিবি অবলম্বনে