ছবিটি শেষ স্মৃতি হয়ে গেল
১৩ মার্চ, ভোররাত ৪টা ৩ মিনিট। তরুণ কণ্ঠশিল্পী বিউটি খান তাঁর ফেসবুক ওয়ালে দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। একটিতে তিনি একা, অন্যটিতে তিনিসহ ছয়জন। সবাই সংগীত ভুবনের বাসিন্দা। ছবি দুটি দিয়ে বিউটি লিখেছেন, ‘কক্সবাজারের পথে’।
আজ শনিবার বিউটিদের কক্সবাজার যাওয়া হলো না। ভোরের আলো ফোটার আগে চট্টগ্রামের মীরসরাই এলাকার তাঁদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে। সে ঘটনায় প্রাণ হারান দেশের সংগীতাঙ্গনের দুই পরিচিত মুখ প্যাড ও পার্কাসনবাদক হানিফ আহমেদ ও প্যাডবাদক পার্থ গুহ।
আজ ভোর পাঁচটার দিকে শোয়ের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের মীরসরাই এলাকায় পৌঁছালে উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরি তাঁদের মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় মারাত্মক আহত হন মাইক্রোবাসে থাকা তরুণ গায়িকা বিউটি খানসহ অন্যরা। সে সঙ্গে শেষ স্মৃতি হয়ে যায় বিউটির সেলফি।
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী। জানা গেছে, ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান পার্থ গুহ। দুর্ঘটনায় আহত সবাইকে জরুরি ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হানিফকেও মৃত ঘোষণা করেন।
গাড়িতে থাকা তরুণ সংগীতশিল্পী বিউটি খান, নন্দন, রাহাত, পাপ্পু ও তাওহীদও মারাত্মক আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিউটি খানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আজ সকালে হানিফ আহমেদ ও পার্থ গুহ মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংগীতাঙ্গনে। শিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের ফেসবুক যেন এখন শোকবই। প্রায় সবাই শোক প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছে। প্রয়াত হানিফ আহমেদ ও পার্থ গুহর বাড়ি কুমিল্লায়। দেশের বিভিন্ন প্রজন্মের অসংখ্য শিল্পীর সঙ্গে সংগত করেছেন তাঁরা। মিউজিশিয়ান হিসেবে তাঁদের খ্যাতি ছিল।
গতকাল শুক্রবার রাতেই চাঁদপুরে একটি শো করে ফিরেছিলেন তাঁরা। সেখানে অন্য একটি আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন। শো শেষে দিবাগত রাত তিনটার দিকে মেঘনা ব্রিজের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে অপর একটি মাইক্রোবাসে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা করেন তাঁরা। হানিফ ও পার্থর সেটাই হয়ে গেল শেষযাত্রা।