শাহরুখ–দীপিকার ‘পাঠান’ নৃত্য প্রসঙ্গে যা বললেন সৈয়দ আব্দুল হাদী

দ্য ডেইলি স্টার আর্ট গ্যালারিতে রেকর্ড স্টোর ডে ২০২৩–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী

বর্তমান সময়ে বিনোদনের সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। তাঁদের সময়ে বিনোদনের সংজ্ঞা বর্তমানের মতো ছিল না। সম্প্রতি ঢাকার দ্য ডেইলি স্টার আর্ট গ্যালারিতে রেকর্ড স্টোর ডে ২০২৩–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বর্তমান সময়ে বিনোদনের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী।

উদাহরণ টানতে গিয়ে তিনি সম্প্রতি ভারতে মুক্তি পাওয়া পাঠান চলচ্চিত্রের ‘ঝুমে জো পাঠান’ গানের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি তাঁর বক্তব্য বলেন, ‘“পাঠান” নামক একটি ছবি হয়েছে। সেখানে একটি গান আছে অথবা একটি নৃত্য আছে। নিশ্চয়ই আপনারা অনেকেই শুনেছেন এটি, ঝুমে জো পাঠান। দেখেন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এটি কি গান না নৃত্য। কোনটা? গান তো বটেই।

‘পাঠান’–এ শাহরুখ খান

প্রাথমিকভাবে এটি একটি গান, তবে নৃত্যনির্ভর। সে নৃত্যও যদি খুব উচ্চমার্গের কিছু হতো, শৈল্পিক সুষমা থাকত, তাহলে আমার কোনো আপত্তি ছিল না। কারণ, গানের সঙ্গে নৃত্য বহু পুরোনো। নৃত্য, গীত, বাদ্য—এই তিনটা নিয়েই সংগীত।’

কিন্তু এখন গান ও নৃত্যে নামের যা হচ্ছে, সেটি মোটেও তা নয় বলে জানান সৈয়দ আব্দুল হাদী। তিনি নায়ক ও নায়িকার নৃত্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখন যেটা হচ্ছে, সেটি নায়কের ধনুষ্টংকার নৃত্য, নায়িকার আদি রসাত্মক অঙ্গভঙ্গি। এটিকে আমি নৃত্যও বলতে রাজি নই। এখন কোনটি শুনব আমরা? (হাসি) এসব গান শুনব?

শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোন
ছবি : এএফপি

গান হিসেবে এটি এমন কোনো গান নয়, কিন্তু আমার মনে হয়, গান হিসেবে এটি সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে জনপ্রিয়তায়। এখন বিনোদন মানেই হচ্ছে আদিরস। স্নেহরস, বাৎসল্য রস, বীররস, করুণরস—এসব রস এখন উধাও হয়ে গেছে। এখন সব আদিরস।’

সৈয়দ আব্দুল হাদী
ছবি: প্রথম আলো

কথায় কথায় ওই অনুষ্ঠানে আব্দুল হাদী এমনটিও বলেন, ‘ওই যেটা বলছিলাম, গানটির কথা, যে গানের কথা বলছিলাম। নিশ্চয়ই আপনারা লক্ষ করবেন, একটু চিন্তা করলেই দেখলেই দেখবেন, ওখানে হয় আছে ধনুষ্টংকার নৃত্য, অর্থাৎ নায়কেরা বাঁকা হয়ে যান। আমরা শুনেছি, চিকিৎসকেরা বলতেন, ধনুষ্টংকার রোগে নাকি বাঁকা হয়ে যায় এবং নায়িকার অতি সংক্ষিপ্ত পোশাক–পরিচ্ছদ পরে নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করার মধ্য দিয়ে আদিরসের সৃষ্টি হয়। এটি এখন বিনোদন। বিনোদনের অর্থ এখন তা–ই। কিন্তু আমাদের সময় বিনোদন অর্থ তা–ই ছিল না। বিনোদনের সংজ্ঞা পাল্টে গেছে।’