‘এটি অন্যভাবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই’

আজ চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের জন্মদিন। সম্প্রতি ‘গুনিন’ ছবির শুটিং শেষ করে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন এই অভিনেতা। সেখান থেকে গতকাল ঢাকায় ফিরে রাত ১২টার পর নিজের জন্মদিন উদ্‌যাপন করেন। এসব ছাড়াও তাঁর অন্যান্য কাজ নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেতা।

শরিফুল রাজছবি: ফেসুবক থেকে

প্রশ্ন :

জন্মদিন কেমন কাটছে?

শুভেচ্ছা জানাতে রাত ১২টার পর অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধুরা কেক নিয়ে এসেছিলেন বাসায়। কেক কেটেছি। ভোররাত পর্যন্ত সবাই মিলে আনন্দ–উল্লাস করেছি। এরপর সূর্য ওঠা দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েছি। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে বের হয়ে দুটি সিনেমার মিটিং করলাম। গত রাতে অন্যরা আমার জন্মদিন উদ্‌যাপন করেছেন। সন্ধ্যার পর আমি নিজে কিছু কাছের মানুষ নিয়ে জন্মদিন উদ্‌যাপন করছি।

মডেলিং জগৎ থেকে সিনেমায় নাম লেখাতে না–লেখাতেই শরিফুল রাজের ঝুলি ভর্তি সিনেমা আর ওয়েব সিরিজে
ছবি: প্রথম আলো

প্রশ্ন :

গ্রাম থেকে ফিরেছেন কবে?

বুধবার ফিরেছি। অনেক বছর পর নিজ গ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলমপুরে গিয়েছিলাম। চার দিন ছিলাম।

প্রশ্ন :

গ্রামে সময় কেমন কাটল?

প্রায় ১৭ বছর পর গ্রামে গিয়েছিলাম। অনেক বছর পর দাদা-দাদি, নানা-নানির সঙ্গে দেখা হলো। ১৭ বছর পর আমার স্কুলজীবনের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ভোর চারটার দিকে গ্রামে গিয়ে প্রথমে আমার স্কুলবন্ধু কৃষ্ণ বণিককে ঘুম থেকে ওঠাই। এত দিন পর আমাকে দেখে সে তো অবাক। সারা দিন তাঁর সঙ্গে ছিলাম। এরপর সন্ধ্যার দিকে নিজেদের বাড়িতে যাই। যে কয়েক দিন ছিলাম স্কুলের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন—অনেকের সঙ্গে দেখা করেছি। অনেক দিন পর বন্ধুদের সঙ্গে দারুণ সময় কেটেছে। অনেক আনন্দ করেছি, মজা করেছি।

শরিফুল রাজ
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

‘গুনিন’–এর কাজ কেমন হলো?

কাজটি করতে গিয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছে। খুবই পরিকল্পিত একটি কাজ। দারুণ সব সহশিল্পী পেয়েছিলাম। আর ছবির পরিচালক গিয়াসউদ্দীন সেলিমের কথা নতুন করে আর কী বলব। এই ছবিতে কাজের সুযোগ দিয়ে সেলিম ভাই আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। দুর্ঘটনার পর আমার মতো হাত-পা ভাঙা একজনকে ডেকে কাজ দিয়েছেন। তাঁর কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ।

শরিফুল রাজ
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

পরীমনির জন্মদিনে আপনাকে নাচতে দেখা গেছে। গতকাল রাতে পরী নিজে আপনার বাসায় এসে কেক কেটে আপনার জন্মদিন উদ্‌যাপন করেছেন। তার একটি ভিডিও ফুটেজও তাঁর ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলছেন পরীর সঙ্গে রাজের নতুন রসায়ন তৈরি হয়েছে।

কাজ করতে গেলে সহশিল্পীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তো হবেই। এটি অন্যভাবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। ‘গুনিন’ ছবিতে আমরা প্রথম একসঙ্গে কাজ করেছি। পরীসহ ‘গুনিন’ ছবির টিমের বেশ কয়েকজন জন্মদিনের রাতের প্রথম প্রহরে কেক নিয়ে এসেছিলেন আমার বাসায়। আমার সঙ্গে যাঁরাই কাজ করেন, তাঁদের ভালো বন্ধু মনে করি। পরীমনির সঙ্গে ঠিক তেমনি। পরীমনি একজন সুন্দর অভিনেতা, সুন্দর মনের মানুষ। এর আগে কাজ করতে গিয়ে সুনেরাহ্ বিনতে কামাল, নাজিফা তুষিদের সঙ্গেও আমার ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে।

প্রশ্ন :

সিনেমা ও ওটিটির বাইরে আপনাকে কাজ করতে দেখা যায় না। কেন?

সাধারণত আমি যেসব সিনেমা বা ওটিটির কাজ করি, কাজগুলো ভালো বাজেটের ও ভালো পরিকল্পনা করে করা। এ ধরনের কাজ পেলে অবশ্যই করব। সেটা নাটক কিংবা টেলিছবিও হতে পারে। কোনো আপত্তি নেই আমার।

প্রশ্ন :

নতুন কাজের খবর কী?

সবেমাত্র শেষ করলাম ‘গুনিন’–এর কাজ। এ ছাড়া ‘রক্তজবা’, ‘হাওয়া’, ‘পরান’ ও ‘দামাল’ নামে চারটি ছবি অনেক দিন থেকে মুক্তির জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। আশা করছি, এক–দুই দিনের মধ্যে আমার নতুন কাজের খবর জানাতে পারব। মিটিং চলছে।

শরিফুল রাজ
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

এই যে আপনার এতগুলো ছবির মুক্তি আটকে আছে, খারাপ লাগে না?

অবশ্যই খারাপ লাগে। ২০১৯ সালের পর আমার কোনো ছবি বড় পর্দায় মুক্তি পায়নি। নিয়মিত মুক্তি পেলে, ছবি আলোচিত হলে হাতে ভালো ভালো কাজ আসে, নিজের কাজের গতি বাড়ে। এখন প্রেক্ষাগৃহ খুলে গেছে। ছবিও মুক্তি পাচ্ছে। পরিচালকদের কাছে অনুরোধ করব, ছবিগুলো দ্রুতই মুক্তির ব্যবস্থা করবেন। প্রেক্ষাগৃহে বসে ছবিগুলো দেখতে চাই।