যে ৫ কারণে এই হিন্দি সিরিজ নিয়ে এত আলোচনা

‘অসুর ২’ সিরিজের পোস্টার
টুইটার

তখন বেশির ভাগ মানুষই ঘরবন্দী। করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে কোথাও কোথাও লকডাউন ঘোষণা হয়েছে, কোথায়ও বা প্রস্তুতি চলছে। এমন সময়ে ২০২০ সালের মার্চে মুক্তি পায় হিন্দি সিরিজ ‘অসুর’। ক্রাইম থ্রিলার ঘরানার সিরিজটি মুক্তির পরেই নেট–দুনিয়ায় ঝড় তোলে। টানটান গল্প, অভিনয় আর নির্মাণের গুণে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল সিরিজটি। শেষ হওয়ার দর্শকের যেন তর সইছিল না, অপেক্ষা ছিল পরের সিজনের। অবশেষে তিন বছর পর গত বৃহস্পতিবার রাতে মুক্তি পায় ‘অসুর ২’।

আরও পড়ুন

মুক্তির পর জনপ্রিয়তায় যেন প্রথমটিকেও ছাড়িয়ে গেছে সিরিজটি। বলিউড হাঙ্গামা, ইন্ডিয়া টুডে অবলম্বনে জেনে নেওয়া যাক সিরিজটির জনপ্রিয়তার পাঁচ কারণ।

জমজমাট গল্প
সমালোচকদের মতে ‘অসুর ২’-এর সবচেয়ে বড় শক্তি এর চিত্রনাট্য। প্রথম সিজন মুক্তির পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও তাড়াহুড়া করেননি নির্মাতারা। সময় নিয়ে লিখেছেন, বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন। ফল মিলেছে হাতেনাতে। দেখতে শুরুর পর দর্শক যে আর পর্দা থেকে চোখ ফেরাতে পারেন না, তার বড় কারণ লেখার জাদু। গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম সিরিজের দুই পর্ব মুক্তি পায়।

এই সিরিজ দিয়েই ওটিিটতে অভিষেক হয়েছে আরশাদ ওয়ার্সির
আইএমডিবি

এর পর থেকেই অনেক দর্শক জিও সিনেমার ফেসবুক পেজে মন্তব্য করেন দ্রুত পরের পর্বগুলো মুক্তি দিতে। এর মধ্যেই সিরিজের আট পর্ব অনলাইনে ফাঁস হয়। গত শুক্রবার রাতে বাধ্য হয়েই বাকি পর্বগুলো অফিশিয়ালি মুক্তি দেন জিও সিনেমা। দ্বিতীয় সিজনের গল্প এগিয়েছে প্রথম সিজন যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকেই। ডিজে আর তাঁর টিম শুভকে ধরতে পারবে কি না, তা নিয়ে গল্প এগিয়েছে।

চমকের পর চমক
ক্রাইম থ্রিলারধর্মী সিরিজগুলোতে চমক না থাকল সাধারণ দর্শক খুব একটা আকৃষ্ট হন না। এদিক থেকে পুরোটা পুষিয়ে দিয়েছে ‘অসুর ২’। শুধু শেষের দিকে নয় প্রতিটি পর্বে নির্মাতারা যে সব টুইস্ট রেখেছেন, তা মাথা ঘুরিয়ে দিতে যথেষ্ট। তবে শুধু চমক দিয়েই শেষ নয়, সিরিজে আবেগের বিষয়টিও ভালোভাবে তুলে এনেছেন নির্মাতারা।

সিরিজের একটি দৃশ্য বরুণ শক্তি
আইএমডিবি

অভিনয়ে টেক্কা
‘অসুর’ দিয়ে ওয়েব সিরিজে অভিষেক হয়েছিল আরশাদ ওয়ার্সির। প্রথম সিজনের মতো দ্বিতীয় সিজনেও তিনি দুর্দান্ত। শুধু কী তিনি, অন্য সব চরিত্রের অভিনেতা বরুণ শক্তি, অভিষেক চৌহান, রিদ্ধি ডগরা, শারিব হাশমিরা ফাটিয়ে দিয়েছেন।

দুর্দান্ত নির্মাণ
‘অসুর ২’ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন নির্মাতারা। একটা স্মার্ট সিরিজ করতে কী দরকার, তা তাঁরা ভালো করেই জানেন। প্রথম সিজনে থাকা কিছু অযৌক্তিক বিষয় নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল, দ্বিতীয় সিজনে তাঁরা চেষ্টা করেছেন, সেগুলো কাটিয়ে উঠতে। দর্শক যাতে পর্দা থেকে চোখ সরাতে না পারে, তার সব ব্যবস্থাই করেছেন তাঁরা।
অভিনয়, নির্মাণ, গল্প ছাড়াও ‘অসুর ২’ প্রশংসিত হচ্ছে কারিগরি দিকের কারণেও। এখানে ক্যামেরার কাজ, সাউন্ড ডিজাইন অন্য অনেক ভারতীয় সিরিজের চেয়ে এগিয়ে—এমনটা মনে করছেন অনেক সমালোচক। এর আগে জিও সিনেমা থেকে মুক্তি পাওয়া কোন সিরিজই বা সিনেমাই সেভাবে পাত্তা পায়নি। সমালোচকেরা মনে করছেন, ‘অসুর ২’ দিয়ে প্ল্যাটফর্মটি ঘুরে দাঁড়াবে।

শক্তিশালী খল চরিত্র
‘অসুর ২’ জনপ্রিয়তার অন্যতম বড় কারণ শক্তিশালী খলনায়ক। শুভ চরিত্র এতটাই শক্তিশালী যে নায়কেরা বিরাট দল নিয়েও তাঁকে হারাতে পারে না। ফলে লড়াইও হয় জমজমাট। এটাই সিরিজটিকে এতটা গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছে। ৬ষ্ঠ পর্বে যখন শুভ হাজির হয়, তখন তো শোর গতি-প্রকৃতি পুরো বদলে যায়।