চীনা কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ জ্যাকি চ্যানের

জ্যাকি চ্যান

চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জ্যাকি চ্যান। গত সপ্তাহে বেইজিংয়ের একটি সিম্পোজিয়ামে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন মার্শাল আর্ট তারকা। সবে শতবর্ষে পা রেখেছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি। দেশজুড়ে চলছে উৎসব। এই উৎসবের আবহেই পার্টিতে যোগদানের কথা জানালেন জ‍্যাকি। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) একটি বিশেষ শাখা আছে, যেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের পেশাদার লোকজন আছেন।

জ্যাকি চ্যান

সেখানে পার্টির শত বছর পূর্তিতে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের দেওয়া বক্তব্য সম্পর্কে আলোচনা চলছিল। ওই অনুষ্ঠানেই সিপিসিতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন জ্যাকি।

জ্যাকি চ্যান

২০১৯ সালে চীনা আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী তরুণেরা। তাঁদের বিক্ষোভকে প্রতিহত করতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল বেইজিং। সবাই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও তখন বিপরীতে হেঁটে সিপিসির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন জ‍্যাকি চ্যান। তাঁর দাবি ছিল, এটা বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে চক্রান্ত। এ সময় বিশ্বজুড়ে তাঁর ভূমিকার সমালোচনা হয়।

জ্যাকি চ্যান

সোমবার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চীনা ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান জ্যাকি চ্যান সিপিসিতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী চ্যান বলেন, ‘আমি সিপিসির বিশালতা দেখতে পাচ্ছি। এই দল যা বলে, তা করে দেখায়। ১০০ বছরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাত্র কয়েক দশকেই করে ফেলে। আমি সিপিসির সদস্য হতে চাই।’

২০১৩ সাল থেকে নিজেকে কমিউনিস্টপন্থী বলে ঘোষণা করেছেন জ্যাকি চ্যান। কমিউনিস্ট পার্টি মনোনীত উপদেষ্টা সংস্থা, চীনা পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটিভ কনফারেন্সের (সিপিসিসি) সদস্য হলেও সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নেননি। ২০২১ সালে হংকংয়ের নির্বাচনী সংস্কারের পরে জ্যাকি চ্যান একটি নির্বাচন কমিটির সদস্যও হয়েছেন।

জ্যাকি চ্যান

জ্যাকি চ্যান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘অনেক দেশ ঘুরেছি। কিন্তু আমি বলতে পারি, এই সময়ে আমার দেশ সবচেয়ে দ্রুত বিকশিত হয়েছে। চীনা হওয়ায় আমি গর্বিত এবং যেখানেই যাই না কেন, পাঁচ তারকাখচিত লাল পতাকা বিশ্বের সব জায়গায়ই শ্রদ্ধা পাচ্ছে। হংকং ও চীন দুটিই আমার জন্মভূমি ও বাড়ি। চীন আমার দেশ। আমি আমার বাড়িকে ভালোবাসি। আমার দেশকেও ভালোবাসি।’

জ্যাকি চ্যান