এসেছে শিমুর ‘সংগীতমধুরিমা’

সংগীত শিল্পী শিমু দে

একসঙ্গে ১০–১২টি গান নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করার দিন এখন আর নেই। শিল্পীরা মূলত একটি গান দিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করেন অনলাইনে। শিল্পী শিমু দে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। রবীন্দ্রনাথের ১০টি গান নিয়ে প্রকাশ পেয়েছে শিমুর একক অ্যালবাম ‘সংগীতমধুরিমা’। এটি শিমু দের রবীন্দ্রসংগীতের চতুর্থ একক অ্যালবাম। ‘সংগীতমধুরিমা’র পরিকল্পনা ও সমন্বয় করেছেন হিমাদ্রি শেখর। অ্যালবামটির সংগীত আয়োজন করেছেন কলকাতার পুলক সরকার।

নিজের অ্যালবাম নিয়ে শিমু দে বলেন, ‘আমি শুধু গানটাই মনপ্রাণ দিয়ে গাইবার চেষ্টা করেছি। সবকিছুর পরিকল্পনা করেছেন হিমাদ্রি শেখর এবং আমাদের পারিবারিক কিছু বন্ধু-পরিজন। তাঁদের প্রচেষ্টাতেই আমার এ অ্যালবাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘গানে পুলক সরকারের মিউজিক কম্পোজিশন এক ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে। আমার মনের মতো সংগীতায়োজন হওয়ায় গান গাইতে বেগ পেতে হয়নি। এ ছাড়া সাউন্ড মিক্স করেছেন সৌমেন পাল। সৌমেন দা আমার অরিজিনাল ভোকালটা বের করে এনেছেন, যেটা আমি সব সময় চাইতাম।’

সংগীত শিল্পী শিমু দে

‘সংগীতমধুরিমা’ প্রসঙ্গে পুলক সরকার বলেন, রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে অনেকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা এক্সপেরিমেন্ট হয়েছে। দেবব্রত বিশ্বাস থেকে শুরু করে সাগর সেন যাঁদের গান আমরা শুনি, তাঁদের প্রত্যেকের গান এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা এক্সপেরিমেন্টের মধ্য দিয়েই এসেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার শিমু দের কণ্ঠে প্রকাশিত হলো রবীন্দ্রনাথের গান। তিনি আরও বলেন, শিমু অত্যন্ত যত্ন করে গানগুলো গেয়েছেন। তাঁর গান গাওয়া ও উপস্থাপনের মধ্যে একটি পরিপূর্ণ ও পরিমিত ব্যাপার আছে।

সংগীত শিল্পী শিমু দে

অ্যালবাম নিয়ে হিমাদ্রি শেখর বলেন, ‘আমরা যখন কোনো গান রেকর্ডিং করি, তখন একটা কথা প্রায় সবাই বলে থাকি, গানটা ঠিক রেখে মিউজিকটা একটু সময়োপযোগী হলেই ভালো। যেটাকে আমরা ফিউশন বলি। শিমুর গানে আমরা কিছুটা ফিউশনের চেষ্টা করেছি, মানে গানটা ঠিক রেখে মিউজিকটা সময়োপযোগী করার চেষ্টা করেছি। শিমু কেমন গাইল, সেটা শ্রোতারা বিচার করবে। “সংগীতমধুরিমা” অ্যালবামটি প্রকাশ করেছে মুম্বাইয়ের “ফ্রাইডে ফান রেকর্ডস”–এর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। দেশের বাইরে থেকে প্রকাশিত হওয়া শিমুর প্রথম অ্যালবাম এটি।’

শিমুর সংগীতে হাতেখড়ি শৈশবেই। বাবা ছিলেন সংগীতগুরু। সংগীতে প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ নিয়েছেন শান্ত–মারিয়াম ইউনিভার্সিটি থেকে। সেই শৈশব থেকেই গান গেয়ে নানা পুরস্কার পেয়েছেন শিমু। কলকাতা থেকেও পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। গান গাওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতারে প্রযোজক হিসেবে এখন কর্মসূত্রে আবদ্ধ। শিমু জীবনের এই এত দূর এসে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণে রাখেন সংগীতগুরু ভরত চন্দ্র, রোটনলাল সূত্রধর, ওয়াহিদুল হক, লিলি ইসলাম, সুজিত মোস্তফা প্রমুখ। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে গান গাওয়াটা তাঁর বড় এক প্রাপ্তি।