সেই সাড়ে বারো বছরের কিশোর আর প্রাপ্তবয়স্ক মালেনার গল্পই সেরা

ফ্রান্সের এক টেলিভিশনের জরিপে তিনি এ যাবৎকালের সেরা সুন্দরী। এ ছাড়া বিভিন্ন সাময়িকীর কাঙ্ক্ষিত নারীর তালিকায় একাধিকবার জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর নাম মনিকা বেলুচি। আজ তাঁর জন্মদিন।

১ / ৬
মাত্র ১৩ বছর বয়সে ফ্যাশন মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু। তখন মডেলিং বা অভিনয় করবেন, তেমন ভাবনা খুব একটা ছিল না। পড়াশোনার ফি জোগাড় করতেই মডেলিং চালিয়ে যান। পরে আইন বিষয় ছেড়ে মডেলিং নিয়ে পড়তে শুরু করেন। মডেলিং তাঁর ভাগ্য বদলে দেয়। ১৯৯০ সালে তিনি প্রথম সিনেমায় নাম লেখান।
২ / ৬
ক্যারিয়ারে তাঁকে সবচেয়ে বেশি শুনতে হয়েছে, বয়স কত। সাংবাদিকেরাও সুযোগ পেলেই প্রশ্ন করতেন, ‘আপনার বয়স কেন বাড়ে না?’ এ বছর তিনি ৫৭–তে পড়বেন। ১৯৯০ সালে ইতালির আলোকচিত্রী ক্লডিও কার্লোস বাসোকে বিয়ে করেন মনিকা। দেড় বছর টিকেছিল এই সংসার। ১৯৯৬ সালে ‘দ্য অ্যাপার্টমেন্ট’ সিনেমার শুটিংয়ে অভিনেতা ভিনসেন্ট ক্যাসেলের সঙ্গে পরিচয়, ১৯৯৯ সালে তাঁরা বিয়ে করেন।
৩ / ৬
মনিকা বেলুচির সবচেয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘মালেনা’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সিসিলি শহরের এক কিশোরের দৃষ্টিকোণ থেকে ছবির গল্পটা বলা হয়েছে। সেই সাড়ে বারো বছরের কিশোরের নাম রেনাটো আমারোসো। সে বাবার কাছ থেকে একটি সাইকেল উপহার পায়। সেই সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে শহরের সবচেয়ে সুন্দরী মালেনাকে দেখে অভিভূত হয়। এই দুই অসম বয়সী মানুষের সম্পর্ক নিয়েই ছবিটি।
৪ / ৬
আরেক বিখ্যাত অভিনেত্রী সোফিয়া লোরেনের অভিনয় দ্বারা প্রভাবিত মনিকা। এ ছাড়া ক্লডিয়া কার্ডিন্যালের অভিনয় তিনি খুবই পছন্দ করতেন।
৫ / ৬
ছয়টায় ঘুম থেকে ওঠা, নিয়ম করে জিমে যাওয়া—এমন নিয়মনিষ্ঠ মানুষ মনিকা নন। তাঁর উপদেশ—ভালো খাও, পান করো আর প্রচুর হাসো। বাকিটা আপনিই ধরা দেবে।
৬ / ৬
‘জেমস বন্ড’ সিরিজে প্রথমবার মিসেস প্যারিস ম্যাককেনা কার্ভার চরিত্রে অডিশন দিয়ে বাদ পড়েন তিনি। ১৯৯৭ সালের সেই সিনেমার নাম ছিল ‘টুমরো নেভার ডাইজ’। সে সময় সিনেমায় ডাক না পেলেও ১৮ বছর পর ‘স্পেক্টর’–এ ডাক পেয়েছিলেন মনিকা।