মানিকের বন্ধুদের সরাসরি গান

‘মন্দিরা’ নামে একটা ব্যান্ড করা হলো। দলে ছিলেন ওয়াসিম, পলাশ, ইসমাইল ও মানিক। ১৯৯৯ সালে দলটি জনসমুখে গাইতে শুরু করে। কনসার্টে গাইতে গাইতে আত্মবিশ্বাস গেল বেড়ে। এবার গানের অ্যালবাম করার পালা। কিন্তু পেশাগত ব্যস্ততায় সবাই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। একা হয়ে গেলেন মানিক। গাইছিলেন একাই। সম্প্রতি আবারও এক হয়েছেন, গড়েছেন নতুন দল ‘ইসলাম মানিক অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’। মানিকের নতুন দলের প্রথম ফোনোলাইভ কনসার্ট বা সরাসরি টিভি অনুষ্ঠান কাল বৃহস্পতিবার। রাত এগারোটা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে দেশ টিভিতে। দলের নতুন বন্ধুদের মধ্যে লিড গিটার বাজান সুমন, বেজ গিটার ফয়সাল, কি-বোর্ড রোমেল ও ড্রামস বাজান বাপ্পী।
২০০৮ সালে মানিকের প্রথম অ্যালবাম ‘মেঘলা মেয়ে’ ও এ বছর প্রকাশিত হয় ভিডিও অ্যালবাম ‘মনঘুড়ি’। প্রকাশের বছরেই লোকমুখে ছড়িয়ে গিয়েছিল প্রথম অ্যালবামের ‘মেয়ে তোমার আমি বন্ধু হব’ গানটি। দুটি অ্যালবামেরই সংগীতায়োজন করেছেন নন্দিত শিল্পী বাপ্পা মজুমদার ও ফোয়াদ নাসের বাবু। অ্যালবাম প্রকাশের পরের অনুভূতি কী? মানিক বলছিলেন, ‘প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের পর মনে হলো, শেখা দরকার। কিছুদিন শিখেছি সঞ্জীব দে-এর কাছে। ভিত দুর্বল ছিল বলেই হয়তো গ্রহণ করতে পারিনি, শেখাটা চালিয়ে নেওয়া হয়নি। এরপর শিখতে শুরু করি জীবন কুমারের কাছে। কিন্তু চাকরি করে গান শেখা প্রায় অসম্ভব। গান করি মনের টানে, জীবন চালাতে চাকরি তো করতেই হয়। কিন্তু সহকর্মীদের ধন্যবাদ দিতে হয়, তাঁরা বিভিন্ন সময় আমার গানের ব্যাপারে সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা দিয়েছে। এখন আমি যা করছি তা তাঁদের সহযোগিতা সম্ভব হতো না।’

এ বছরের পয়লা বৈশাখে জর্ডানের বাঙালিদের জন্য গাইতে গিয়েছিলেন মানিক। গেয়েছেন আম্মানের আবদুল্লাহ পার্কের এক অনুষ্ঠানেও। সেখানকার বাঙালিরা চেয়েছেন, মানিক যেন তাঁদের গান শোনাতে আবারও যান।
ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন মারা যান মানিকের বাবা। কিছুদিন আগে অল্প সময়ের ব্যবধানে হারান মা ও বোনকে। এই পাহাড় সমান শোকের মধ্যেও মানিক গেয়ে যাচ্ছেন। গান করলে প্রিয়জন হারানোর বেদনা খানিকটা কমে। মানিকের গান শুনলে কি আঁচ করা যাবে তাঁর বেদনার খানিকটা? টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নিজের গান ছাড়াও মানিক কাল গাইবেন লাকি আখান্দের গান ও নিজেদের পছন্দের কয়েকটি ইংরেজি গান। তবে দর্শকদের অনুরোধেও গাইবেন।