মাতৃত্ব ছুটির কাজ নয়

নতুন অতিথির আগমনে আনন্দে ভাসছেন কেটি পেরি। ছবি : ইনস্টাগ্রাম

মাতৃত্বকালীন ছুটি! এ রকম ছুটির অর্থ দাঁড়ায়—সন্তান জন্ম দেওয়া যেন ছুটির কম্ম, যার প্রতিবাদ করেছেন পপতারকা কেটি পেরি। টুইট করে তিনি লিখেছেন, মা হওয়াকে খণ্ডকালীন পেশা মনে করা এক জনপ্রিয় ভুল ধারণা। কারণ, মা হওয়া কোনো ছুটির কাজ নয়।

মাসখানেক হলো মা হয়েছেন কেটি পেরি। গায়িকা, রিয়েলিটি শোয়ের বিচারক, স্ত্রীর ভূমিকায় যুক্ত হয়েছে নতুন ভূমিকা—মা। মা হওয়ার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন, এটা কোনো খণ্ডকালীন কাজ নয়। এ–সংক্রান্ত ভিন্ন এক টুইটে কেটি লিখেছেন, ‘একজন মা যখন মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে কাজে ফেরেন, তার মানে তিনি ছুটি কাটিয়ে ফেরেননি। তিনি আসলে একটি পূর্ণকালীন কাজ থেকেই চাকরিতে ফিরেছেন।’ তিনি সবার কাছে আহ্বান জানান, মাতৃত্বের ছুটিটাকে যেন অবশ্যই সবখানে বৈতনিক করা হয়। এভাবে একের পর এক টুইট করে ভক্তদের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছেন এই পপতারকা। সবার উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘মাকে ফোন করে ভালোবাসার কথা জানাও, আর পারিবারিক জীবন থেকে তাঁকে একটা বৈতনিক ছুটি দাও।’

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয় কেটি পেরি ও অরল্যান্ডো ব্লুমের প্রেম
ইনস্টাগ্রাম

মেয়ে ডেইজি ডাভ ব্লুমকে নিয়ে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন কেটি পেরি। বলা চলে মাতৃত্বের এ সময়টাকে উপভোগ করছেন তিনি। গত বছর হলিউড তারকা অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন এই তারকা। সন্তানসম্ভবা অবস্থায় একটি সংগীতচিত্রের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন কেটি। হবু মেয়ের নামে সেই গানটির নাম দেওয়া হয় ‘ডেইজি’। গত মার্চে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি মা হতে যাচ্ছেন।

২০১১ সালে এক কনসার্টে গাইতে ওঠার মুহূর্তে তাঁর ফোনে আসে একটি খুদে বার্তা। স্বামী রাসেল ব্র্যান্ড সে বার্তায় জানিয়েছেন, পেরির সঙ্গে আর সংসার করতে চান না তিনি। চোখ ভিজে গিয়েছিল পেরির। চোখ মুছে মঞ্চে ওঠেন তিনি, গান করেন আর কাঁদেন। সেই কান্নাকে দর্শক-শ্রোতারা ভেবেছিল পারফরম্যান্সের অংশ!

প্রথম মা হলেন কেটি

পরে কেটি পেরির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আরেক সংগীতশিল্পী জন মেয়ারের সঙ্গে। বাগদানও হলো। পরে তা ভেঙেও যায়। আবার হৃদয় ভাঙে কেটির। ভাঙা হৃদয় জোড়া দিতে আসেন রবার্ট প্যাটিনসন। একদিন অতীত হয়ে যান ‘টোয়ালাইট’ ছবির এই তারকাও। তারপর এলেন ব্লুম। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কেটিকে ভ্যালেন্টাইনস ডের এক পার্টিতে হীরার আংটি পরিয়ে দেন ‘ট্রয়’ ছবির তারকা অরল্যান্ডো ব্লুম। এভাবে নিজেদের তিন বছরের সম্পর্ককে পোক্ত করে নেন তাঁরা।

জানিয়ে রাখা দরকার, ‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিনের তথ্য অনুসারে, ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টানা আট বছর কেটি পেরি বিশ্বের সংগীতজগতের সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জনকারী তারকা।