রুনা লায়লার সঙ্গে শত শিশুর গান

এদিন ছিল শিশু শিল্পীদের নাচ-গানের বৈচিত্র্যময় পরিবেশনা। সঙ্গে ছিল আলোচনা ও পুরস্কার প্রদান। তবে সব ছাপিয়ে আয়োজনের মধ্যমণি ছিলেন সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। সংগৃহীত

গত বুধবার সকালে শিশু একাডেমি মিলনায়তন ছিল শিশুদের কলকাকলিতে মুখর। মিলনায়তনও পরিপূর্ণ খুদে সংস্কৃতিকর্মী দিয়ে। এদিন ছিল শিশু শিল্পীদের নাচ-গানের বৈচিত্র্যময় পরিবেশনা। সঙ্গে ছিল আলোচনা ও পুরস্কার প্রদান। তবে সব ছাপিয়ে আয়োজনের মধ্যমণি ছিলেন সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শিশু একাডেমি আয়োজিত দুই দিনের অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় দিনে গান শুনিয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী। তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়েছে শিশু একাডেমির ১০০ শিশুশিল্পী। সবাই মিলে গেয়েছে ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ আমরাই তো বাংলাদেশ’ গানটি।

গান শুনিয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী। তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়েছে শিশু একাডেমির ১০০ শিশুশিল্পী। সংগৃহীত

একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।

আরও পড়ুন

২৩ মার্চ দুপুরে রাজধানীর বনশ্রীতে সুরকার ও সংগীত পরিচালক ফোয়াদ নাসের বাবুর স্টুডিও ‘পাশের ঘর’-এ রেকর্ডিং সম্পন্ন হয় ‘বাংলাদেশ’ গানটির। গানটি লিখেছেন ছড়াকার ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। সুর ও সংগীত করেছেন আশরাফ বাবু।

শত শিশুশিল্পীর সঙ্গে সংগীত পরিবেশন প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, ‘এটা আমার জন্য ভিন্ন রকম এক অভিজ্ঞতা, আনন্দেরও। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। আমি সব সময় শিশুদের প্রেরণা দিতে চাই যেন তারা বড় হয়ে যে যা হতে চায়, তা-ই হতে পারে। যদি কেউ বড় হয়ে সংগীতশিল্পী হতে চায়, তাদের বলব, ওস্তাদের কাছে ভালোভাবে গান শিখতে হবে, নিয়মিত গানের চর্চা করতে হবে।’

শিশু একাডেমির মহাপরিচালক ও গানটির গীতিকার আনজীর লিটন বলেন, ‘সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা উপমহাদেশের গর্ব। তিনি আমাদের শিশুদের জন্য, শিশুদের নিয়ে গান করেছেন, এটা শিশুদের কাছে বড় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আমার জন্যও বড় প্রাপ্তি, তিনি আমার লেখা গান গেয়েছেন। আমি রুনা আপার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’