ছায়ানটে সারা রাত চলবে শুদ্ধসংগীত উৎসব

ছায়ানটে চলছে শুদ্ধ সংগীত উৎ​সব
ছায়ানটে চলছে শুদ্ধ সংগীত উৎ​সব

পৌষের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীতে শীত জেঁকে বসেছে। আজ শুক্রবার সারা দিনই শীতের উপস্থিতি টের পাওয়া গেছে, সন্ধ্যায় দাপটও বেড়েছে শীতের। এমন পরিবেশে ধানমন্ডি শংকরের ছায়ানট ভবনের সুবিশাল মিলনায়তনটি দারুণ জমে উঠেছে শুদ্ধসংগীত উৎসবে। মিলনায়তনভর্তি দর্শক ডুবে আছে শুদ্ধ সংগীতের মূর্ছনায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়েছিল বার্ষিক শুদ্ধ সংগীত উৎসব। তিনটি অধিবেশনে সাজানো এ উৎসবের সমাপনী দিন ছিল শুক্রবার। এদিন দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় সকাল নয়টায়। শাস্ত্রীয় সংগীতের রাগ-রাগিণীর খেলা চলে বেলা ১টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রথমেই পরিবেশিত হয় ছায়ানটের শিল্পীদের সম্মেলক কন্ঠসংগীত। অসিত দের পরিচালনায় শিক্ষার্থী শিল্পীরা উপস্থাপন করে রাগ ‘গুণকেলি’। এ ছাড়া এ অধিবেশনে কন্ঠসংগীত পরিবেশন করেন রাজশাহীর শিল্পী আলমগীর পারভেজ। তিনি উপস্থাপন করেন রাগ ‘ভাটিয়ার’। কণ্ঠসংগীতে রাগ টোড়ি পরিবেশন করেন ঢাকার শিল্পী শ্রাবস্তী ধর। কণ্ঠসংগীতে রাজধানীর আরেক শিল্পী সতীন্দ্রনাথ হালদার পরিবেশন করেন ‘রামকেলি’ রাগ। এ অধিবেশনে বেহালায় সুর ছড়ান ঢাকার বেহালাবাদক শিউলি ভট্টাচার্যও। বেহালায় স্নিগ্ধ সুরের মূর্ছনা তুলে উপস্থাপন করেন রাগ ‘আলাহিয়া বিলাবল’।
তৃতীয় অধিবেশন শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়। এ পর্বের শুরুতেও ছিল ছায়ানটের শিল্পীদের কন্ঠসংগীত। বৃন্দ তবলাবাদনেও অংশ নেন ছায়ানটের শিল্পীরা। আজ ভোর পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় এ আসরে কন্ঠসংগীত পরিবেশন করবেন ঢাকার শিল্পী লতিফুন জুলিও, সুপ্রিয়া দাশ, সঞ্জীবন স্যানাল, সুস্মিতা দেবনাথ শুচি, খায়রুল আনাম, রেজোয়ান আলী, অসিত কুমার দে, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি ও রাজশাহীর শিল্পী অমরেশ রায় চৌধুরী এবং চট্টগ্রামের শিল্পী তাপস দত্ত। পাখোয়াজ বাজিয়ে শোনাবেন ঢাকার শিল্পী শুষেণ কুমার রায়। কলকাতার শিল্পী দেবস্মিতা ভট্টাচায সরোদের সুরে শেষ হবে উৎসব।