৫৬ বছর বয়সে ‘ভোগ’-এর প্রচ্ছদে

পলিনা পরিস্কোভা
ইনস্টাগ্রাম

‘ভোগ’ সামায়িকীতে প্রচ্ছদকন্যা হয়েছিলেন ৪০ বছর আগে। আবার প্রচ্ছদে দেখা গেল মডেল ও অভিনেত্রী পলিনা পরিস্কোভাকে। ‘ভোগ’–এর চেক স্লোভাকিয়া সংস্করণে পলিনার যে ছবিটি ছাপা হয়েছে, তাতে ছিল না সম্পাদনার কোনো ছোঁয়া। ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশের একসময়কার তুমুল জনপ্রিয় সুপারমডেল পলিনা নিজেই সে খবর দিলেন ইনস্টাগ্রামে।

পলিনা ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘তখন আমার বয়স ছিল ১৬। আমি “ভোগ” সাময়িকীর জার্মান সংস্করণের প্রচ্ছদকন্যা হলাম। সেই শুটিংয়ের কথা আমার আজও মনে আছে। খুব সামনে থেকে আমার মুখের ছবি উঠিয়েছিল। ৪০ বছর পরে আবারও আমি ভোগের প্রচ্ছদে। ৫৬ বছর বয়সেও আমার ছবি সম্পাদনা করা হয়নি। আমি চেয়েছি, আমি যেমন, তেমনভাবেই হাজির হতে।’

পলিনা পরিস্কোভা
ইনস্টাগ্রাম

‘পেজ সিক্সকে’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পলিনা জানান, তিনি ছবি সম্পাদনায় বিশ্বাসী নন। তিনি বলেন, ‘সম্পাদনা ছাড়া ছবিতে “ভোগ”–এর প্রচ্ছদকন্যা হওয়ার মধ্য দিয়ে আমি সাহসী হয়ে উঠিনি। আমি যা, আমি তা–ই। সব বয়সের একটা সৌন্দর্য আছে। আমার ভাঁজ পড়া চামড়া কেন ঢাকতে হবে? এই বয়সের সৌন্দর্যই এটা।’

পলিনা পরিস্কোভা
ইনস্টাগ্রাম

চেক স্লোভাকিয়ায় জন্ম নেওয়া এই মার্কিন ও সুইডিশ তারকা জানান, এবারে ‘ভোগ–’এর প্রচ্ছদকন্যা হওয়ার জন্য এই একটি শর্তই জুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। সম্পাদনা করে তাঁর স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করা যাবে না। এই মডেল, অভিনেত্রী ও লেখক বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি বিশ্বের সেরা মেকআপ আর্টিস্টদের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, সৌন্দর্য স্বাভাবিকতায়। আর যা-ই হোক, ছবি সম্পাদনার মধ্যে কোনো সৌন্দর্য নেই।’

পলিনা পরিস্কোভা
ইনস্টাগ্রাম

১৯৮৮ সালে ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার পলিনা প্রসাধনী ব্র্যান্ড এস্টে লডরের সঙ্গে ৬০ লাখ ডলারের চুক্তি করে সে সময় রেকর্ড গড়েছিলেন। ‘আমেরিকাস নেক্সট টপ মডেল’–এর দশম, একাদশ ও দ্বাদশ মৌসুমের বিচারক ছিলেন তিনি। ১৯৯৩ সালে ‘অ্যারিজোনা ড্রিম’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেন জনি ডেপের সঙ্গে। এবার কোনো রকম সম্পাদনা ছাড়াই ৫৬ বছর বয়সে ‘ভোগ’–এর প্রচ্ছদকন্যা হলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে ‘ভোগ’ সাময়িকীর বিভিন্ন সংস্করণের প্রচ্ছদকন্যা হয়েছেন তিনি।