সাড়া ফেলেছে ‘রেডরাম’
‘কেমন সাড়া পাচ্ছেন?’ প্রশ্ন করা হলো অভিনেতা আফরান নিশোকে। উত্তরে তিনি বললেন, ‘খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। খারাপ সাড়া পেলেও বলতাম না।’ শুনে প্রেক্ষাগৃহের দর্শকসারিতে হাসির রোল পড়ে গেল। সেখান থেকে অনেকেই বলছিলেন, রেডরাম সেরা ফিল্ম।
গত বৃহস্পতিবার স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে রেডরাম। আফরান নিশো ও মেহজাবীনের প্রথম ওয়েব ফিল্ম। দুই দিনে দর্শকদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে অভূতপূর্ব সাড়া। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ছিল ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনী। সেখানেই হাজির হয়েছিলেন ছবির অভিনেতা আফরান নিশো, মেহজাবীন চৌধুরী, মনোজ প্রামাণিক, চরকির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি প্রমুখ।
প্রদর্শনী শুরু হওয়ার আগে মঞ্চে উঠে নিশো জানালেন, ক্যারিয়ারে এমন চরিত্রে কাজ করা হয়নি তাঁর। তাই এ চরিত্রের প্রস্তুতি নেওয়াটা তাঁর জন্য ছিল চ্যালেঞ্জের। মাথায় ছিল, সুপারহিরো গোয়েন্দা নয়, সত্যিকারের গোয়েন্দা হয়ে উঠতে হবে তাঁকে। কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে পড়া গোয়েন্দা চরিত্রগুলো তাঁকে এ কাজে সহযোগিতা করল। নিশো বলেন, ‘রেডরাম–এর সঙ্গে আমার অনেক ইমোশন জড়িয়ে গেছে। মেহজাবীন চৌধুরীর এটা প্রথম ওয়েব ফিল্ম। এই প্রথম আমরা একত্রে অভিনয় করছি, কিন্তু জুটি নই। ছবিতে অভিনয় করেছে আমার বন্ধু মনোজ, তার সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। এটা বড় পর্দার জন্য বানানো নয়। আবেগ ধরে রাখতে পারছি না। আমরা শতভাগ চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ চরকি। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে চরকি দেশে কনটেন্টের রাজধানী হয়ে যাবে।’
নিজের প্রথম ওয়েব সিরিজ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মেহজাবীন বলেন, ‘আমি গল্প শুনেই মুগ্ধ হয়েছিলাম। তখনই মনে হয়েছিল, আমি রেডরাম-এর পার্ট হতে চাই। চরিত্রের জন্য যা করতে হয় করব। কেমন হয়েছে, সেটা আপনারা বলবেন। আমরা পুরো টিম দিন–রাত এক করে কাজ করেছি। ১২০ ভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের সিনেমায় একটি নতুন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ওটিটি আসার পর। এখন ভাষার মাস, ভাষার মাসে বাংলা সিনেমা দেখতে এসে খুব ভালো লাগছে। চরকির মূল লক্ষ্য বাংলা ভাষা নিয়ে কাজ করা, বাংলা ভাষার কেন্দ্র হিসেবে থাকা। আমাদের লক্ষ্য, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের একটি হওয়া। সেই লক্ষ্যেই আমরা চরকির সঙ্গে যুক্তি হয়েছি। মাত্র সাত মাসের যাত্রায় ১৯৮টা দেশ থেকে মানুষ চরকিতে সিনেমা দেখছেন। আমি বিশ্বাস করি, চরকি হবে বিশ্বের বৃহত্তম বাংলা প্ল্যাটফর্ম।’
সাজগোজ নিবেদিত রেডরাম ওয়েব ফিল্মের মধ্যমণি হওয়ার কথা ছিল পরিচালক ভিকি জাহেদের। অসুস্থতার কারণে এই প্রদর্শনীতে উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। রেদওয়ান রনি বলেন, ‘মানুষ এখন চরকির কনটেন্ট দেখছেন। এটা চরকির ও আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য আনন্দের। ১৭ তারিখে মুক্তির পর থেকে দর্শকদের আগ্রহ, বিপুল সাড়া আমাদের আরও আশা জাগিয়েছে। ভিকি জাহেদ ও পুরো টিমকে ধন্যবাদ। জাহেদ আজ অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি।’
একটি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রেডরাম–এর গল্প। খুনের তদন্ত সেই গল্পে আনে নতুন মোড়। রেডরাম–এর বিশেষ প্রদর্শনীতে আরও উপস্থিত ছিলেন সাজগোজ–এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সিনথিয়া শারমিন ইসলাম। বিশেষ এই প্রদর্শনীতেও রেডরামের ছিল জয়জয়কার।