তারকাখ্যাতি টানছে না, মাতৃত্বই জোলির প্রথম প্রাধান্য

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
ইনস্টাগ্রাম

অস্কারজয়ী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ছয় সন্তানের মা। আর এ মুহূর্তে মাতৃত্বই তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়। সন্তানদের দেখভালের জন্য হলিউডের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তাঁর। বলেছিলেন, ক্যামেরার সামনে আর নয়, কাজ করবেন পেছন থেকে। এখন ছবি পরিচালনার সময়ও নেই হাতে। সব সময় তুলে রেখেছেন সন্তানদের জন্য। তাদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য, শপিং করার জন্য। তারকাখ্যাতি এখন আর টানছে না তাঁকে। সন্তানদের একটা স্বাভাবিক জীবন দেওয়ার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করছেন তিনি।
জোলি তাঁর প্রথম সন্তান ম্যাডক্সকে দত্তক নিয়েছিলেন ২০০২ সালে, কম্বোডিয়া থেকে।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
ইনস্টাগ্রাম

এই ‘বড় ছেলে’র বয়স এখন ১৯। দক্ষিণ কোরিয়ায় সিউলের ইওনসেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন তিনি। ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে এসে খুব মন খারাপ ছিল তাঁর। প্যাক্সকে দত্তক নেওয়া ভিয়েতনাম থেকে। জাহরার জন্ম সিরিয়ায়, সেখান থেকেই জোলি দত্তক নেন তাকে। এরপর তিনি জন্ম দেন শিলোহ ও যমজ সন্তান নক্স আর ভিভিয়েনকে। সবচেয়ে ছোট দুজনের বয়স ১৩। ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে যাওয়ায় মন ভালো নেই জোলির। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৪৫ বছর বয়সে এসে আবারও সন্তান দত্তক নেবেন তিনি। সে জন্য খোঁজখবরও নিচ্ছেন।

লকডাউন শিথিল হওয়ার পর গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকবার জোলিকে দেখা গেছে সন্তানদের হাত ধরে শপিং করতে। কখনো রাস্তায়, কখনো দোকানে।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
ইনস্টাগ্রাম

একটি অস্কার ও তিনটি গোল্ডেন গ্লোবজয়ী এই অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ এক সূত্র হলিউড রিপোর্টারকে জানিয়েছে, এই মুহূর্তে জোলির সব মনোযোগ তাঁর ছয় সন্তানের দিকে। আর কোনো কিছুই টানছে না তাঁকে। জোলি চান, তাঁর সন্তানেরা যেন একটা স্বাভাবিক জীবন পায়। অন্য শিশুরা যেসব অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে বড় হয়, জোলি চান, তাঁর সন্তানেরাও সেসবের ছোঁয়া পাক। জাহারা (১৬) আর শিলোহ (১৪) এখন কিশোরী। জোলি এই বয়সের মেয়েদের মন বুঝতে চান। প্রয়োজনে সন্তানদের নিয়ে তিনি চলে যাবেন অন্য কোথাও।
১৯৯৬ সালে অভিনেতা জনি লি মিলারকে বিয়ে করেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। দ্বিতীয়বার তিনি বিয়ে করেন অভিনেতা বিলি বব থরটনকে, ১৯৯৯ সালে। সবশেষ ২০১৪ সালে ব্র্যাড পিটকে বিয়ে করে সংসারী হন জোলি। কিন্তু তা-ও ভেঙে যায় ২০১৬ সালে।