রোমাঞ্চে ভরপুর নতুন কে-ড্রামা, কী আছে ‘কার্মা’য়
এক ব্যক্তিকে খুনের পর এক রহস্যময় দুর্ঘটনা থেকেও বেঁচে যান কিম বেওম-জুন (পার্ক হে-সু)। তবে তাঁর জীবন থেকে স্বস্তি চলে যায়। কারণ, তাঁকে নিয়ে নিয়তির ভিন্ন পরিকল্পনা ছিল। মোটাদাগে এই হলো হালের আলোচিত কে-ড্রামা ‘কার্মা’র গল্প। ৪ এপ্রিল নেটফ্লিক্সে মুক্তির পর থেকেই আলোচনায় সিরিজ। চলতি সপ্তাহে প্ল্যাটফর্মটির অ-ইংরেজিভাষী সিরিজের তালিকার পাঁচ নম্বরে আছে ‘কার্মা’।
ছয় পর্বের থ্রিলার সিরিজটিতে একের পর এক চমক রেখেছেন লি ইল-হেউং, চিত্রনাট্যটিও টান টান। তাই সিরিজটি এত দর্শক পছন্দ করেছেন বলে মত সমালোচকদের।
এক্সে বিভিন্ন দর্শকের মন্তব্য পড়লেও সেটা পরিষ্কার। এক দর্শক লিখেছেন, ‘সিরিজটির শিক্ষা হলো জীবনে যেকোনো কৃতকর্মেরই ফল ভোগ করতে হয়।’ আরেক দর্শক লিখেছেন, ‘আরেকটি দুর্দান্ত কোরীয় সিরিজ। নির্মাতা কেবল টুইস্টেই নজর দেননি, বরং গল্পটাও বেছেছেন দারুণ।’
আরেক দর্শক আবার সিরিজের নির্মাণ, অভিনয় আর অ্যাকশনের প্রশংসা করেছেন। ‘কার্মা’ সিরিজের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পরস্পর সম্পর্কিত। নির্মাতা যেভাবে সেটা পর্দায় তুলে এনেছেন তা দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছে। রটেন টোমাটোজের সিরিজটির রেটিং ৮৩ শতাংশ, আইএমডিবিতে রেটিং ৭ দশমিক ৬। সিরিজটির শেষটা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। শেষে নির্মাতারা আসলে কী বার্তা দিয়েছেন, সেটা নিয়েও প্রচুর বিশ্লেষণধর্মী ভিডিও বানিয়েছেন ভক্তরা।
‘স্কুইড গেম’ দিয়ে ব্যাপক আন্তর্জাতিক পরিচিতি পেয়েছিলেন পার্ক হে-সু। বাগিয়েছিলেন এমি মনোনয়নও। এই সিরিজের প্রধান খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। চরিত্রটি এতটাই বিশ্বাসযোগ্যভাবে পর্দায় উপস্থাপন করেছেন যে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পার্ক। ‘চরিত্রটি একটা দানবের, পর্দায় আমি সেটাই হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। চরিত্রটি বহুমাত্রিক, অনেকগুলো স্তর আছে; চিত্রনাট্য পড়ার পর নিজেই ভেতরের রোমাঞ্চ বুঝতে পারছিলাম,’ এক সাক্ষাৎকারে বলেন পার্ক।
সিরিজটির বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন শিন মিন-এ, লি হি-জুন প্রমুখ।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা যদিও এখনো আসেনি, তবে ‘কার্মা’ নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে যে সিরিজটির সিকুয়েলের ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সূত্র: কোরিয়া টাইমস, এনডিটিভি