যে কারণে প্রতিদিন সিএনজি অটোরিকশা চালাতে হয়েছে শ্যামল মাওলাকে

‘আন্তঃনগর’ সিনেমায় সিএনজিচালকের চরিত্রে দেখা যাবে শ্যামল মাওলাকে
ছবি : চরকির সৌজন্যে

নগরের ইট-পাথরের এই নগরে মিশে আছে অগণিত বেদনা আর ভালোবাসার উষ্ণ গল্প। তেমনই কিছু গল্প থেকে বেছে নেওয়া গল্পের সমাহার হয়েছে ‘আন্তঃনগর’ সিনেমায়। গতকাল ৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে চরকি তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একটি ছবি পোস্ট করে। সেই পোস্টের মাধ্যমেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এই সিনেমার।

পরিচালক গৌতম কৈরী নৈপুণ্যের সঙ্গেই গল্প লেখা ও পরিচালনার কাজটি করেছেন। শ্যামল মাওলা, রুনা খান, সোহেল মণ্ডল, শবনম ফারিয়া, আশীষ খন্দকার, প্রান্তর দস্তিদার, নিদ্রা নেহাসহ অনেককেই দেখা যাবে এই সিনেমায়।

‘আন্তঃনগর’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন শবনম ফারিয়া আর সোহেল মণ্ডলও
ছবি : চরকির সৌজন্যে

সিএনজিচালকের চরিত্রে দেখা যাবে শ্যামল মাওলাকে। তিনি বলেন, ‘আন্তঃনগর-এ অভিনয় করাটা একটু কঠিন ছিল আমার জন্য। কেননা, প্রতিদিন সিএনজি চালাতে হয়েছে। সিএনজি চালাতে চালাতে হাতে ফোসকা পড়ে গেছে। সেই সঙ্গে অভিনয়; সব মিলিয়ে একটা মিশ্র পরিস্থিতি। সহশিল্পী হিসেবে রুনা আপুর সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে। এই সিনেমার গল্প বলার থেকে দেখতে বেশি ভালো লাগবে। কারণ, কাজটা বেশ মৌলিক।’

প্রথমবারের মতো চরকির কোনো কাজে দেখা যাবে রুনা খানকে। তিনি বলেন, ‘সিনেমায় আমার সহশিল্পী ছিলেন শ্যামল ও জয় রাজদা। তারা দুজনেই গুণী অভিনেতা। প্রতিটি সিনেমার পরিচালক নিজের মতো করে তাঁদের গল্প দেখানোর চেষ্টা করেন। সেদিক থেকে আন্তঃনগরের বলার ধরন এক ভিন্নরকম ছিল। আশা করছি, দর্শকেরা এটা দারুণভাবে উপভোগ করতে পারবে।’

‘আন্তঃনগর’-এ আছেন সোহেল মণ্ডলও। তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেন, ‘গৌতম কৈরীর সঙ্গে অনেক আগে থেকেই পরিচয় ছিল। পরিচালক হিসেবে তিনি বেশ বন্ধুসুলভ। পুরো টিম ছিল ক্রিয়েটিভ, তাই কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ। এটা আমাদের চারপাশের মানুষের গল্প।’

‘আন্তঃনগর’ সিনেমার অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া বলেন, ‘এই সিনেমায় যাঁরা আছেন, সবার সঙ্গেই আগে কাজের অভিজ্ঞতা ছিল।

অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া বলেন, ‘এই সিনেমায় যাঁরা আছেন, সবার সঙ্গেই আগে কাজের অভিজ্ঞতা ছিল। রুনা আপার সঙ্গে সিরিয়ালে দীর্ঘ সময় কাজ করেছি। শ্যামল দা, সোহেল ভাই—সবাই পছন্দের মানুষ। তাই তাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বেশ।

ফারিয়া আরও বলেন, ‘এই সিনেমার গল্প নারীদের জীবনযুদ্ধ নিয়ে। এটা আমাদের খুব কাছের গল্প। কাজটা নিয়ে আমার অনেক প্রত্যাশা। চরকি ভিন্ন ধরনের ভালো গল্প বলে। সেদিক থেকে গল্পটা নিয়ে প্রত্যাশা অনেক বেশি।’

পরিচালক গৌতম কৈরী বলেন, ‘আমার প্রথম সিনেমা আন্তঃনগর। মিশ্র এক অনুভূতির মধ্য দিয়েই যেতে হয়েছে আমাদের। আন্তঃনগর-এ সব অভিনয়শিল্পী নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়েই কাজটি করেছেন। এখানে দুজন নতুন অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে দর্শক পরিচিত হবে। তাদের ডেডিকেশন লেভেলের প্রশংসা করতেই হবে।’

এরই মধ্যে শুটিং শেষ হয়েছে সিনেমাটির। গৌরীপুর, মোহম্মদপুর, পুরান ঢাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে হয়েছে ‘আন্তঃনগর’-এর শুটিং। সিনেমাটি খুব তাড়াতাড়ি চরকিতে দেখতে পাবে দর্শক।