ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে যে কারণে রোমাঞ্চিত ছিলেন এ অভিনেত্রী
আগে বেশ কয়েকটি সিনেমা, টিভি সিরিজ করলেও সেভাবে পরিচিতি পাননি। সেটা কিছুটা পান নেটফ্লিক্সের সিরিজ ‘সেক্স এডুকেশন’ দিয়ে। তবে একই প্ল্যাটফর্মের আরেকটি সিরিজ ‘ব্রিজারটন’ দিয়ে তারকাখ্যাতি পান সিমোন অ্যাশলি, হয়ে ওঠেন তরুণদের অন্যতম পছন্দের অভিনেত্রী। ‘ব্রিজারটন’-এ অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়ের জন্যও আলোচিত হন তিনি। সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
সিমোন অ্যাশলের জন্ম ইংল্যান্ডে সারেতে, তাঁর মা-বাবা দুজনেই ভারতের তামিলনাড়ুর। সিমোনির ছোটবেলা থেকে অভিনয়ে ঝোঁক। পড়েছেন রেডরুফস থিয়েটার স্কুলে, পরে অভিনয়ের তালিম নিয়েছেন পশ্চিম লন্ডনের আর্টস এডুকেশনাল স্কুল থেকে।
সিমোন অ্যাশলে ‘ব্রিজারটন’ সিরিজে কেট শর্মা চরিত্রে অভিনয় করেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ দৈনিক সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২৭ বছর বয়সী অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সিরিজটির অন্তরঙ্গ দৃশ্যটি ধারণ করতে পুরো এক সপ্তাহ লেগেছিল।
সিমোন বলেন, ‘অন্তরঙ্গ দৃশ্যটি শেষ করার পর আমরা শ্যাম্পইন পান করি, দৃশ্যটি ছিল খুবই কঠিন; আমার তো মনে হয় ১১ মাসের শুটিংয়ে এটিই ছিল সবচেয়ে কঠিন দৃশ্য।’
অন্তরঙ্গ দৃশ্যটিতে অভিনয়ের বিস্তারিত জানিয়ে সিমোন আরও বলেন, ‘প্রতিদিন যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে দৃশ্যটি ধারণ করা হয়। পর্যাপ্ত ঘুম হচ্ছে কি না, সেসব খেয়াল রাখতাম। মোটকথা, দৃশ্যটিতে অভিনয়ের জন্য আমরা পুরোপুরি তৈরি কি না, সেটা দেখা হতো। আমি নিজেও নিজের শরীর নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
পর্দায় ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে কেন রোমাঞ্চিত ছিলেন, সাক্ষাৎকার সেটাও ব্যাখ্যা করেন সিমোন, ‘দৃশ্যটিতে অভিনয়ের আগে আমি নিরাপদ বোধ করেছি। পর্দায় বাদামি রঙের কোনো নারীর শরীর দেখা যাবে, এটা নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত ছিলাম, এটা নিয়ে কোনো ট্যাবু ছিল না। বাদামি বর্ণের ভারতীয় নারীদের অনেক সময়ই পর্দায় যেভাবে দেখানো হয়, সেটাও মাথায় ছিল।’
‘ব্রিজারটন’-এর ঘনিষ্ঠ দৃশ্যটিতে সিমোন অ্যাশলের সঙ্গে ছিলেন জনাথন বেইলি। এই অভিনেতার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সিনেমানি আরও বলেন, ‘জনাথন দারুণ এক সহ-অভিনেতা। এ ছাড়া আমাদের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের সমন্বয়ক (ইনটিমেসি কো-অর্ডিনেটর) ছিলেন দুর্দান্ত, যিনি দৃশ্যটিতে অভিনয়ে জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করেছিলেন।’