পেছনে তাকালে খুব অবাক হই

চরকির ‘নিখোঁজ’, হইচইয়ের ‘বোধ’ সিরিজে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া। ‘এখানে নোঙর’ নামে নতুন একটি ওয়েব চলচ্চিত্রের দৃশ্য ধারণ শেষ করেছেন তিনি। সিনেমাটিসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে ‘বিনোদন’–এর সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

প্রশ্ন :

‘এখানে নোঙর’ সিনেমায় যুক্ত হলেন কেন?

ওয়েব সিনেমাটির গল্প শোনার পর মনে হয়েছে, কাজটি করা যায়। চিত্রনাট্য, পরিচালক, শিল্পী—সব মিলিয়ে কাজটা আমার ভালো লেগেছে। আমার অংশের দৃশ্য ধারণ শেষ করেছি, বাকি অংশের দৃশ্য ধারণ চলছে।

আরও পড়ুন

প্রশ্ন :

‘নিখোঁজ’, ‘বোধ’–এ আপনার চরিত্রগুলো দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়েছে। ওটিটিতে নিয়মিত অভিনয়ের পরিকল্পনা আছে?

ওটিটিই বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। ওটিটিতে অবশ্যই কাজ করতে হবে। ওটিটির কাজের মান যথেষ্ট ভালো, আমি যেমন ধরনের কাজ করতে চেয়েছি, তেমন কাজ ওটিটিতে করতে পারছি। এখন তো করছিই, সামনেও আরও কাজ আছে।

অর্চিতা স্পর্শিয়া
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

অন্য মাধ্যমের কনটেন্টের চেয়ে ওটিটি কনটেন্টগুলো কোথায় আলাদা বলে মনে করেন?

বাজেট অনেক বড় বিষয়, পর্দায় কনটেন্টের মান বোঝা যায়। বাজেট ভালো হলে কাজের মানে বড় ভূমিকা রাখে। ওটিটির কল্যাণে নতুনেরা সুযোগ পাচ্ছেন। নতুন শিল্পী আসছেন, নতুন নতুন গল্প নিয়ে কাজ হচ্ছে। প্রতিভা দিয়েই নিজেদের জায়গা তৈরি করতে পারছেন নতুন শিল্পীরা। অনেক পুরোনো শিল্পীও সুযোগ পেয়েছেন।

অর্চিতা স্পর্শিয়া
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

আপনার কাজ কম দেখা যায়, ফলে অনেকের ধারণা, আপনি অভিনয়ে অনিয়মিত...

কাজ কমই করি, অনেক বেশি কাজ করতে হবে—আমি এটিতে বিশ্বাসী নই। পছন্দমতো কাজ করার চেষ্টা করি। মনে সায় না দিলে সেই কাজ করি না। ভালো কাজের চেষ্টা করছি। সব সময় কোনো না কোনো কাজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এর জন্য আমি ভাগ্যবান মনে করি নিজেকে। আমি হয়তো খুব বেশি ‘সামাজিক’ নই, নিজের মতো করে থাকি। আমাকে শুধু কাজের মধ্যেই পাওয়া যায়। সে কারণেই অনেকে বলে, আমি হয়তো অনিয়মিত। আসলে তা না, আমি আমার মতো করে কাজ করে যাই।

আরও পড়ুন
অর্চিতা স্পর্শিয়া
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

মানুষের জীবনে উত্থান–পতন থাকে, সমাজের অস্থিরতার প্রভাবে অনেক সময় বিষণ্নতাও আসে। সব সামলে দিনের পর দিন কাজে করে যাওয়ার প্রেরণা কোথায় পান?

জীবনে, দুনিয়ায়, সমাজে, মনে, শরীরে সব সময়ই সংকট থাকে। সব সময়ই মানুষ এক অবস্থায় থাকে না। পুরো বিশ্বের মানুষকে উত্থান–পতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এটাকে আলাদা করে কিছু ভাবি না। এগুলো জীবনের অংশ। আমি বিশ্বাস করি, কর্মই ধর্ম। আমি অভিনয় না করে বেশি দিন থাকতে পারি না। তবে দুই মাস পরপর মনে হয়, সব ছেড়ে চলে যাব। কিন্তু পারি না, আবার অভিনয়ে ফিরে আসি। ভালো গল্প, চরিত্র পেলেই অভিনয়ে ফিরি। অভিনয় ছেড়ে ব্যবসা, চাকরি কত কিছুই করতে চেয়েছি, সবখানেই ব্যর্থ হই। প্রায় এক যুগ ধরে অভিনয়টা করছি, পেছনে তাকালে খুব অবাক হই।

অর্চিতা স্পর্শিয়া
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

এক যুগে বহু চরিত্রকে ধারণ করেছেন। কোন চরিত্রটিকে আপনার চোখে সেরা মনে হয়?

আমি তেমন একটা সন্তুষ্ট নই, আমার ভালো কাজের সংখ্যা কম। তবে আমি সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করি।

অর্চিতা স্পর্শিয়া
ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্ন :

এবার একটু ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে আসি। আপনি একক মায়ের (সিঙ্গেল মাদার) তত্ত্বাবধানে বেড়ে উঠেছেন। সম্প্রতি হাইকোর্টের এক রায়ে সন্তানের আইনগত অধিকার মাকে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

পাসপোর্ট ও ভোটার আইডি কার্ডে বাধ্য হয়ে মায়ের সঙ্গে বাবার নামও দিতে হয়েছে। বাধ্য না হলে মায়ের নাম দিয়েছি, বাবার জায়গায়ও মায়ের নাম লিখেছি। এখন হয়তো আর বাধ্য হয়ে লিখতে হবে না। এই পরিবর্তনের জন্য আমি খুশি।

আরও পড়ুন