দাদা নয়, বাবা

কনিষ্ঠ কন্যা ক্যারিসের গ্র্যাজুয়েশন সমাপনী অনুষ্ঠানে গিয়ে মহা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলেন মাইকেল ডগলাস। ‘বেসিক ইন্সটিঙ্কট’ ছবির এই অভিনেতা বলেন, ‘খুশি মন নিয়েই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম। মেয়ের সাফল্যে বেশ গর্বই হচ্ছিল। বাইরে বেরোতেই আরেক বাচ্চার অভিভাবক বলে বসল, অভিনন্দন, নাতনিকে নিয়ে তুমি নিশ্চয়ই গর্বিত? আমি বললাম, আমি নিশ্চিত নই। ব্যাপারটাকে তেমন গায়ে লাগাইনি।’

ক্যাথরিন জেটা-জোনস, ক্যারিস ডগলাস ও মাইকেল ডগলাস। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন টেলিভিশন টক শো দ্য কেলি ক্লার্কসন শোয়ে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে গিয়ে সম্প্রতি নিজেই হেসে খুন এই অভিনেতা। আসলেই তো, ৭৬ বছর পেরোনো মাইকেলকে দেখে কে বলবেন তিনি মেয়েটির দাদা নন, বাবা।

মাইকেল ডগলাস ও ক্যাথরিন জেটা-জোনসের সংসারে দুই সন্তান। মেয়ে বড় হয়ে যাচ্ছেন বলে তাঁরা একটু চিন্তিতও বটে। ইতিমধ্যে বড় ছেলে ২০ বছরের ডিলান তাঁর পরিবারের সঙ্গে আলাদা থাকতে শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাড়িটা আবার খালি হয়ে যাবে। বিষয়টি যদিও চিন্তার, তবু স্ত্রীকে বলেছি, খারাপ হবে না, তুমি আর আমি আবারও একা।’

১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের এক চলচ্চিত্র উৎসবে ডগলাস ও জেটা-জোনসের পরিচয়। ২০০০ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। ২০১৮ সালে এক সাক্ষাৎকারে তাঁদের কন্যা ক্যারিস জানান, মা-বাবার খ্যাতির প্রভাবে আবিষ্ট থাকেন তিনি। অথচ বাবাকে তাঁর অভিনেতা নয়, প্যান কেক কারিগর বলে মনে হয়। সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট