ভক্তরা আমার কলিজা, হেটার্সরা আমার হার্টবিট

স্ত্রীর সঙ্গে ছবিটি শেয়ার করে নোবেল লিখেছেন ‘দেশের দ্বিতীয় নোবেল বিজয়ী নারী’। ছবি: ফেসবুক থেকে
স্ত্রীর সঙ্গে ছবিটি শেয়ার করে নোবেল লিখেছেন ‘দেশের দ্বিতীয় নোবেল বিজয়ী নারী’। ছবি: ফেসবুক থেকে
‘তামাশা’ গানটিকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই সমালোচনার মুখে ভারতীয় রিয়েলিটি শো সারেগামাপা থেকে উঠে আসা গায়ক নোবেল। গানটির ট্রেলার এসেছে আজ শনিবার দুপুরে নোবেলম্যান ইউটিউব চ্যানেল ও তাঁর ফেসবুক পেজে। একই চ্যানেলে পূর্ণাঙ্গ গানটির ভিডিও প্রকাশিত হবে রোববার দুপুরে। ট্রেলারটি নিয়ে কথা বললেন নোবেল।


যে গানটিকে কেন্দ্র করে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে, সে গানের ট্রেলারে প্রতিক্রিয়া কেমন?

দারুণ প্রতিক্রিয়া। দর্শকের পছন্দের চেয়ে অপছন্দই বেশি। মানুষ ২৩ সেকেন্ডের এই ট্রেলারটি দেখতে সময় ব্যয় করছেন আবার ট্রেলারের নিচে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। এটি আমার জন্য বড় পাওয়া। কারণ, তাঁরা তো ট্রেলারটা দেখেই প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন। একে আমার গানের জন্য ইতিবাচকভাবেই দেখছি আমি।


গালমন্দও কেমন লাগছে?
যাঁরা গালমন্দ করছেন, তাঁদের প্রতি আমার বেশি ভালোবাসা। ধরুন, একজন আমাকে ভালোবাসেন, তিনি কিন্তু অন্যজনকে ভালোবাসার কথা বলছেন না। কিন্তু যিনি ঘৃণা করেন, তিনি দশজনের কাছে আমার বদনাম করছেন, গালমন্দ করছেন। এতে আমার লাভই হচ্ছে। হেটার্সদের দিয়ে আমার প্রচারণাটা বেশি হচ্ছে। ভক্তরা আমার কলিজা, হেটার্সরা আমার হার্টবিট।


সব প্রস্তুত, এখন প্রকাশের অপেক্ষায় ‘তামাশা’। প্রত্যাশা কী?

ভক্ত, শ্রোতাদের কাছ থেকে আমার কোনো রকমেরই প্রত্যাশা নেই। যা হবে, তা তো হবেই। তবে আমার বিশ্বাস, তাঁরা একটা ভালো গান পাবেন। গানটি শোনার অনুরোধ থাকবে। শুনে ভালো না লাগলেও আমার দুঃখ নেই।


প্রথম মৌলিক গান, মিউজিক ভিডিও, তাতে স্ত্রী মডেল, নিজের বাড়িতেই শুটিং। এ তো এক রোমাঞ্চকর ব্যাপার। আপনি কতটা রোমাঞ্চিত?

সে রকম না। উত্তেজনার দিনগুলো ছিল ছোটবেলায়। এখন নিজের মধ্যে বেশি কাজ করে বাস্তবতা। বাচ্চু ভাই, জেমস ভাইয়ের গানের আর্কাইভ ঘাঁটলে এমন কিছু গান পাওয়া যাবে, যেগুলো খুব সুন্দর, অথচ গানগুলো দর্শক-শ্রোতার কাছে পৌঁছায়নি। আমার এই গান মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টায় আছি। সেটা সফলও হতে পারে, ব্যর্থও হতে পারে। সাফল্য-ব্যর্থতা দিয়ে কিন্তু অনেক সময় গানের ভালো-মন্দ বিচার হয় না।


ট্রেলার প্রকাশের কয়েক দিন আগে আপনার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদের একটি ভিডিও ফুটেজ ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে দর্শক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ওই ফুটেজ প্রকাশের কারণ কী?

মঈনুল হোসেন নোবেল। ছবি: সংগৃহীত
মঈনুল হোসেন নোবেল। ছবি: সংগৃহীত

ওটা ছিল আমার গানের ভিডিওর অংশবিশেষ। গানটির শুটিংয়ের সময় একটু রোমান্টিক হয়ে পড়েছিলাম, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। মানুষকে খোঁচা দিতে ভিডিওটি শেয়ার দিয়েছি। মানুষ ভাববে এই গানে প্রচুর অ্যাডাল্ট দৃশ্য আছে। মানুষকে সেটা দেখিয়েছি, যাতে তাঁরা নোবেলকে প্রচুর গালি দিতে পারেন।

‘তামাশা’ গানটি তো একই সঙ্গে হিন্দি ও ইংরেজিতে করার কথা ছিল। কত দূর এগোল?
আরও দু-তিনটি গান করার পর হিন্দিতে করব। এর মধ্যে সুন্দর করে হিন্দিতে গানটির লিরিক লেখা হবে। এরপর বলিউড ধাঁচের সুর-সংগীত করার চেষ্টা করব। কারণ, হিন্দিভাষী মানুষও গানটি শুনবেন। পর্যায়ক্রমে ইংরেজিতেও করব।

আরও গান করার কথা। কবে করবেন?
সবকিছু নির্ভর করছে ‘তামাশা’ গানটির সাফল্য ও ব্যর্থতার ওপর। সাফল্য পেলে কিছুদিন দর্শককে ‘তামাশা’ গানটি শোনার সময় দেব। ব্যর্থ হলে নতুন গানের দিকে অগ্রসর হব। তবে দর্শকদের কাছে অনুরোধ, আমার এই গান না শুনে নতুন গানের জন্য বসে থাকবেন না। কারণ, ‘তামাশা’ বিশেষ একটি গান।