কয়েকটি প্রেমের গান

যুগে যুগে পৃথিবীতে জনপ্রিয়তা পেয়েছে দুই ধরনের গান। এগুলোর একটি প্রেমের গান, অন্যটি প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার বেদনার গান। বিশ্ব সংগীত অঙ্গনে সেই পুরোনো আমল থেকে এখন পর্যন্ত যে গানগুলো প্রেমিক-প্রেমিকার হৃদয়ে বেঁচে আছে, সে রকম কয়েকটি গান নিয়ে আজকের আয়োজন।

জেনেট জ্যাকসন
জেনেট জ্যাকসন
.
.
টেইলর সুইফট
টেইলর সুইফট

জেনেট জ্যাকসনের গাওয়া ‘দ্যাটস দ্য ওয়ে লাভ গোজ’ গানটি তাঁর প্রথম একক অ্যালবামের। ১৯৯৩ সালে প্রকাশের পর আট সপ্তাহ ধরে গানটি ছিল শীর্ষ ১০০ গানের ১ নম্বরে। এটি যে বছর প্রকাশিত হলো, সেই বছরে বড়দিনের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে বিস্মিত শিল্পী। ফিরে গিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে বলেছিলেন, ‘তোমাদের কথাই ঠিক, বোমার মতো ছড়িয়ে গেছে গানটা।’ লোকে আজও গানটি শুনতে ভালোবাসে।
১৯৯১ সালে ‘জাস্টিফাই মাই লাভ’ গানটি গেয়েছিলেন বিখ্যাত শিল্পী ম্যাডোনা। টানা দুই সপ্তাহ ধরে এটি ছিল সেরা গানের তালিকায়। এমটিভিতে গানটির ভিডিও বহুবার চালানোর পরও সেটি বারবার প্রচারের অনুরোধ আসতেই থাকে। একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে কর্তৃপক্ষ সেটি বন্ধ করে দেয়।
রাইটারস ব্রাদার্সের গান ‘ইউ হ্যাভ লস্ট দ্যাট লাভিং ফিলিং’ ১৯৬৫ সালের প্রেমের গান। ব্যারি মান ও সিনথিয়া ওয়েইল গানটি লিখেছিলেন ‘বেবি আই নিড ইয়োর লাভিং’ গানটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। গানটির প্রযোজক সেই গানের খসড়া দেখেই পছন্দ করে ফেলেছিলেন। গানের কথা দেখেই তিনি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন যে প্রেমিক-প্রেমিকারা গানটি পছন্দ না করে পারবেই না।
স্টিভি ওন্ডারের গাওয়া ‘পার্টটাইম লাভার’ গানটির অনুপ্রেরণা মূলত ‘ইউ কান্ট হারি লাভ’ ও ‘মাই ওয়ার্ল্ড ইজ এম্পটি উইদাউট ইউ’ গান দুটি। বিলবোর্ডের টপ গানের তালিকার অন্যতম শীর্ষ গান ‘পার্টটাইম লাভার’।
টেইলর সুইফটের ‘লাভ স্টোরি’ গানটি তিনি নিজেই লিখেছিলেন। সেটি মূলত শিল্পীর নিজের প্রেমেরই গল্প। ২০০৯ সালে সাড়া ফেলে দেয় গানটি। সত্যিকারের প্রেমের গান বলে লোকের কাছে এখনো আবেদন আছে ‘লাভ স্টোরি’ গানটির।
যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েদের গানের দল সুপ্রিমস ১৯৬৪ সালে গেয়েছিল ‘বেবি লাভ’ গানটি। এই এক গানে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে ওঠে দলটি। আর প্রেমের গানের তালিকায় যুক্ত হয় আরও একটি অসাধারণ গান।
সারা বেরিলস ২০০৭ সালে করেন ‘লাভ সং’। বিলবোর্ডের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া এই গান তাঁকে খ্যাতি এনে দেয়। খ্যাতির মূল কারণ, শ্রোতার হৃদয়ে পাকা আসন করে নেওয়া গানটি এখনো শ্রুত হয় ঠিক আগের মতোই।
রাসেল মাহমুদ
বিলবোর্ড অবলম্বনে