বছর তিন হলো নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছেন ‘ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো’ ওরফে জনি ডেপ। লকডাউনে এই তারকা যোগ দিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। সম্প্রতি সেখানেই জানালেন দুঃসংবাদ। ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্ট’ সিরিজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে জনিকে। সিরিজে কালো জাদুকর গিলার্ট গ্রিন্ডেলওয়ার্ল্ড চরিত্রে তাঁকে আর দেখা যাবে না।
গত শুক্রবার অভিনেতা, প্রযোজক ও সংগীতশিল্পী জনি ডেপ ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘ওয়ার্নার ব্রোস আমাকে “ফ্যান্টাস্টিক বিস্ট” সিরিজ থেকে সরে যেতে বলেছে। আমি তাঁদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে একমত হয়েছি।’ জনি ডেপের এই ঘোষণায় দুঃখ পেয়েছেন ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে ‘হ্যাশট্যাগ জাস্টিস ফর জনি ডেপ’ আন্দোলন। ভক্তরা লিখেছেন, ‘আমরা জানি, জনি ডেপের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা।’ তাঁদের প্রত্যুত্তরে জনি লিখেছেন, ‘আমি জানি, আপনারা আমার পাশে ছিলেন, আছেন আর থাকবেন। বিশেষ করে গত কয়েক বছরে আপনাদের নিঃস্বার্থ সমর্থন আমাকে শক্তি জুগিয়েছে। যুদ্ধের ময়দানে উঠে দাঁড়াতে অনুপ্রাণিত করেছে।’ জনি ডেপও চান না, সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের মামলায় তাঁর ব্যক্তিগত জীবন আর ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হোক। তাই তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন।
কয়েক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক মিডিয়া ফলাও করে প্রকাশ করে আসছে জনি ডেপ ও তাঁর সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের আইনি যুদ্ধের কাহিনি। গায়ে হাত তোলার অভিযোগে জনির বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছেন অ্যাম্বার। এরপর অ্যাম্বারও যে জনির গায়ে হাত তুলেছেন, সেই অডিও টেপ ফাঁস হয়ে যায়। যদিও এসব নিয়ে টুঁ–শব্দটি করেননি জনি। বছরের পর বছর ধরে মামলা চালাতে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢেলেছেন। অন্যদিকে একের পর এক হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে বড় বড় সব সিনে-সিরিজের কাজ।
ওয়ার্নার ব্রোসের মুখমাত্র অল্প কথায় জানিয়েছে, ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্ট থ্রি’র প্রি প্রোডাকশন চলছে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা শুটিং শুরু করবেন। গিলার্ট গ্রিন্ডেলওয়ার্ল্ডের জন্য নতুন চরিত্র খুঁজছেন তাঁরা। ২০২২–এর গ্রীষ্মে ছবিটি মুক্তি পাবে।
২০১৬ সালে মুক্তি পায় এই সিরিজের প্রথম ছবি ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্ট অ্যান্ড হোয়্যার টু ফাইন্ড দেম।’ দেড় শ কোটি টাকা খরচ করে বানানো এ ছবিটি আয় করেছিল প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। পরের ছবি ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্ট: দ্য ক্রাইমস অব গ্রিন্ডেলওয়ার্ল্ড’ মুক্তি পায় ২০১৮ সালে। এটিও বক্স অফিসে প্রায় একই রকম সাফল্য বয়ে আনে।