কে–পপ অ্যালবাম রপ্তানিতে রেকর্ড

বিটিএসের সদস্যরাছবি: রয়টার্স

বিটিএস, ব্ল্যাকপিংকের মতো ব্যান্ডের হাত ধরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে কে-পপের খ্যাতি। প্রতিবছর জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিভিন্ন দেশে কে-পপ অ্যালবাম রপ্তানি করে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করে দক্ষিণ কোরিয়া।

এ বছর প্রথম ছয় মাসে অ্যালবাম রপ্তানিতে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙেছে দক্ষিণ কোরিয়া। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১৩ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলারের অ্যালবাম বিক্রি করেছে তারা, যা গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি।

দক্ষিণ কোরিয়ার বাইরে কে-পপের সবচেয়ে বড় বাজার জাপান। অনেক কোরীয় ব্যান্ডকে জাপানি ভাষায়ও গান করতে দেখা যায়। জানুয়ারি থেকে জুন জাপানে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের অ্যালবাম রপ্তানি করেছে কোরিয়া। বছরের পর বছর দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীনকে এবার টেক্কা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আড়াই কোটি ডলারের অ্যালবাম কিনেছে যুক্তরাষ্ট্র, ২ কোটি ২০ লাখ ডলারের অ্যালবাম কিনেছে চীন।

বিটিএসের সদস্যরা
ছবি: রয়টার্স

উত্তর আমেরিকার শ্রোতাদের মধ্যেও কে-পপের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিটিএস ও ব্ল্যাকপিংকের পাশাপাশি অন্য কোরীয় ব্যান্ডগুলোর পরিচিতিও ছড়িয়ে পড়েছে। কোরিয়া মিউজিক কনটেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চোয়ে কোয়াং হো বলেন, ‘উত্তর আমেরিকায় কে-পপ মানেই একসময় বিটিএস ও ব্ল্যাকপিংককে ধরা হতো, কিন্তু এখন সব ধরনের ব্যান্ডের গানই তাঁরা শুনছেন।’

জার্মানি, তাইওয়ান, হংকং, নেদারল্যান্ডস, কানাডা ও ফ্রান্সেও অ্যালবাম রপ্তানি করে কোরিয়া। গ্র্যামি মনোনয়ন পাওয়া ব্যান্ড বিটিএস বিরতিতে থাকলেও ব্যান্ডটির সদস্যরা কোরিয়ার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। একের পর এক একক গান ও অ্যালবাম প্রকাশের পাশাপাশি নিয়মিত কনসার্টও করছেন জিমিন-জাংকুকরা। ‘লাইক ক্রেজি’ গান দিয়ে প্রথম কোনো কে-পপ গায়ক হিসেবে বিলবোর্ডের তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছেন জিমিন। ফলে বিটিএসের বিরতি খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।

বিটিএসের বাইরে টুমরো টুগেদার, স্ট্রে কিডস, টোয়াইস, সেভেনটিন, ফিফটি ফিফটির মতো জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ডগুলোও গত ছয় মাসে নিয়মিত অ্যালবাম করেছে; বেশ কয়েকটি ব্যান্ড বিলবোর্ডের তালিকায়ও ছিল।