আমাজনের অগ্নিকাণ্ড পোড়াচ্ছে হলিউডকে

আমাজন বনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বিগ্ন হলিউডের তারকারা
আমাজন বনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বিগ্ন হলিউডের তারকারা

এক দশকের ভেতর সবচেয়ে ভয়াবহভাবে পুড়ছে আমাজন। প্রতিবছর আমাজনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই দুর্ঘটনা কেবল বেড়েই চলছে। শুধু চলতি বছর জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে আমাজনে ৭৫ হাজারেরও বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমাজনের প্রায় ৬০ শতাংশ ব্রাজিলে অবস্থিত। অগ্নিকাণ্ডের কারণে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় প্রদেশ আমাজোনাসে এরই মধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

এ অবস্থায় হলিউড তারকারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরেছেন তাঁদের আশঙ্কা আর উদ্বিগ্নতা। উদ্দেশ্য, এমন একটি ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাজন বনের অগ্নিকাণ্ডের অসংখ্য ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে, যার বেশির ভাগই আগের অগ্নিকাণ্ডের বা আমাজনের না। সাধারণ মানুষদের মতো তারকারাও পুরোনো ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন উদ্বেগ আর সহমর্মিতা। অভিনেতা ও পরিবেশবাদী লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও একটি ছবি প্রকাশ করেছেন, যেখানে আমাজনের একটা বড় অংশ দেখা যাচ্ছে। যার অর্ধেক সবুজ আর বাকিটা ধোঁয়া। ব্রাজিলের জনপ্রিয় মডেল, অভিনয়শিল্পী ও পরিবেশবাদী জিজাল বানচেনও একই ছবি পোস্ট করেছেন।

বার্তা সংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, ছবিটি ২০১৮ সালে তাঁদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল। আর এই ছবি মূলত ২০০৩ সালে ‘ফরেস্ট ফেয়ার’ থেকে নেওয়া। সিএনএন আরও জানিয়েছে, ছবিটা চলমান অগ্নিকাণ্ডের জন্যও সমান প্রাসঙ্গিক। গত তিন বছরের তুলনায় আমাজনে অগ্নিকাণ্ডের হার শতকরা ৮০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাস্টিন বিবার, জ্যাডেন স্মিথ এবং ইউটিউবার লোকান পল যে তিনটি ছবি ব্যবহার করেছেন, সেগুলোর কোনোটাই এই অগ্নিকাণ্ডের নয়। এই ছবিগুলো ২০০৭ সালে দ্য গার্ডিয়ান প্রকাশ করেছিল। ছবিগুলো আসলে ১৯৮৯ সালের, দ্য ব্রিটিশ পত্রিকার। তবে এগুলোও আমাজন বনের অগ্নিকাণ্ডের ছবি।

এক নজরে দেখা যাক, আমাজন বনের চলমান ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ে হলিউডের তারকারা কী বললেন—

লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও


লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও
আমার প্রিয় ব্রাজিল! উঠে দাঁড়াও এবং বন উজাড়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও। আমরা যে নিশ্বাস নিই, এর শতকরা ২০ ভাগ অক্সিজেন আসে আমাজন থেকে। এই বন পৃথিবীর ফুসফুস। টানা ১৬ দিন ধরে আমাজন পুড়ছে। আর কোনো আন্তর্জাতিক মিডিয়ার তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই! কেন?

শাকিরা
শাকিরা


শাকিরা
আমাদের ঘরবাড়ি, বন আর সবুজকে বাঁচাতে হবে। আমাজন আমাদের। আমাদের সবার।

জাস্টিন বিবার
জাস্টিন বিবার


জাস্টিন বিবার
আমাজন পুড়ছে। এটাই পৃথিবীর অক্সিজেনের সবচেয়ে বড় উৎস। এই ভয়াবহ ঘটনা সবাই ছড়িয়ে দিন, সবখানে।

সালমা হায়েক
সালমা হায়েক


সালমা হায়েক
আমাকে ট্যাগ করে যাঁরা আমাজনের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে লিখেছেন, ছবি শেয়ার করেছেন বা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আপনারা আমার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ব্যবহার করেছেন। আমি আপনাদের চিৎকার শুনতে পেয়েছি। আপনাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমাজনের এই ভয়ংকর সময়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের ফুসফুসকে বাঁচাতে হবে। ব্রাজিল এবং পেরু, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি।

জিজাল বানচেন
জিজাল বানচেন


জিজাল বানচেন
বিশ্বের জলবায়ুতে আমাজনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমাজন পুড়ছে, কিন্তু আমরা তো চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারি না। শত বছরে প্রকৃতি যা গড়েছে, এই অগ্নিকাণ্ড নিমেষেই সব খেয়ে ফেলছে। আমাদের মঙ্গলের জন্য, বিশ্বের মঙ্গলের জন্য এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড থামাতে হবে।