কাওয়ালির স্বাদ পেল ঢাকা

গান ছাড়া বিয়ের অনুষ্ঠান হতেই পারে না। পন্ডস্-নকশা বিয়ে উৎসবে তাই সকাল থেকেই চলছে গান। গায়ে হলুদের গান ‘হলুদ বাটো মেন্দি বাটো’, ‘মালকা বানুর দেশেরে’, বিয়ের গান ‘আইসে দামান’ গেয়ে শোনান নারায়ণগঞ্জের এসএম সেলিমের দল চৈতি সংগীত একাডেমী। প্রায় ১০ বছর ধরে এই দলটি বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে গান করে আসছে। সেলিম জানালেন, বিয়ের উৎসবের এই গানগুলো দখল করে নিচ্ছে বিভিন্ন হিন্দি গান। আমরা বিয়ের দেশীয় গানগুলো বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে গেয়ে থাকি। বিয়ের বাজার যেমন দেশেই রয়েছে, তেমনি বিয়ের অনুষ্ঠানে আমাদের লোকগানগুলোই বেশি মানানসই।’
অনুষ্ঠানে উদ্দীপনা ছড়ায় ঢাকার সমীর কাউয়াল। তিনি ‘আজ বুঝি তোরে যাইব লইয়া রে বুবু জান’, রূপসুন্দরী কাছে এসো না’-সহ বেশ কয়েকটি কাওয়ালি গেয়ে শোনান তিনি। বনেদি বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে এখনো ঐতিহ্যবাহী এই সংগীত পরিবেশিত হয়ে থাকে। বিয়ে উৎসবে অংশ নেওয়া ইফতেখার জানালেন, ‘কাওয়ালি বলে যে এক ধরণের গান আছে ভুলেই গিয়েছিলাম। এখানে এসে গানগুলো শুনে ভালো লাগলো। নিজের বিয়ের অনুষ্ঠানের অতিথিদের জন্য এই আয়োজন রাখার চেষ্টা করব।’

বেলা ৩টায় অনুষ্ঠানের মঞ্চে গান শোনাতে আসে শিল্পী পুলক। তিনি ‘আলগা করো গো খোপার বাঁধন’, ‘অন্তরে অন্তরে মাওলা তোমার ঘর’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘বন্দে মায়া লাগাইসে’ গানগুলো গেয়ে শোনান।
পন্ডস্-নকশা বিয়ে উৎসবে সারা দিন চলবে গান, নাচ, বিয়ের নানা বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। আজ রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে প্রথম আলো’র জীবনযাপন বিষয়ক সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্র নকশার আয়োজনে প্রথম দিনের পন্ডস্-নকশা বিয়ে উৎসব। আগামী কাল মঙ্গলবার এই আয়োজনে থাকবে গান-বাজনার আরও নানা আয়োজন।