মামলা জিতেছেন আম্বার, জনি শেষ

আম্বার হার্ড

একের পর এক সম্পর্কের ভাঙাগড়া। সেই সঙ্গে আঠার মতো লেগে আছে পুরোনো সম্পর্কের তিক্ত আইনি লড়াই। এর মধ্যে সুখবর পেলেন হলিউড তারকা অ্যাম্বার হার্ড। ২০১৮ সালে ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য সান ‘ওয়াইফ বিটার জনি ডেপ’ শিরোনামে প্রতিবেদন করে বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিল। সেসব কথা মিথ্যা দাবি করে মানহানির মামলা করেছিলেন ৫৭ বছর বয়সী ডেপ। সেই মামলায় জিতেছেন জনির সাবেক স্ত্রী, ৩৪ বছরের অ্যাম্বার হার্ড। ২ নভেম্বর মামলার রায় প্রকাশিত হয়।

‘অ্যাকুয়াম্যান’ ছবিতে জ্যাসন মমোয়া ও আম্বার হার্ড

রায়ে বিচারক নিকোল বলেছেন, ‘অভিযোগকারী (জনি ডেপ) তাঁর অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ১৪টা ঘটনার বিস্তারিত ও সাক্ষ্যপ্রমাণের সাপেক্ষে বলা যায়, অ্যাম্বার হার্ড দাম্পত্য জীবনে শারীরিকভাবে নিগ্রহের শিকার হয়েছেন।’

একে তো ফ্যান্টাস্টিক বিস্ট সিরিজ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে জনিকে, তার ওপর একের পর এক এন্ডোর্সমেন্ট হারাচ্ছেন বড় পর্দার ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো। ব্যক্তিগত জীবন আর হলিউডের ক্যরিয়ার—সবই শেষের পথে। হাতে নেই একটা সিনেমা। মামলা আর ক্ষতিপূরণে শেষ হয়ে যাচ্ছে জমানো অর্থও। জনি ডেপের এই দুঃসময় সহ্য করতে পারছেন না তাঁর ভক্তরা। টুইটারে চলছে ‘জাস্টিস ফর জনি ডেপে’র ঝড়!

জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড

একজন টুইট করেছেন, ‘নির্বাচন তো শেষ হলো। এখন আমরা জনি ডেপের অপূরণীয় ক্ষতির দিকে নজর দিই। অ্যাম্বার হার্ড একটা ডাইনি। বিশেষ বিবেচনায় তিনি জনিকে হারিয়েছেন।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘অ্যাম্বার, একজন প্রতিষ্ঠিত হিরোর জীবনকে ছাই বানিয়ে উড়িয়ে দিলে। তুমি রাস্তায় মরো।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এমন একজন দয়ালু, ভালো মানুষের সঙ্গে অ্যাম্বার যা করল, তার মা জানতে পারলে মারা যাবে।’ অন্যদিকে অ্যাম্বার মুখে কিছু না বললেও তাঁর আইনজীবী ইলেন চার্লসন ব্রিডিহফট বিজয়ের চিহ্ন দেখিয়ে বলেছেন, ‘এই রায়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটাই সত্যি। আর এটা হওয়ারই ছিল।’