বিষণ্নতার সঙ্গে লড়াই

বিষণ্নতা ছাড় দেয়নি মার্কিন সুপার মডেল বেলা হাদিদকে
সংগৃহীত

বিষণ্নতা ছাড় দেয়নি মার্কিন সুপার মডেল বেলা হাদিদকে। ইনস্টাগ্রামে যাঁর চার কোটির ওপরে ভক্ত। সৌন্দর্য আর ফ্যাশন সেন্স দিয়ে উঠে এসেছেন শীর্ষ মডেলদের কাতারে। তাঁকেও নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল। নিজের সৌন্দর্য নিয়ে দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলেন। ‘লোকে কী বলবে’, এই রোগে পেয়ে বসেছিল তাঁকে।
মোটে ২৫ বছর বয়স। খ্যাতি পেয়েছেন। এগিয়ে যাচ্ছেন ক্যারিয়ারের চূড়ায় উঠতে। এর মধ্যেই বিষণ্নতা পেয়ে বসে বেলা হাদিদকে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে সেই কথাই জানালেন তিনি। মন খুলে বললেন ‘যন্ত্রণাকাতর ও ভঙ্গুর’ মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে লড়াই করার কথা।

বেলা বলেন, দীর্ঘ দুই বছর তাঁর কোনো স্টাইলিস্ট ছিলেন না। মানসিকভাবে খুবই বাজে অবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাড়ি থেকে তখন বের হওয়াই আমার জন্য কঠিন ছিল। পোশাক বাছাই করতেও সমস্যা হতো। বিশেষ করে পাপারাজ্জিদের নিয়ে খুবই উদ্বেগের মধ্যে থাকতাম।’
তবে বিষণ্নতাকে খুব বেশি প্রশ্রয় দেননি বেলা হাদিদ। উদ্বিগ্নতা ও মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে কী করে মোকাবিলা করতে হয়, তা শিখে ফেলেন। কীভাবে নিজের পছন্দসই পোশাক দিয়ে নিজে খুশি থাকা যায়, আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা যায়, সেটি শিখে ফেলেন তিনি।

বেলা বলেন, ‘গত বছর আমার জন্য এটা শেখা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে লোকেরা আমার স্টাইল সম্পর্কে কথা বললেও কিংবা যদি তারা এটি পছন্দ করে বা না করে, তাতে কিছুই যায়-আসে না। কারণ, এটা আমার স্টাইল। আমি সকালে বাসা থেকে যখন বের হই, আমি যা ভাবি তা হলো, এই পোশাক পরে কি আমি খুশি? আমার কি ভালো লাগছে? আমি কি আরাম বোধ করছি?’

দীর্ঘ দুই বছর তাঁর কোনো স্টাইলিস্ট ছিলেন না
সংগৃহীত

এর আগে নভেম্বর মাসে বেলা ইনস্টাগ্রামে একগুচ্ছ সেলফি পোস্ট করেছিলেন। তাতে তাঁকে কাঁদতে দেখা গেছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল–এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় বেলা তাঁর সেই ভয়ানক কষ্টের দিনগুলোর কথা বারবার স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘ওই সময় ছিল আমার জীবনের এক হতাশাজনক অধ্যায়। আমার মা ও ডাক্তার জানতে চাইতেন, কেমন আছি। আমি তাঁদের লিখে জানানোর বদলে ছবি তুলে পাঠাতাম। সে সময় এটাই আমার কাছে সহজ মনে হয়েছিল। কারণ, আমার কেমন লাগত, তা লিখে বোঝানোর উপায় ছিল না।’

তবে এখন ভালো আছেন বেলা। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে প্রতিদিন লড়াই করে করে তাঁকে এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে হবে। বেলা বলেন, ‘আমারও ভালো দিন আছে। আজকে ভালো আছি। মস্তিষ্ক ভালো বোধ করছে। বিষণ্ন বোধ করছি না। আমি যে ধরনের উদ্বেগের মধ্যে থাকি, এখন অতটা মনে হচ্ছে না।’

বেলা হাদিদ
ছবি: রয়টার্স