চট্টগ্রামে স্টার সিনেপ্লেক্সের যাত্রা শুরু

কেক কেটে স্টার সিনেপ্লেক্সের চট্টগ্রাম শাখার উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনজুয়েল শীল

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করল স্টার সিনেপ্লেক্স। শুক্রবার তিনটি হল নিয়ে বালি আর্কিডে নতুন একটি শাখার উদ্বোধন করল মাল্টিপ্লেক্সটি। আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কেটে স্টার সিনেপ্লেক্সের চট্টগ্রাম শাখার উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বালি আর্কিডের মালিক সোলায়মান শেঠ, তারকা দম্পতি রাজ–পরীমনিসহ আরও অনেকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, দেশের অভিনয়শিল্পীরা যদি চান, তাহলে দেশে বলিউডের সিনেমা প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া যাবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর পাশেই ছিলেন শরীফুল রাজ ও পরীমনি।

জুয়েল শীল

তাঁদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে রাজ-পরীকে দেখলাম। ওরা যদি রাজি হয়, ওদের কলিগরা যদি রাজি থাকে, তাহলে বছরে ১০-১২টা হিন্দি ছবি এলে আমার আপত্তি নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘কদিন আগে কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে হাওয়া দেখার জন্য এক কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন হয়েছে। আমি অবাক হয়েছি। ফলে আমাদের সিনেমাশিল্প কিন্তু থেমে নেই। এগিয়ে চলছে। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে হবে আমাদের।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় আমরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। পরাণ ও হাওয়া সিনেমা আমাদের এই ক্ষতি পুষিয়ে দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ভালো পরিচালকেরা ওটিটির জন্য সিনেমা বানান। তাঁরা যদি এ ছবিগুলো প্রথমে হলে মুক্তি দিয়ে দুই মাস পর ওটিটিতে মুক্তি দেন, তাহলে তাঁদের এই ইন্ডাস্ট্রিও বাঁচবে।

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সিনেমা হলের জন্য ঝুঁকি কি না জানতে চাইলে মাহবুব রহমান বলেন, ‘ওটিটি আমাদের জন্য আশীর্বাদ। ওটিটিতে মানুষ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সিনেমা দেখেন, তাঁদের মধ্যে সিনেমা দেখার ক্ষুধা আরও বৃদ্ধি পায়। আমাদের দেশে যদি ভালো ভালো সিনেমা নির্মাণ করা হয়, তাহলে মানুষ সিনেমা হলে এসেই সিনেমা দেখবেন।’
চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার এলাকায় (নবাব সিরাজ উদ্দিন রোড) বালি আর্কেড শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত সুপরিসর এ মাল্টিপ্লেক্সে তিনটি হল রয়েছে। হল-১, হল-২ ও হল-৩-এ আসনসংখ্যা যথাক্রমে ৮৬, ১৯৬ ও ১২৫। সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, নান্দনিক পরিবেশ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসংবলিত সাউন্ড সিস্টেম, জায়ান্ট স্ক্রিনসহ বিশ্বমানের সিনেমা হলের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রেক্ষাগৃহগুলো নির্মিত হয়েছে। গতকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর তিনটি হলে মেইড ইন চিটাগং, ব্ল্যাক প্যান্থার ও ন ডরাই প্রদর্শন করা হয়।

শনিবার থেকে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে হলগুলো। স্টার সিনেপ্লেক্স চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করায় আনন্দিত দর্শকেরা। কামরুজ্জামান নামের চট্টগ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, চট্টগ্রামে পরিবার নিয়ে সুন্দর পরিবেশে সিনেমা দেখার তেমন ব্যবস্থা ছিল না। যা ছিল, সেটিও অনেক সীমিত। এখন অবসর সময়ে পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
২০০৪ সালের ৮ অক্টোবর রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে যাত্রা করে দেশের প্রথম মাল্টিপ্লেক্স সিনেমা হল স্টার সিনেপ্লেক্স। বর্তমানে ঢাকায় পাঁচটি শাখা রয়েছে এর।