পরপর তিন তরুণী নিখোঁজ। সবাই একই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। মনে হচ্ছে, কেউ একজন টার্গেট করছে তরুণীদের। অনেকের মনেই শঙ্কা—তিনজনই শেষ নয়, আরও অনেকে নিখোঁজ হতে পারে। এই যেমন মঞ্জুর আশঙ্কা, তাঁর পছন্দের মানুষ লাবণীও হতে পারে অপহরণের শিকার। কিন্তু শুধু ধারণার ওপর ভর করে মঞ্জু কি বাঁচাতে পারবে লাবণীকে? এমন ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘শুক্লপক্ষ’। আজ রাত আটটায় চরকিতে মুক্তি পাবে ভিকি জাহেদ পরিচালিত চরকি অরিজিনাল সিনেমাটি।
‘শুক্লপক্ষ’-এর প্রধান চরিত্রগুলোর একটিতে অভিনয় করেছেন খাইরুল বাসার। সিনেমাটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও “শুক্লপক্ষ” দেখার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে আছি। হিংসা, প্রেম, অসহায়ত্ব, ক্ষমতা বা বর্বরতার দারুণ দ্বান্দ্বিক গল্প তুলে ধরা হয়েছে সিনেমটিতে। দেখতে বসে দর্শকেরা বারবার বিস্মিত হবেন, একের পর এক চমক আসবে। আশা করি, তাঁরা হতাশ হবেন না।’
‘শুক্লপক্ষ’-এর আরেকটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই সময়ের ব্যস্ত সময় অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল। কিছুদিন আগেই তাঁকে দেখা গেছে চরকির অ্যানথোলজি সিনেমা ‘এই মুহূর্তে’-এর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। তবে ‘শুক্লপক্ষ’ তাঁর প্রথম ওয়েব ফিল্ম। কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘দর্শক হিসেবে যখন “শুক্লপক্ষ”-এর চিত্রনাট্য পড়েছি, তখনই কাজ করার আগ্রহ জন্মেছিল। ভিকি জাহেদের থ্রিলার মানেই তো অন্য রকম কিছু। ওনার কাজ বরাবর ভালো লাগে। সেই সঙ্গে আমিসহ অভিনেতা যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সবাই নিজেদের চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন।’
শুটিংয়ে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে জানতে চাইলে সুনেরাহ বলেন, ‘সিনেমাটিতে আমাকে অনেকগুলো লুকে দেখা যাবে। যেটা খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমরা একদিন জঙ্গলে শুটিং করেছিলাম। সেখানে খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়। আমার সারা শরীরে পোকা আক্রমণ করে। সব মিলিয়ে পুরো নাজেহাল অবস্থা। সবকিছু সামলে অনেক কষ্টে কাজটি করেছি। সিনেমাটি নিয়ে শুধু এটুকু বলতে পারি, ট্রেলার দেখে দর্শকদের অনেকেই যা ধারণা করছেন, তা মুহূর্তেই পাল্টে যাবে।’
সুনেরাহর মতো জিয়াউল রোশানেরও এটা প্রথম ওয়েব ফিল্ম। সেই সঙ্গে চরকিতেও তাঁর প্রথম কাজ। তিনি বলেন, ‘আমার করা প্রথম ওয়েব ফিল্ম চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে। ভিকির সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় কাজ। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা অন্য রকম। ছবিতে আমার চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে তিনি অনেক সাহায্য করেছেন।’
রোশান মনে করেন, সিনেমাটির জন্য সব শিল্পী যেভাবে পরিশ্রম করেছেন, তাতে কাজটি দর্শকের ভালো লাগবে। তিনি বলেন, ‘সহশিল্পীরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দুর্দান্ত কাজ করেছেন। সেটে সবাই খুব আনন্দ নিয়ে কাজটা করেছি। লোকেশন, গল্প, চরিত্র, পরিচালক থেকে অভিনয়শিল্পী—সবই ভালো ছিল। এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষা। আশা করি, দর্শক উপভোগ করবেন।’
পরিচালক ভিকি জাহেদও বেশ অপেক্ষায় আছেন তাঁর দ্বিতীয় ওয়েব ফিল্ম নিয়ে। ‘শুক্লপক্ষ’ নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার অন্যান্য কাজ থেকে “শুক্লপক্ষ” বেশ আলাদা। তবে জনরাটা থ্রিলারই। যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁদের প্রায় অনেকের সঙ্গেই আমার প্রথম কাজ। নতুন ও তরুণ টিমের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাটাও ইন্টারেস্টিং।’
থ্রিলার মানেই নানা চমক। ‘শুক্লপক্ষ’-এর শেষটা দর্শককে ভীষণভাবে চমকে দেবে বলে মনে করেন পরিচালক। তিনি বলেন, ‘অডিয়েন্সের সঙ্গে আমি সব সময় ক্যাট অ্যান্ড মাউস গেম খেলতে পছন্দ করি। কারণ, এই গল্পের শেষটা আগে থেকে ধারণা করা খুব কঠিন।'
‘শুক্লপক্ষ’-এ তিনটি গানও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইমরান-কনা ও সদ্য খান-অবন্তী সিঁথির দুটি দ্বৈত গান। এ ছাড়া আছে অজয় রায়ের একটি গান। খাইরুল বাসার, সুনেরাহ বিনতে কামাল, জিয়াউল রোশান ছাড়া ‘শুক্লপক্ষ’-এর অন্যান্য চরিত্রে দেখা যাবে ফারুক আহমেদ, শরীফ সিরাজ, আবদুল্লাহ সেন্টুকে।