গৃহকর্মীর কাছ থেকে শিখেছেন নুসরাত

নুসরাত বরুচা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

পর্দায় চরিত্রের মতো হয়ে উঠতে অনেক কিছুই করতে হয় অভিনয়শিল্পীদের। আশপাশের সাধারণ মানুষ নানাভাবে অনুপ্রাণিত করে তাঁদের। বলিউড নায়িকা নুসরাত বরুচা পর্দায় ‘মীনাল’ হয়ে উঠতে এমনই এক মানুষের সাহায্য নিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘অজীব দস্তান’। রাজ মেহেতা পরিচালিত অমনিবাস এই সিনেমার একটি গল্পে ‘মীনাল’ নামের একটি চরিত্রে একেবারে নতুন রূপে দেখা গেছে ‘সোনু কে টিটো কি সুইটি’খ্যাত নুসরাতকে। নুসরাত এই ছবির জন্য ‘অভিনয়ের প্রশিক্ষণ’ নিয়েছেন তাঁর বাড়ির গৃহকর্মীর কাছ থেকে।

নুসরাত বরুচা
ইনস্টাগ্রাম

৩৫ বছর বয়সী এই অভনেত্রী বলেন, ‘চরিত্রটি নিয়ে আমি খুব চিন্তায় ছিলাম। তবে এ জন্য বেশি দূর যেতে হয়নি আমাকে। আমি আমার বাড়ির পরিচারিকাকে কাছ থেকে দেখে শিখে নিয়েছি। ওর হাবভাব, শারীরিক ভাষা, কথা বলার ধরন—সবকিছুই আমি খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করি। অনেক জায়গায় আমি ওকে প্রশ্ন করেছি। ও উত্তর দিয়েছে। আবার অনেক সময় ও নিজেই অনেক কিছু ব্যাখ্যা করেছে, বুঝিয়ে দিয়েছে। ও-ই আমাকে আমার চরিত্রটি গভীরভাবে অনুধাবন করিয়েছে।’

‘ড্রিম গার্ল’–এর এই নায়িকা আরও বলেন, ‘আমি আমার পরিচারিকার সঙ্গে মীনালের অনেক মিল পেয়েছি। মীনাল এক সাধারণ মেয়ের গল্প। এই মেয়েটি নিজের এবং তার বোনের প্রয়োজন মেটাতে নিদারুণ সংগ্রাম করে। বোনকে নিজের সবটুকু উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করে।

নুসরাত বরুচা
ইনস্টাগ্রাম

‘মীনাল’–এর জীবন আর আমার বাড়ির পরিচারিকার জীবন যেন অনেকটা একই রকম। কারণ, আমার পরিচারিকা নিজের ছেলেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করে। আমি ওর এই ভাবনার জন্য ওকে ভালোবাসি। এত পরিশ্রম আর কষ্টের মধ্যেও ওর ঠোঁটের কোণে সব সময় হাসি লেগেই থাকে। আমি সেই হাসিটা মীনালের মধ্যে রাখার চেষ্টা করেছিলাম।’
নুসরাতকে এবার নানা চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে। ‘হুড়দংগ’, ‘চোরি’, ‘জনহিত মে জারি’, আর ‘রামসেতু’তে আছেন তিনি।

নুসরাত বরুচা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম