ডিসেম্বরেই ফিরল লেননের স্মৃতি, জমল কি

‘জন লেনন: মার্ডার উইদআউট আ ট্রায়াল’-এর পোস্টার। ছবি: অ্যাপল টিভি প্লাস

বয়স হয়েছিল মাত্র ৪০। ১৯৮০ সালের ৮ ডিসেম্বর এক শীতের রাতে আততায়ীর গুলি চিরদিনের মতো স্তব্ধ করে দিয়েছিল তাঁকে। সারা দুনিয়াকে প্রায় থমকে দেওয়া জন লেননের সেই মৃত্যুর ঘটনা আবার চর্চায়। সেই ডিসেম্বর মাসেই। কারণ, গতকাল অ্যাপল টিভি প্লাসে মুক্তি পেয়েছে তাঁর মৃত্যু নিয়ে তিন পর্বের তথ্যচিত্র সিরিজ ‘জন লেনন: মার্ডার উইদআউট আ ট্রায়াল’।

আরও পড়ুন

লেননের মৃত্যু হয়েছিল তাঁর এক ভক্ত মার্ক ডেভিড চ্যাপম্যানের গুলিতে। নতুন এই তথ্যচিত্রে তাঁর মৃত্যু ও এরপরের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। এই সিরিজে আইনজীবীর সঙ্গে চ্যাপমানের আলাপচারিতার বেশ কিছু অডিও ক্লিপ স্থান পেয়েছে, যা ‘জন লেনন: মার্ডার উইদআউট আ ট্রায়াল’কে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।

এ ছাড়া সিরিজটিতে রয়েছে এমন কিছু ফুটেজ, যা আগে কখনো প্রচারিত হয়নি। আছে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান, হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়া স্থানের দুর্লভ বিভিন্ন আলোকচিত্র। সিরিজটিতে ডেভিড চ্যাপম্যান কেন লেননকে হত্যা করলেন, সেটাও তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, আলাদাভাবে গুরুত্ব পেয়েছে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি। তাই আততায়ীর আইনজীবীর ছাড়াও এতে আছে তাঁর মনোবিদের সাক্ষাৎকারও।

এ ছাড়া আছে অন্য আইনজীবী, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কথাও। সব মিলিয়ে ৪৩ বছর পিছিয়ে গিয়ে ১৯৮০ সালের ৮ ডিসেম্বর আগে ও পরের ঘটনার আদ্যন্ত বিবরণ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন দুই নির্মাতা রব কোল্ডস্ট্রিম ও নিক হল্ট। ধারাবর্ণনা করেছেন কিফার সদারল্যান্ড।

তবে বেশির ভাগ সমালোচকের মত, তথ্যচিত্র সিরিজ হিসেবে এটি নতুন কোনো মাত্রা যোগ করতে পারেনি; বরং গায়কের মৃত্যু নিয়ে প্রচলিত বিভিন্ন ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’কেই উসকে দিয়েছে।

সিএনএন সিরিজটি নিয়ে রিভিউয়ের শিরোনাম করেছে ‘তথ্যচিত্রটি জনপ্রিয় সংগীত তারকার প্রতি সুবিচার করেনি’। তিন পর্বের সিরিজটিকে লেননের মৃত্যুর ‘অলস বয়ান’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর সমালোচক। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান অবশ্য সিরিজটিকে ‘চলনসই’ বলেছে, তারা পাঁচে রেটিং দিয়েছে তিন।