সংসার নিয়ে হাসিবের ভাবনাবদলের গল্প

হাসিব এমন একজন যে অফিসের কাজ ছাড়া বাকি সবকিছুকেই সময় নষ্ট বলে মনে করে। সংসার সামলানো তাঁর কাছে আহামরি কোনো বিষয় না। এই হাসিবই একদিন গিয়ে পৌঁছায় তার কলিগের বাসায়। উদ্দেশ্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ফাইলের সন্ধান করা। কিন্তু সেখানে সে খুঁজে পায় এমন একদল বিচ্ছু বাচ্চাকে, যারা হাসিবকে শিখিয়ে দেয় সংসার সামলানো ঠিক কতটা কঠিন। এই শিক্ষাই পাল্টে দেয় হাসিবের চিন্তা–ধারণা।
বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে সংসারে প্রতিদিনের ঝুট-ঝামেলা নিয়ে নির্মিত চরকি ফ্লিক ‘সংসার আনলিমিটেড’। এটি পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদের চরকির জন্য প্রথম নির্মাণ। আজ রাত ৮টায় মুক্তি পাচ্ছে ‘সংসার আনলিমিটেড’। কমেডি জনরার এই গল্পে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের। সঙ্গে আছেন মৌসুমী হামিদ, সায়রা জাহান, মীর রাব্বিসহ কয়েকজন শিশুশিল্পী।

‘সংসার আনলিমিটেড’ নিয়ে ইরেশ যাকের বলেন, ‘গল্পটা খুব মজার। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এ রকম গল্প আরও অনেক হয়েছে। মজা করে গল্প বলাটা খুব জরুরি। কো-আর্টিস্ট হিসেবে যাঁরা ছিলেন মৌসুমী, রাব্বি, সায়রা—সবাই খুব কাছের মানুষ। তবে এই কাজ করতে গিয়ে মুগ্ধ হয়েছি শিশু সহ-অভিনেতাদের কাজ দেখে।’ শিশুদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে আরও জানতে চাইলে উদাহরণ দিলেন ইরেশ, ‘এই কাজটা করার সময় আমার মেয়ে হাসপাতালে ছিল। তো সে সময় অন্য রকম একটা অনুভূতি কাজ করছিল। সেটে আমার সঙ্গে তিনটি বাচ্চা অভিনয় করেছে। তাদের মধ্যে মুমতাহিনাকে দেখলাম প্রথম দিকে কোনো কথা বলছে না। একটি দৃশ্যে ওকে অনেক কান্না করতে হবে। কিন্তু সে একদম নির্লিপ্ত, কারও কোনো কথা শুনতে পাচ্ছে কি না, সেটাও বোঝা যাচ্ছিল না। তবে পরিচালক যেই অ্যাকশন বলল আর ও এত ভালো, এত প্রাণবন্ত অভিনয় করল যে আমরা সবাই অবাক হয়ে দেখলাম। পরে বুঝলাম যে সে আসলে আমাদের অনেকের চেয়ে অনেক অভিজ্ঞ শিল্পী। বাংলাদেশের চৌকস শিল্পীদের মধ্যে একজন।’

‘সংসার আনলিমিটেড’ দিয়ে চরকিতে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে মৌসুমী হামিদকে। কাজটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চরকির সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ হলেও রনি ভাইসহ পুরো টিমের সবাই এত কাছের যে কাজ করতে গিয়ে কোনো রকম সমস্যা মনে হয়নি। ‘সংসার আনলিমিটেড’-এ আমার অংশ মানে স্ক্রিন টাইম বেশ অল্প। তবু গল্প আর আমার চরিত্রটা ভীষণ ভীষণ ইন্টারেস্টিং।’

‘সংসার আনলিমিটেড’-এর আরেকজন অভিনেতা মীর রাব্বি। নিজের কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চরকির সঙ্গে কাজ শুরু করার একটা ইচ্ছা ছিল। ফাইনালি সেটা হলো। একসঙ্গে আরও কাজ করার প্রত্যাশা রইল। কনটেন্টের গল্প একটু অন্য রকম। আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের অনেক সিরিয়াস কিছু বিষয় ও ভেতরের বোধগুলো সুন্দর করে বিদ্রূপাত্মক আঙ্গিকে তুলে ধরা হয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে সুন্দর একটা পারিবারিক গল্প।’