দূরবর্তী সম্পর্কের গল্পে ফারিণ–প্রীতম

‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’র শুটিংয়ে প্রীতম ও ফারিণ। চরকি

কিছুদিন আগেই বিয়ে করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। অভিনেত্রীর স্বামী শেখ রেজওয়ান রিফাদ আহমেদ যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেছেন। ফারিণ অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ঢাকায়। ফলে দুজনকে দীর্ঘদিন একটা লং ডিসট্যান্স সম্পর্কের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। কাকতালীয়ভাবে ফারিণ নতুন যে ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছেন, সেটিও লং ডিসট্যান্স সম্পর্ক নিয়েই!

আরও পড়ুন

৩ আগস্ট চরকি ঘোষণা দেয় ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টের। জানানো হয়, ১২ জন জনপ্রিয় নির্মাতা ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানাবেন। এই পুরো প্রজেক্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছেন জনপ্রিয় পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’র শুটিংয়ে ফারিণ। চরকি

গত সপ্তাহেই এই প্রজেক্টের সিনেমা ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’র ঘোষণা আসে। এবার জানা গেল, শিহাব শাহীনের ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’র খবর। লং ডিসট্যান্স সম্পর্কের ক্ষেত্রে দূরত্বের কারণে মাঝেমধ্যে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা, সন্দেহ ও ক্ষোভ। এ রকম সম্পর্কের গল্প নিয়েই চরকি অরিজিনাল সিনেমাটি। এতে ফারিণের সঙ্গে দেখা যাবে গায়ক, অভিনেতা প্রীতম হাসানকে।

সিরিজটির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিজীবনের মিল সম্পর্কে ফারিণ বলেন, ‘এই সিনেমার গল্প আমার জীবনের সঙ্গে অনেকখানি মিলে যায়। আমার আর আমার স্বামীর লং ডিসট্যান্স রিলেশন ছিল। তাই নিজের সঙ্গে কানেক্ট করে কাজ করতে ভালো লেগেছে। সিনেমায় আমার চরিত্রের নাম শারমিন। সে অতীতের সম্পর্ক নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়েছিল। তবে ফারহানের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর দারুণ কিছু হয়।’

‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’র শুটিংয়ে প্রীতম ও রুপন্তি। চরকি

‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’র সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলেন—এমন প্রশ্নে প্রীতম হাসান বলেন, ‘শিহাব ভাই (পরিচালক) একদিন হঠাৎ ফোন দিয়ে জানালেন, তাঁর কাছে একটা গল্প আছে। তারপর ভাইয়ের সঙ্গে বসে চিত্রনাট্য দেখার পর আমি নিশ্চিত হয়েছি—কাজটা করতে চাই। খুব সুন্দর গল্প নিয়ে সিনেমা এটি।’

‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’র শুটিংয়ে ফারিণ। চরকি

এই সিনেমায় নিজের চরিত্র নিয়ে প্রীতম বলেন, ‘আমি এখানে রুয়েটের একজন শিক্ষার্থীর চরিত্র করেছি। একটা সংকটময় শৈশব পার করে বড় হয় ছেলেটি। সে বেশ রুক্ষ, অনেক কিছু সম্পর্কে তার জানা নেই। তবে প্রথমবার প্রেম পড়ার পর তার জীবনের অনেক কিছুই বদলে যায়।’

সিনেমার গল্প নিয়ে পরিচালক শিহাব শাহীন বলেন, ‘জীবনে অসংখ্য প্রেমের গল্প বানিয়েছি। কিন্তু এবারের প্রেমের গল্প বলতে গিয়ে নতুন কিছু অনুভূতি হয়েছে। এটা একদম নতুন গল্প। যদিও প্রতিটি কাজেই নতুন কিছু অভিজ্ঞতা হয়। দূরত্ব ভালোবাসার ওপর কীভাবে চাপ তৈরি করে, কীভাবে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি করে, তা এই সিনেমায় থাকবে। যাঁরা প্রবাসে থাকেন, তাঁরা এটা ভালো ধরতে পারবেন। এটা একটা স্পর্শের গল্প।’

‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’র শুটিংয়ের দৃশ্য। চরকি

‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’র শুটিং হয়েছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ায়। দেশের বাইরে পুরো ইউনিট নিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে পরিচালক বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার শুটিংয়ে যাঁরা জড়িত ছিলেন, সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। তাঁরা ছাড়া কাজটি করা কঠিন হতো। আমরা রাজশাহীতে কাজ করেছি। সেখানকার সবাই আমাদের সাহায্য করেছেন। রাজশাহী ও অস্ট্রেলিয়ার দুই জায়গাতে প্রেমের গল্প বলার মতো দারুণ জায়গা পেয়েছি।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সিনেমাটি নিয়ে বলেন, ‘শিহাব শাহীন রোমান্টিক ঘরানার গল্প বলার ক্ষেত্রে বেশ পটু একজন। তাঁর সুখ্যাতি আমরা সবাই জানি। আমি নিশ্চিত, এই কাজেও শিহাব ভাই প্রেমের সহজ অনুভূতিগুলো, দূরত্বের বেদনাদায়ক অনুভূতিগুলো, কাছে আসার আনন্দদায়ক অনুভূতিগুলো তুলে ধরতে পারবেন। এই সিনেমায় ফারিণ-প্রীতমের কাস্টিংটা দারুণ হয়েছে। আমি মুখিয়ে আছি কাজটি দেখার জন্য।’

‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’র শুটিংয়ে প্রীতম ও ফারিণ। চরকি

চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘শিহাব ভাই চরকির জন্য এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জনরার বেশ কিছু কনটেন্ট নির্মাণ করেছেন। তবে এই প্রথম তিনি চরকির জন্য রোমান্টিক জনরার সিনেমা নির্মাণ করছেন। তিনি রোমান্টিক কনটেন্ট দিয়ে এরই মধ্যে দর্শকের মনে অন্য একটা স্থান করে নিয়েছেন। আশা করছি, “কাছের মানুষ দূরে থুইয়া” দিয়ে শিহাব ভাই দর্শকদের মধ্যে আবার ঝড় তুলবেন।’