ভৌতিক সিরিজ ‘পেটকাটা ষ’

ব্যতিক্রমী সব কনটেন্ট নিয়ে হাজির চরকি। শাটিকাপ, নিখোঁজ কিংবা ঊনলৌকিক–এর নাম বলা যায়। এবার তারা নিয়ে আসছে ভূত নিয়ে অ্যান্থলজি সিরিজ পেটকাটা ষ। শাঁকচুন্নি, পিশাচ, পেতনি কিংবা প্রেত—এই সিরিজে পাওয়া যাবে সব ধরনের ভূতদের দেখা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চরকি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই নতুন সিরিজের ঘোষণা দিয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন নুহাশ হুমায়ূন। সিরিজে থাকবে মোট চারটি পর্ব। চরকি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘এই বিল্ডিংয়ে মেয়ে নিষেধ’, ‘মিষ্টি কিছু’, ‘লোকে বলে’ ও ‘নিশির ডাক’ নামের পর্বগুলো মুক্তি পাবে এপ্রিল মাসের প্রতি বৃহস্পতিবার। মানে আগামী ৭, ১৪, ২১ ও ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ৫৯ মিনিটে প্রচারিত হবে এগুলো।

ভূতের সিরিজের নাম পেটকাটা ষ কেন? এমন প্রশ্নে নির্মাতা নুহাশ বলেন, ‘মূর্ধন্য ষ-কে আমরা সবাই ছোটবেলা থেকে পেটকাটা ষ বলি। কেউ বাংলা ভাষা শিখলেই এই অক্ষরটাকে পেটকাটা ষ বলেও চেনে। কিন্তু কেন?

কোনো বাংলা বই বা কোথাও পেটকাটা ষ লেখা নেই। আমার কাছে এটা খুবই ভৌতিক ও অদ্ভুত নাম মনে হয়েছে। কেমন করে যেন লোকমুখে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জিনিসটা খুব পরিচিত হয়ে গেছে।’

নুহাশ হুমায়ূন

এই নির্মাতা আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছিল এই ভূতের গল্পগুলোও একই রকম। কোথাও লেখা নেই। পুরাটা লোককথা। কিন্তু মুখে মুখে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে গেছে। তাই ফাইনালি, পেটকাটা ষ-কে পেটকাটা ষ–ই বলতে চাই; লিখতে চাই। আর ভূতের গল্পগুলোকে আমার মতো করে আধুনিকভাবে একত্র করতে চাই।’

নুহাশ আরও বলেন, ‘কিছু বাংলা ভূতের গল্প আমাদের সবার শোনা আছে। মাছ রাঁধলে পেতনি আসে, মিষ্টির দোকানে রাতে জিন আসে, নিশির ডাক শুনতে নেই, খোলা চুলে সন্ধ্যায় বের হতে নেই—এসব ক্ল্যাসিক বাংলা ভূতের গল্প কিন্তু আমাদের ঐতিহ্য। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের অলিখিত গল্প। এই গল্পগুলোকে এক পর্দায় আনার সময় এসেছে। এই গল্পগুলো উপলব্ধি করার সময় এসেছে। পেটকাটা ষতে সেই ক্ল্যাসিক গল্পগুলোকে নতুন করে উপস্থাপন করেছি।’