তারকাদের বাবারাও ছিলেন তারকা

জন অ্যানিস্টন তখন অপেরার অভিনেতা। মেয়ে জেনিফার অ্যানিস্টনও অপেরাতে একটু-আধটু অভিনয় করতেন। অপেরার সেই খুদে শিল্পীই একদিন হয়ে গেলেন হলিউড তারকা। গতকাল ছিল বাবা দিবস। এই দিনে জানা গেল, এ রকম অনেক তারকার বাবারাও ছিলেন তারকা। বাবার সঙ্গে অনেকেই ছবি শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

এমন ভাগ্য কজনার হয় যে ক্যারিয়ারের প্রথম রেড কার্পেটে সঙ্গে থাকেন বাবা! সেই ভাগ্যবতী হলেন হেইলি বল্ডউইন। অভিনেতা ও পরিচালক বাবা স্টিফেন বল্ডউইনের সঙ্গে প্রথম রেড কার্পেটে উঠেছিলেন হেইলি। হলিউড অভিনেত্রী ড্রিউ ব্যারিমোরের বাবা জন ড্রিউ ব্যারিমোরও অভিনেতা। তাঁরও বাবা, মানে ড্রিউ ব্যারিমোরের দাদা জন ব্যারিমোরও অভিনেতা ছিলেন।

অভিনেত্রী ডাকোটা জনসনের পরিবারে ছিল এক মজার নিয়ম। স্কুল বা কলেজে পড়লে পাওয়া যেত হাতখরচ। স্কুল নেই তো হাতখরচও নেই। স্কুলের পাঠ চুকাল। বাবা বললেন, ‘কোনো কলেজ দেখেছ?’

ডাকোটা জানালেন, আর পড়তে চান না। বাবা বললেন, ‘হাতখরচ চালাতে পারবে?’ ডাকোটার উত্তর ছিল, ‘সেটা নিয়ে তুমি ভেবো না।’ এর তিন সপ্তাহ পর ডেভিড ফিঞ্চারের দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ছবিতে সুযোগ পেয়ে যান ডাকোটা। তাঁর বাবা ডন জনসনও কিন্তু বিনোদন অঙ্গনেরই মানুষ। তিনি একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, গায়ক ও গীতিকার।

অস্কার, বাফটা ও গোল্ডেন গ্লোবজয়ী অভিনেতার মেয়েও জাঁদরেল অভিনেত্রী হবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির বাবা জন ভোয়েট হলিউডের নামকরা অভিনেতা ছিলেন। কজনের নামই–বা বলা গেল! হলিউডের এমন আরও অনেক তারকা আছেন, যাঁদের আলোয় বাবাদের খ্যাতি অনেকটাই আড়াল হয়ে গেছে। কিন্তু তাঁরাও মাতিয়ে রেখেছিলেন হলিউডের রুপালি পর্দা। সূত্র: পিপল