জন্মদিনে মমতাজের চাওয়া

মমতাজপ্রথম আলো

লকডাউন চলছে। এর মধ্যেই দেশের বিনোদন অঙ্গন চেষ্টা করছে ঈদের জন্য তৈরি হতে। ব্যস্ত ফোকসম্রাজ্ঞী মমতাজও। ঈদের বিশেষ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘আনন্দ মেলা’য় গাইলেন তিনি। গত সোমবার বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্টুডিওতে ‘যতনে রাখিব তোরে অন্তরে বান্ধিয়া’ শিরোনামে গানটির দৃশ্য ধারণে অংশ নিয়েছেন তিনি।
মমতাজ বলেন, ‘“আনন্দ মেলা” অনুষ্ঠানে যখন গান গাওয়ার প্রস্তাব পেলাম, তখনই এ গান বাছাই করি। রাজেশের সুর করা এ গান আমার ভীষণ পছন্দের। আর গানের সঙ্গে চমৎকার কোরিওগ্রাফি দর্শককে মুগ্ধ করবে।’

গানের সঙ্গে মিশে গেছেন মমতাজ।
ফাইল ছবি

এবারের ঈদে সবকিছু ঠিক থাকলে বাংলাভিশনের চাঁদরাতের সরাসরি গানের আয়োজনে গাইবেন মমতাজ। বেশ কয়েক বছর ধরেই এ অনুষ্ঠানে নিয়মিত গাইছেন। তিনি বলেন, ‘যদি সুস্থ থাকি, বাংলাভিশনের ঈদের সরাসরি গানের অনুষ্ঠানে গাইব। এটা আমার বছরের নিয়মিত একটি কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

মমতাজ বেগম
ছবি : সংগৃহীত

আজ ৫ মে এই সংগীতশিল্পীর জন্মদিন। জন্মদিন নিয়ে আগ্রহ কমছে মমতাজের। তিনি বলেন, ‘এখন জন্মদিন উদ্‌যাপন নিয়ে খুব একটা আগ্রহ পাই না। অবশ্য কখনোই এসব নিয়ে আলাদা আয়োজন আমার জীবনে ছিল না। তবে ছেলেমেয়েরা আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার চেষ্টা করে। এবারও হয়তো করবে।’

সম্প্রতি নতুন দুটি চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন মমতাজ। একটি মীর সাব্বিরের ‘রাতজাগা ফুল’ এবং অন্যটি হাসিবুর রেজা কল্লোলের ‘বন্ধু’। মমতাজ জানান, দুটি গানের কথা ও সুর ভীষণ ভালো লেগেছে তাঁর। চলচ্চিত্রের গান ছাড়া মমতাজ ঈদের জন্য আরও দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। করোনায় সুস্থ থাকাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন মমতাজ।

মমতাজ।
ছবি: প্রথম আলো

এই জন্মদিনে তাঁর চাওয়া, সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীকে করোনামুক্ত করে দিক। সুন্দর, স্বাভাবিক একটা পৃথিবীতে যেন সবাই আবার হাসি-আনন্দে বাঁচতে পারে।

মমতাজ ১৯৭৪ সালের ৫ মে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মা উজালা বেগম, বাবা মধু বয়াতি ছিলেন বাউলশিল্পী। মমতাজ প্রথম জীবনে বাবা মধু বয়াতি, পরে মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান এবং শেষে লোকগানের শিক্ষক আবদুর রশীদ সরকারের কাছে গান শেখেন। দুই দশকের বেশি তাঁর পেশাদারি সংগীতজীবনে ৭০০টির বেশি একক অ্যালবাম প্রকাশ পায়।

মমতাজ

মমতাজ সারা দেশে বিভিন্ন সংগীতানুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। তা ছাড়া তিনি যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সংগীত অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন এবং তাঁর গান ব্যাপকভাবে সমাদৃত।