দেশ বিদেশের ১০ ভাইরাল গান

অনেক গানেরই কথা, ভাষা কিছুই বোঝা যায় না। তারপরও গায়কি, গানের সঙ্গে নাচ বা ভিডিও উপস্থাপনার কারণে গানগুলো দর্শক-শ্রোতার ভালো লাগে। ভাষার সীমা পেরিয়ে গানগুলো বিশ্বের আনাচ–কানাচে শোনা যায়, ঘোরে মুখে মুখে। গত এক যুগে এ রকম শতাধিক গান ভাইরাল হয়েছে।

মিশেল তেলো
ছবি: সংগৃহীত

আই সিওউ টু পেগো
ব্রাজিলিয়ান পর্তুগিজ এই গানের অর্থ ‘যদি তোমাকে ধরতে পারি’। গানটি গেয়েছেন মিশেল তেলো। গানটি ব্রাজিলে ২০০৮ সালে মুক্তি পায়। গানটি প্রথম রেকর্ড করে ব্রাজিলিয়ান ব্যান্ড কানগাইয়া ডি জিগুয়ে। পরে গানটি কাভার করে একাধিক স্থানীয় ব্যান্ড। গানটি ইউটিউবে মুক্তি পেলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ব্রাজিলের ফুটবল খেলোয়াড়দের মধ্যে গানটি খুবই জনপ্রিয়।

ধানুশ ছবি: আইএএনএস

হোয়াই দিজ কোলাবেরি ডি
গানটি ইংরেজি এবং তামিল শব্দ মিশিয়ে গাওয়া। অনিরুদ্ধ রবিচন্দরের সংগীত ও কথায় কণ্ঠ দিয়েছেন ধানুশ। ২০১১ সালে ১৬ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে গানটি মুক্তি দেওয়া হয়। গানটিতে প্রেমিকার থেকে প্রত্যাখ্যাত এক যুবকের আর্তি ফুটে উঠেছে।

গ্যাংনাম স্টাইল গানের ভিডিওতে সাই
ছবি: সংগৃহীত

গ্যাংনাম স্টাইল
গ্যাংনাম স্টাইল ইউটিউবে আপলোড করার পর থেকেই রাতারাতি দর্শক–শ্রোতার পছন্দের তালিকায় চলে আসে। ২০১২ সালের এই মিউজিক ভিডিওর বদৌলতে সারা বিশ্বে রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান দক্ষিণ কোরীয় শিল্পী সাই। কোরিয়ান ভাষার একটা গান কীভাবে বিশ্ব জয় করল, সে প্রসঙ্গে বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে সাই বলেছেন, গ্যাংনাম স্টাইল আসলেই অদ্ভুত।

ছবি: সংগৃহীত

হ্যালো হানি বানি
২০১৩ সালে বিজ্ঞাপনের গান হিসেবে এটি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞাপনের জন্য এটি প্রথম তৈরি করে নেপাল। সে সময় নেপালে কিছু তরুণ শিল্পী গানটি গান। পরে তাঁরা একটি মিউজিক ভিডিও করে ইউটিউবে ছাড়েন। সেই থেকেই গানটি শিশুদের খুবই প্রিয়।

‘হোয়াই ইউ অলওয়েজ লাইং’ গানের মিউজিক ভিডিওতে গায়ক
ছবি: সংগৃহীত

হোয়াই ইউ অলওয়েজ লাইং
গানটি নিকোলাস ফ্রেজারের ছাত্রজীবনের একটি ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। গানটি যুক্তরাজ্য থেকে ২০১৫ সালে রিলিজ পায়। নিকোলাসের কাঁপা গলার জন্য গানটি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। গানটি যুক্তরাজ্যের সর্বাধিক শ্রুত ১০ শীর্ষ গানের মধ্যে ছিল।

জাপানি কৌতুক অভিনেতা দাইমায়ো কোসাকা
ছবি: সংগৃহীত

প্যান-পাইন-অ্যাপেল-পেন
জাপানি কৌতুক অভিনেতা দাইমায়ো কোসাকার গাওয়া এই অদ্ভুত গান ২০১৬ সালে ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঝড় তোলে। গানটির জন্য তিনি পুরস্কারও জিতেছিলেন। গানটি প্রথম ছাত্রদের মধ্যে সারা ফেলে। জাস্টিন বিবার ‘প্যান-পাইন-অ্যাপেল-পেন’ টুইটারে শেয়ার করেছিলেন। তারপর ক্রমেই বিশ্বব্যাপী শ্রোতাদের কাছে গানটি পৌঁছে যায়।

বেবি শার্ক শিশুদের ভীষণ প্রিয়
ছবি: সংগৃহীত

বেবি শার্ক
দক্ষিণ কোরিয়ার এই গান প্রথমে বনভোজনের গান হিসেবেই পরিচিত পায়। পরে দেশটির এডুকেশন কোম্পানি পিংকফং গানটি নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করে। গানটি ২০১৬ সালে প্রকাশ পায়। তারপর থেকে গানটি শিশুদের ভীষণ পছন্দ।

লুইস ফন্সি ও ডেডি ইয়াঙ্কির
ছবি: সংগৃহীত

ডেসপাসিটো সিঙ্গল
লুইস ফন্সি ফিচারিং ডেডি ইয়াঙ্কির ডেসপাসিটো চার বছর আগে সারা বিশ্বকে মাতিয়ে দিয়েছিল। ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি আপলোড করা গানটির ভিডিও তখন ইউটিউব ভিউয়ে শীর্ষে ওঠে।

`দিস ইজ আমেরিকা' গানের মিউজিক ভিডিও’র দৃশ্য
ছবি: সংগৃহীত

দিস ইজ আমেরিকা
আমেরিকান র‍্যাপার চাইল্ডিশ গামবিনোর গাওয়া এই গানের মিউজিক ভিডিও অনেকটাই কমিক। প্রথম র‍্যাপ ট্র্যাক হিসেবে ২০১৯ সালের গ্র্যামি পুরস্কারে বর্ষসেরা গান নির্বাচিত হয়ে এটি ইতিহাস গড়ে।

‘অপরাধী’ গানের গায়ক আরমান আলিফ
ছবি : সংগৃহীত

অপরাধী
প্রথমবারের মতো গ্লোবাল র‍্যাঙ্কিংয়ে ১০০ গানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশের অপরাধী। গানটি গেয়েছেন আরমান আলিফ। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় ভাইরাল হতে থাকে। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের গায়কেরাও গানটির একাধিক কাভার বের করেন। বর্তমান ভিউ ৩১ কোটি ৪৩ লাখ।