কী আছে এই কোরীয় সিরিজে

‘মুভিং’ সিরিজের পোস্টার থেকে নেওয়া। আইএমডিবি

কয়েক বছর ধরেই কোরীয় সিনেমা, সিরিজের জয়জয়কার। ‘প্যারাসাইট’-এর অস্কার জেতা, এর পর ‘স্কুইড গেম’-এর রেকর্ড—সব মিলিয়ে কোরীয় কনটেন্টে মুগ্ধ ছিলেন সারা দুনিয়ার দর্শক। যদিও গত বছর সেই জোয়ারে কিছুটা ভাটা পড়ে। এই সময়ে অনেক সিনেমা, সিরিজই প্রশংসিত, জনপ্রিয় হয়েছে বটে, কিন্তু ‘স্কুইড গেম’ পর্যায়ের কিছু ছিল না।

আরও পড়ুন

নতুন মুক্তি পাওয়া সিরিজ ‘মুভিং’ অবশ্য সেই শূন্যতা অনেকটাই ভুলিয়ে দিয়েছে। ভ্যারাইটি জানিয়েছে, ৯ আগস্ট মুক্তির পর স্ট্রিমিং সাইট হুলু ও ডিজনি প্লাস হটস্টারে সবচেয়ে বেশি দেখা কোরীয় সিরিজে পরিণত হয়েছে ‘মুভিং’।

স্পাই থ্রিলার সিরিজটি মুক্তি পেয়েছে দুটি প্ল্যাটফর্মে—ডিজনি প্লাস হটস্টার ও হুলু। মাত্র সাত দিনেই দুই প্ল্যাটফর্মে রেকর্ড গড়েছে ‘মুভিং’। সিরিজটি সবচেয়ে বেশি দেখা হয়েছে যুক্তরাষ্ট, জাপান, কোরিয়া, হংকং, তাইওয়ানসহ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে। ডিজনির এক কর্মকর্তা ক্যারল চোই বলেন, ‘“মুভিং” নিয়ে বৈশ্বিক দর্শকের যে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি, তাতে আমাদের প্রত্যাশা আরও বেড়ে গেছে। দুর্দান্ত গল্প বলা, অসাধারণ অভিনয়শিল্পী আর অবিশ্বাস্য স্পেশাল ইফেক্টস এই সিরিজকে অনন্য করে তুলেছে।’

‘মুভিং’-এর গল্প তিন শিক্ষার্থীকে নিয়ে। আপাতদৃষ্টে সাধারণ মনে হলেও এই শিক্ষার্থীদের বিশেষ ক্ষমতা আছে, যা তারা পেয়েছে বাবা-মায়ের থেকে। কেউ উড়তে পারে, কেউ যেকোনো আঘাত থেকে দ্রুত সেরে উঠতে পারে। আরেকজন প্রচণ্ড শক্তিশালী, গতিতেও তার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া মুশকিল। ঝামেলার সূত্রপাত শহরে আবির্ভাব হওয়া এক খুনিকে নিয়ে। যে কিনা বিশেষ ক্ষমতার অধিকারীদের খুন করতে থাকে। এই বিশেষ ক্ষমতার লোকেদের আসল পরিচয় কী? এই খুনিই বা কে? সব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এই সিরিজ। ‘মুভিং’-এর পাত্রপাত্রীরা সবাই কে-ড্রামার পরিচিত মুখ।

‘মুভিং’ সিরিজের দৃশ্য। আইএমডিবি

গুরুত্বপূর্ণ তিন চরিত্রে দেখা যাবে জো ইন-সাং, হান হায়ো-জু, রেয়ু সেউং-রাইয়ংকে। কাং ফলের একই নামে ওয়েবটুন অবলম্বনে সিরিজটি বানিয়েছেন পার্ক ইন-জে ও পার্ক ইয়োনসেও। ‘মুভিং’ প্রচলিত সিরিজগুলোর চেয়ে বেশ দীর্ঘ, পর্ব রয়েছে মোট ২০টি। এর মধ্যে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছে ১১টি। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে মুক্তি পাবে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

মুক্তির পর থেকেই সিরিজটিতে মুগ্ধ দর্শকেরা। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত এর আইএমডিবি রেটিং ৮ দশমিক ৫, ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ১ শর বেশি দর্শক। সিরিজটি নিয়ে এক দর্শক আইএমডিবিতে লিখেছেন, এই কে-ড্রামা খুব অভিনব, এতে এমন কিছু করার চেষ্টা হয়েছে, যা আগে হয়নি। একটির পর একটি পর্ব দেখবেন, মন ভরে যাবে। স্পেশাল ইফেক্টস আর ক্যামেরার কাজ দুর্দান্ত। প্রতিটি চরিত্র দুর্দান্তভাবে লেখা, অভিনয়শিল্পীরা পর্দায় সেটা দারুণভাবে তুলে ধরেছেন।
সিরিজটি সাড়া জাগিয়েছে বাংলাদেশেও। এর মধ্যেই প্রথম কয়েকটি পর্বের বাংলা সাবটাইটেলও মুক্তি পেয়েছে।