মায়ের কবরে সমাহিত হবেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার

গাজী মাজহারুল আনোয়ার
ছবি : সংগৃহীত

অসংখ্য জনপ্রিয় গানের রচয়িতা গাজী মাজহারুল আনোয়ার আজ রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মারা গেছেন। আগামীকাল সকালে মার্চুয়ারি থেকে বারিধারার বাসায় নেওয়া হবে তাঁর মরদেহ।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে তাঁর মরদেহ আগামীকাল সোমবার বেলা ১১টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে।

দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে নেওয়া হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি)। সেখানে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বনানীতে দ্বিতীয় জানাজা বনানী কবরস্থানে মা খোদেজা বেগমের কবরে সমাহিত করা হবে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে।

তাঁর মেয়ে দিঠি আনোয়ার একজন কণ্ঠশিল্পী
ছবি : সংগৃহীত

গাজী মাজহারুল আনোয়ার এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। তাঁর মেয়ে সংগীতশিল্পী দিঠি আনোয়ার দেশের বাইরে আছেন।

আরও পড়ুন

জানা গেছে, আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাওয়ার সময় পড়ে যান গাজী মাজহারুল আনোয়ার। এরপর হাসপাতালে নিলে তিনি সেখানেই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

অসংখ্য গানের গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার গান লেখা শুরু করেন ১৯৬২ সালে। তাঁর লেখা প্রথম গান ‘বুঝেছি মনের বনে রং লেগেছে’। তাঁর গানে উঠে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, প্রকৃতি, জীবনবোধ, প্রেম, বিরহ, স্নেহ ও অনুভূতির কথা। তাঁর রচিত গানের সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। অনেকগুলো জনপ্রিয় ঢাকাই সিনেমার পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন তিনি।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার
ছবি : সংগৃহীত

বিবিসি জরিপে সর্বকালের সেরা ২০ বাংলা গানের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা তিনটি গান। গানগুলো হচ্ছে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল’ ও ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’। গীতিকার হিসেবে পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ ছাড়া ২০০২ সালে একুশে পদক, ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতিপদক, একাধিকবার বাচসাস পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।

আরও পড়ুন

তিনি রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। জাতীয়তাবাদী সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।