ফাল্গুনী পূর্ণিমা রাতে
সৃজনশীল মানুষেরা কখনো কখনো এমন কিছু করেন, যা সম্প্রীতি আর আরও ভালোভাবে বেঁচে থাকার দুয়ার খুলে দেয়। ২২ ফেব্রুয়ারি ফাল্গুনী পূর্ণিমার রাতে তেমনই এক লক্ষ্য নিয়ে কয়েকজন সংগীতশিল্পী ও কবি গিয়েছিলেন পুবাইলের ‘জল-জঙ্গলের কাব্য’ নামের রিসোর্টে। পূর্ণিমা রাতটি খোলা আকাশের নিচে বসে দেখবেন বলেই যাওয়া।
চাঁদ যখন মধ্য আকাশে, তখন তাঁরা চলে গেলেন বিশাল এক খোলা মাঠে। প্রথমে প্রত্যেকেই পাঠ করলেন কবিতা। এরপর প্রত্যেকে পাঁচ মিনিট করে বললেন জীবনের এমন কোনো গল্প, যা আগে কাউকে বলেননি। তৃতীয় পর্বে ছিল ১ মিনিট করে গান নিয়ে কথা বলা, সেটা হতে পারে নতুন কোনো ভাবনা, বর্তমান গানের হাল ইত্যাদি নিয়ে। এরপর ছিল গান। রাত গভীর হলে প্রায় সাড়ে তিনটার দিকে তাঁরা মাঠ ছাড়লেন। আকাশে তখনো পূর্ণিমা।
যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন সংগীতশিল্পী আব্দুল হাদী, রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, চিত্রা সুলতানা, ফিরোজ সাঁইয়ের ছোট ভাই ফেরদৌস, পেন্টাগন ব্যান্ডের সুমন, কবি আইরিন ও আরশাদ আজিজ, চিত্রশিল্পী দিলরুবা লতিফ।
রফিকুল আলম বললেন, ‘তিন বছর ধরে ফাল্গুনী পূর্ণিমায় এই কাজটা করছি আমরা। মাঝে মাঝে পূর্ণিমাকে দেখতে দেখতে নিজেকে আবিষ্কার করার জন্যই এটা করে থাকি। এরপর যাঁরা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন, তাঁরা যেকোনো একটি ভাবনা নিয়ে আসবেন। পূর্ণিমা দেখতে দেখতে হবে আড্ডা।’