‘বিনোদিনী রাই’ গানে ঢাকার সাব্বির ও কলকাতার শম্পা

স্টুডিওতে গান রেকর্ডিংয়ে ব্যস্ত সাব্বির নাসির ও শম্পা বিশ্বাস
সংগৃহীত

ঢাকা ও কলকাতার দুই সংগীতশিল্পী গাইলেন ‘বিনোদিনী রাই’ নামের একটি গান। প্লাবন কোরেশীর কথা ও সুরে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ঢাকার সাব্বির নাসির ও কলকাতার ‘সারেগামাপা’র শম্পা বিশ্বাস। রিয়েল আশিক গানটির সংগীতায়োজন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে সাব্বির নাসির বলেন, ‘প্লাবন কোরেশী ভাইয়ের গান বরাবরই ভালো লাগে। এবারের গানটিও তার ব্যতিক্রম নয়। আমি নিজের মতো করে সুরের মৌলিকতা অক্ষুণ্ন রেখে গাওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি গানটি শ্রোতাদের ভালো লাগবে।’

শম্পা বিশ্বাস বলেন, ‘যখন প্লাবন কোরেশী ভাইকে চিনতাম না, তখন তাঁর সুরে আমি “ইন্দুবালা” গেয়েছি এবং সেটি বাংলাদেশের মানুষের পছন্দের তালিকায় থাকা একটি গান। বাংলাদেশে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। প্লাবন কোরেশী ভাইয়ের কথা ও সুরে গাইতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

প্লাবন কোরেশী বলেন, ‘বিনোদিনী রাই ধামাইল আঙ্গিকের গান। আমি চেষ্টা করেছি গানের কথা, সুরে সর্বোচ্চ যত্নশীল হতে। গানটি সবার ভালো লাগবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

শিল্পী সাব্বির নাসির সংগীতাঙ্গনকে দিয়েছেন বেশ কিছু নতুন গান। গত বছর তাঁর ‘আবোল তাবোল’ গানটি প্রকাশের পর বেশ প্রশংসা কুড়ান তিনি। তাঁর ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে গানটির সংগীতচিত্র প্রকাশ পায়। এর আগে ‘হর্ষ’, ‘ফুল ফোটাবো’, ‘ফাগুন আসছে’, ‘জল জোছনা’, ‘পোকা’, ‘আমারে দিয়া দিলাম তোমারে’, ‘মৃত জোনাকি’, ‘তুমি দমে দম’সহ বেশ কয়েকটি গান বেরিয়েছিল সংগীতচিত্রসহ।

সাব্বির নাসির

১৯৯৮ সালে মেটামরফসিস নামের একটি ব্যান্ডের ভোকাল হিসেবে সংগীতে যাত্রা শুরু করেছিলেন সাব্বির নাসির। গিটারিস্ট হিসেবে বাজিয়েছেন দেশের খ্যাতনামা বেশ কজন শিল্পীর সঙ্গে। একসময় গোপন আক্ষেপ নিয়ে নিভৃতে চলে যান তিনি। পরে ২০ বছর পর বদলে যাওয়া সময়ে তরুণদের অনুপ্রেরণা তাঁকে আবারও গানে ফিরিয়ে এনেছে। ১৯৯৮ সালের পর সাব্বির নাসির আবার ২০১৮ সালে ‘তুমি যদি বলো’ গানটি দিয়ে ফেরেন সংগীতজগতে। তিনি সুপারশপ স্বপ্নের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।