শ্যালামে কি ডিক্যাপ্রিও হবেন

টিমোথি শ্যালামে। রয়টার্স

আলোচিত টিভি সিরিজ ‘হোমল্যান্ড’ দিয়ে শুরু, তবে টিমোথি শ্যালামে তখন নেহাতই টিনএজার। অল্প বয়সে করা ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ইনস্টারস্টেলার’-এর জন্যও তাঁকে মনে রাখার কারণ নেই। তবে কিশোর বয়সের অভিনয় ক্যারিয়ার দিয়েই বাঘা বাঘা নির্মাতার নজরে পড়েন শ্যালামে, তাঁর মধ্যে ‘এক্স ফ্যাক্টর’ দেখতে পান অনেকেই।

আরও পড়ুন

ফল, গত কয়েক বছরে তরুণ এই অভিনেতা হয়ে উঠেছেন সমীহ জাগানিয়া এক নাম।

টিমোথি শ্যালামে। রয়টার্স

২৮ বছর বয়সেই পেয়েছেন তারকাখ্যাতি, প্রযোজকেরা বুঝেছেন যে শৈল্পিক ঘরানা হোক বা বাণিজ্যিক ঘরানা, সব ধরনের সিনেমায়ই অভিনয়ের দম আছে শ্যালামের, যা দেখে গণমাধ্যমই ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, তিনি হতে যাচ্ছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর মতো বড় তারকা।

তরুণ এই অভিনেতার ক্যারিয়ারের উত্থানের পেছনে বড় অবদান নির্মাতা লুকা গুদানিনোর; ২০১৭ সালে তাঁর ‘কল মি বাই ইয়োর নেম’ দিয়ে সমালোচকদের প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠেন শ্যালামে। সিনেমাটির জন্য অস্কার, বাফটায় সেরা অভিনেতার মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এরপর গ্রেটা গারউগের ‘লেডি বার্ড’, লিটল ওমেন’ দিয়ে আবার আলোচনায় আসেন শ্যালামে। ২০১৮ সালে ফিলিক্স ভ্যান গ্রেনেনজেনের ‘বিউটিফুল বয়’-এও মার্কিন লেখক নিক শেফের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

এর আগে কেবল স্বাধীন ঘরানার সিনেমা দিয়ে সমালোচকদের প্রশংসা পেলেও ডিউন দিয়ে রাতারাতি বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান শ্যালামে। ১ মার্চ সিনেমাটির সিকুয়েল ‘ডিউন ২’ মুক্তির পরও রমরমা ব্যবসা করেছে। এর আগে গত ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়া মিউজিক্যাল সিনেমা ‘ওয়াঙ্কা’ও দারুণ ব্যবসা করেছে। টানা সাফল্যের পর অনেক প্রযোজক-পরিচালকের চোখ তরুণ এই অভিনেতার দিকে।

টিমোথি শ্যালামে। রয়টার্স

অনেক গণমাধ্যম তাঁকে ‘ভবিষ্যতের লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও’ তকমাও জুড়ে দিয়েছে। শ্যালামের নিজেরও পছন্দের অভিনেতা ডিক্যাপ্রিও। তাঁর কাছ থেকে অভিনয়ের পরামর্শও নিয়েছেন। কিছুদিন আগেই নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্যালামে জানান, ডিক্যাপ্রিও তাঁকে দুটি পরামর্শ দিয়েছেন। একটি সুপারহিরো সিনেমায় অভিনয় না করা, আরেকটি মাদক থেকে দূরে থাকা।

সামনেই শ্যালামেকে দেখা যাবে, বব ডিলানের বায়োপিক ‘আ কমপ্লিট আননোন’-এ। সিনেমাটির নির্মাতা জেমস ম্যানগোল্ড।

সিনেমার সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে শ্যালামের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও। কিছুদিন ধরেই কাইলি জেনারের সঙ্গে তাঁর প্রেম আলোচনায়। তবে নিউইয়র্ক টাইমস–এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কাইলি জানিয়েছেন, তাঁরা ব্যক্তিগত জীবন ব্যক্তিগতই রাখতে চান।

কিছুদিন আগে আবার শ্যালামে ও কাইলির বিচ্ছেদের খবরও শোনা গেছে। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে তাঁদের একসঙ্গে প্রকাশ্যে দেখাও যায়নি। কিন্তু আসলেই তাঁদের মধ্যে কী হয়েছে, আপাতাত জানার উপায় নেই।