কে কের মৃত্যু: সিবিআই তদন্ত চেয়ে তিন মামলা

কৃষ্ণ কুমার কুন্নাথ (কেকে)। ছবি: জাহিদুল করিম

কলকাতার নজরুল মঞ্চে কনসার্টের পর আকস্মিক মৃত্যু হয় বলিউডের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কে কের। সেই মৃত্যু এখনো মেনে নিতে পারেননি কলকাতার বহু মানুষ এবং তাঁর ভক্তরা। কে কের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উঠতে শুরু করেছে নানাবিধ প্রশ্ন। শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি কাঠগড়ায় তোলা হয় নজরুল মঞ্চ এবং ফেস্টের উদ্যোক্তাদেরও। এবার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনটি পৃথক জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে এই মামলা করা হয়। এরপর হাইকোর্ট থেকে এসব মামলা গ্রহণ করে শুনানির উদ্যোগ নিয়েছে। জানা গেছে, চলতি সপ্তাহেই এই তিনটি মামলার একযোগে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

কৃষ্ণ কুমার কুন্নাথ (কেকে)
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

মামলা তিনটি করেছেন আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, আইনজীবী সৌমশুভ্র রায় এবং আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা দাবি করেছেন, শিল্পীর এই অকালমৃত্যুর জন্য কারা দায়ী, সে ব্যাপারে নিরপেক্ষ কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। কারণ, ইতিমধ্যে এ মৃত্যু নিয়ে নানা গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে আয়োজক কলকাতার গুরুদাস কলেজ, রাজ্য পুলিশ এবং নজরুল মঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তা ছাড়া নজরুল মঞ্চে দর্শক ধারণক্ষমতা আড়াই হাজার হলেও সেখানে কীভাবে সাত হাজার দর্শক ঢুকে পড়ল, সেসব তদন্তেরও প্রয়োজন রয়েছে।

কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে

কলকাতার গুরুদাস কলেজের দুই দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৯ মে কলকাতায় আসেন কে কে। এরপর গত মঙ্গলবার কলকাতায় নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠান ছিল কেকের। মঞ্চে টানা ২০টি গান গাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেখান থেকে প্রথমে হোটেল এবং পরে স্থানীয় এক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

কে কের মৃত্যুর পর তাঁর ময়নাতদন্তের জন্য একটি বিশেষ চিকিৎসকদের দল তৈরি হয়। ময়নাতদন্তের বিস্তারিত প্রতিবেদন জানানো হয়েছে, গান গাইতে আর নাচতে গিয়ে অতিরিক্ত উত্তেজনায় কে কের হার্টের ব্লকেজ বেড়ে গিয়ে আচমকাই বন্ধ হয়ে যায় রক্ত চলাচল। ফল, কার্ডিয়াক অ্যাটাক। এরপর চিকিৎসা শুরুর আগেই অকালে চলে যেতে হলো গায়ককে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন