ব্র্যাড পিট মামলা জিতেছেন, আপিল করেছেন জোলি

তাঁদের বিচ্ছেদ আজও অনেক ভক্ত মেনে নিতে পারেননি। পাঁচ বছর ধরে কাগজে–কলমে লড়ছেন ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ২০১৬ সালে বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন জোলি।

২০১৯ সালে তা চূড়ান্ত হয়। বিচ্ছেদের শুরু থেকেই ছয় সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়ে লড়ছেন একসময়কার জনপ্রিয় জুটি ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’। বড় ছেলে ম্যাডক্সের বয়স ১৮ পেরিয়েছে। তাই ম্যাডক্স এই লড়াইয়ের অংশ নন। ছয় সন্তানের অভিভাবকত্বের লড়াই শেষ হলো পাঁচ সন্তানকে নিয়ে। আর সেখানে হারলেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী, প্রযোজক ও পরিচালক অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। জিতলেন ব্রাড পিট। এ বিষয়ে প্রতিবেদন করেছে বিবিসি।

আইনি লড়াইয়ে অবশেষে পিটই জিতলেন। পিট পাঁচ সন্তানের যৌথ অভিভাবকত্ব দাবি করেছিলেন। কিন্তু জোলি তা নাকচ করে দিয়ে আদালতকে জানিয়েছিলেন, পিট সন্তানদের অভিভাবকত্বের জন্য ‘আনফিট’। কারণ হিসেবে তিনি পিটের মাদকাসক্তিকে উল্লেখ করেন।

বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে ‘সন্তানদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার’কে কারণ হিসেবে দেখিয়েছিলেন। বড় ছেলে ম্যাডক্স মায়ের পক্ষে আদালতে সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেসব কিছুই নাকি বিবেচনায় নেননি বিচারক জন অডারকার্ক। একটি সূত্র জানিয়েছে, ৪৫ বছর বয়সী জোলি তাই এখন বিচারকের বিচার চেয়ে এবং রায়ের পুনর্বিবেচনা করে আপিল করেছেন।

এ মুহূর্তে জোলি আর পিট দুজনই প্যাক্স (১৭), জাহারা (১৬), শিলোহ (১৪) আর ১২ বছরের যমজ সন্তান ভিভিয়েন আর নক্স—এই পাঁচ ভাইবোনের সমান অভিভাবক। অন্যদিকে পেজ সিক্সকে পিটের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সন্তানদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের যে অভিযোগ জোলি করেছিলেন, তা প্রমাণ করতে পারেননি। তাই আদালত সেটি নাকচ করে পিটকে ‘ক্লিয়ারেন্স’ দিয়েছেন।

অন্যদিকে ২০১৭ সালে জিকিউ সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিট জানিয়েছিলেন, তাঁর মারিজুয়ানার নেশা ছিল। কিন্তু ভালো বাবা হওয়ার লক্ষ্যে তিনি তা ছেড়ে দিয়েছেন।

২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো পিট-জোলি নিজেদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছিলেন। ২০১৪ সালের ২৩ আগস্ট ব্র্যাড ও অ্যাঞ্জেলিনা হয়েছিল ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’। আর ২০১৬ সালে জোলি আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন। দুই বছরের মাথায় ভেঙে যায় তাঁদের দাম্পত্যজীবন। ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল কাগজে-কলমে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।

অ্যাঞ্জেলিনা ও পিটের তিন সন্তান। শিলোহ এবং যমজ ভিভিয়েন ও নক্স। জোলির দত্তক নেওয়া আরও তিন সন্তান ম্যাডক্স, প্যাক্স ও জাহারা। এই ছয় সন্তান আর মামলা নিয়েই আছেন জোলি। আপাতত অভিনয়, পরিচালনা, লেখালেখি সব যেন শিকেয় উঠেছে তাঁর। এই মুহূর্তে তাঁর সমস্ত মনোযোগ এককভাবে সন্তানদের অভিভাকত্বের লড়াইয়ে।