সংগীতের তিন সংগঠন নিয়ে ‘সংগীত ঐক্য’

গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর আমরা জানিয়েছিলাম, বড় ঐক্যের পথে অগ্রসর হচ্ছেন সংগীত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ বছরের ১০ জুলাই সংগীত–সংশ্লিষ্ট তিন সংগঠন গীতিকবি সংঘ, মিউজিক কমপোজার্স সোসাইটি, কণ্ঠশিল্পী পরিষদ বাংলাদেশের সম্মিলনে যাত্রা করল নতুন মোর্চা সংগঠন সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ। সংগীতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সম্মান, সম্মানী ও ভবিষ্যৎ কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করবে এই সংগঠন।

সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ–এর কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। মহাসচিব শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, নকীব খান ও কুমার বিশ্বজিৎ। অর্থ ও দপ্তরসচিব আসিফ ইকবাল, তথ্যপ্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সচিব হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল, সাংস্কৃতিক সচিব বাপ্পা মজুমদার, প্রচার ও প্রকাশনাসচিব জুলফিকার রাসেল। নির্বাহী সদস্যরা হলেন মানাম আহমেদ, কবির বকুল, শওকত আলী ইমন ও জয় শাহরিয়ার।
সংগীত ঐক্য বাংলাদেশ–এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা

আজ শনিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে সংগঠনটি। ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন কণ্ঠশিল্পী পরিষদ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক কুমার বিশ্বজিৎ। সংগীত ঐক্য বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি হয়েছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। মহাসচিব শহীদ মাহমুদ জঙ্গী, নকীব খান ও কুমার বিশ্বজিৎ। অর্থ ও দপ্তরসচিব আসিফ ইকবাল, তথ্যপ্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক–বিষয়ক সচিব হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল, সাংস্কৃতিক সচিব বাপ্পা মজুমদার, প্রচার ও প্রকাশনাসচিব জুলফিকার রাসেল। নির্বাহী সদস্যরা হলেন মানাম আহমেদ, কবির বকুল, শওকত আলী ইমন ও জয় শাহরিয়ার।

১৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— সংগীতের মেধাস্বত্বের সুষম বণ্টন, রেডিও–টেলিভিশনে সম্মানী বাড়ানো, সংগীতে জাতীয় পুরস্কার প্রবর্তন, সংগীত নিয়ে গবেষণার জন্য পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, কিংবদন্তিদের বিশেষ মর্যাদা, দুস্থদের থোক বরাদ্দ, বরেণ্যদের নামানুসারে স্থাপনার নাম, বিশেষায়িত বিমা, আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের জন্য ন্যাশনাল ক্যাটালগ প্রণয়ন ও প্রকাশ, আবাসন প্রকল্প, হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা, সাংগঠনিক দপ্তর।

গীতিকবি সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার রাসেলের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন কণ্ঠশিল্পী পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। তিনি বলেন, ‘কণ্ঠশিল্পীদের অস্তিত্ব রক্ষা ও পরস্পরের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য আমরা গড়েছিলাম সিঙ্গার্স অ্যাসোসিয়েশন। একই ভাবনা থেকে সুরকার ও গীতিকবিরাও সংগঠিত হয়েছিলেন। সংগীত–সংশ্লিষ্টদের আস্থা ও শক্তি জোগাতে এবারে তিন সংগঠন মিলে আমরা ঐক্য গড়ে তুলেছি। এবারে বড় স্বপ্নের জন্য আমরা কাজ করে যেতে চাই।’ নকীব খান বলেন, এই সংগঠন শিল্পীদের সম্মান ও সম্মানীর পাশাপাশি সংগীতের মানোন্নয়নে কাজ করবে। শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘এই ফেডারেশনে তিন সংগঠনের ৪ জন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। আমাদের ইচ্ছা, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় সংগীতের প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে একটা যোগসূত্র তৈরি হোক।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তিন সংগঠনের কিছু অভিন্ন দাবির সমন্বয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে ১৭ দফা দাবি পেশ করেছে সংগীত ঐক্য। সেসবের মধ্যে রয়েছে সংগীতের মেধাস্বত্বের সুষম বণ্টন, রেডিও–টেলিভিশনে সম্মানী বাড়ানো, সংগীতে জাতীয় পুরস্কার প্রবর্তন, সংগীত নিয়ে গবেষণার জন্য পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, কিংবদন্তিদের বিশেষ মর্যাদা, দুস্থদের থোক বরাদ্দ, বরেণ্যদের নামানুসারে স্থাপনার নাম, বিশেষায়িত বিমা, আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের জন্য ন্যাশনাল ক্যাটালগ প্রণয়ন ও প্রকাশ, আবাসন প্রকল্প, হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা, সাংগঠনিক দপ্তরসহ ১৭টি দাবি দীর্ঘ, মধ্য ও স্বল্প মেয়াদে মেটানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা, যার বেশির ভাগই বাস্তবায়নের পথে।

অনলাইনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত শিল্পীরা

সংবাদ সম্মেলনে নতুন সংগঠনের কমিটির সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আনিসুর রহমান তনু, লিটন অধিকারী রিন্টু, ফোয়াদ নাসের বাবু, গোলাম মোরশেদ, রিপন খান, বাপ্পা মজুমদার, সালাউদ্দিন সজল, পার্থ মজুমদার, এস আই টুটুল, প্রিতম আহমেদ, লাবিক কামাল গৌরব, আলিফ আলাউদ্দিন, শফিক তুহিন, সমরজিৎ রায়, তরুণ মুনসি, কিশোর দাস, সাব্বির জামান, সোমেশ্বর অলি প্রমুখ। সংগঠনটির জন্য কপিরাইট অফিসে একটি দপ্তর বরাদ্দ করতে যাচ্ছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।