বাবা চাননি ডাকোটা অভিনয়ে আসুক

ডাকোটা জনসন। রয়টার্স

বাবা চাননি ডাকোটা জনসন অভিনয়শিল্পী হন। খবরটি অনেকের কাছে বিস্ময়ের হতে পারে। কারণ, অভিনেত্রীর মা-বাবা দুজনেই চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত। তারপরও কেন তাঁরা চাননি, ডাকোটা অভিনয়ে আসুক। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে টক শো ‘লেট নাইট উইথ সেথ মেয়ার্স’-এ কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

আরও পড়ুন

ডাকোটার বাবা ডন জনসন অভিনেতা, প্রযোজক ও গায়ক। মা মেলানি গ্রিফিথও অভিনেত্রী। তারপরও তাঁরা চানানি, তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ডাকোটা অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ুক। এমনকি ডাকোটার হাতখরচও তাঁরা বন্ধ করে দেন। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘বাবা আমার সঙ্গে এক রকম যোগাযোগই বন্ধ করে দেন।’ বলেন, ‘যদি আমি কলেজে যাই তাহলে হাতখরচ পাব। তবে যদি আমি অভিনেত্রী হতে যাই, তবে নিজের খরচ নিজেকেই ব্যবস্থা করতে হবে।’

এরপর বাবার কথা উপেক্ষা করেই মডেলিং শুরু করেন ডাকোটা জনসন। মডেলিংয়ের আয় থেকেই ঘরভাড়া দিতেন। এত কষ্ট করেছেন কারণ অভিনেত্রী হতে মরিয়া ছিলেন ডাকোটা। বাবার সমর্থন না পেলেও মাকে পাশে পেয়েছেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘এমনও সময় গেছে যখন আমি বাজার করার সামর্থ্য ছিল না। এ রকম কঠিন সময়ে মা সাহায্য করেছেন। তিনি আমাকে না করেন না।’

ডাকোটা জনসন। রয়টার্স

তারকাদের পুত্র-কন্যা হলেও চলে আসে স্বজনপ্রীতি প্রসঙ্গ। তবে পরিবারের সমর্থন ছাড়াই নিজে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তাই তাঁকে কেউ স্বজনপ্রীতি নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রচণ্ড বিরক্ত হন ডাকোটা।

এদিকে ১৪ ফেব্রুয়ারি বড় পর্দায় মুক্তি পাবে ডাকোটা অভিনীত নতুন সিনেমা ম্যাডাম ওয়েব। এ সিনেমা দিয়েই মার্ভেলের দুনিয়ায় প্রবেশ করছেন অভিনেত্রী। সুপারহিরো এ সিনেমায় ডাকোটাকে দেখা যাবে ‘ম্যাডাম ওয়েব’ চরিত্রে।

সিনেমাটিতে কাজ করার অভিনেতা নিয়ে এন্টারটেইনমেন্ট উইকলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডাকোটা বলেন, ‘আমি এ ধরনের (সুপারহিরো সিনেমা) সিনেমায় আগে অভিনয় করিনি। এটা যথেষ্ট কষ্টকর প্রক্রিয়া। পুরোটা সময় মানসিক চাপের মধ্যে ছিলাম। জানি না, ভালো নাকি মন্দ হয়েছে। আশা করি, নিজের কাজটা ঠিকঠাকমতো করতে পেরেছি।’

এস জে ক্লার্কসন পরিচালিত সিনেমাটিতে ডাকোটা জনসন ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন সিডনি সুইনি, ইসাবেলা মেকরেড প্রমুখ।