হবু বরের যে ৫ গুণে মুগ্ধ গায়িকা ঐশী

গায়িকা ফাতিমা তুয জাহরা ঐশী। ছবি: ফেসবুক

দুই বছর ধরে প্রেমের পরে অবশেষে গায়িকা ফাতিমা তুয জাহরা ঐশী জানালেন বিয়ে করতে যাচ্ছেন। পারিবারিক আয়োজনে গত রোববার বাগ্‌দান সম্পন্ন হয়ে। হঠাৎ পরিচয়ের সূত্র থেকে কথা বলা শুরু। এরপরে বন্ধুত্ব, প্রেম। এভাবে কেটেছে দুই বছর। এই সময়ে হবু বরের পাঁচ গুণে মুগ্ধ হয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান ঐশী।

তাঁর হবু বরের নাম আরেফিন জিলানি সাকিব। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঐশী বলেন, ‘দুই বছর আগে একটা গেট টুগেদারে গিয়েছিলাম। সেখানেই কথা, পরিচয়। কথা বলতে বলতেই সম্পর্কটা গভীর হয়েছে। বন্ধুত্ব থেকেই আমাদের বোঝাপড়া, ভালো লাগা, প্রেমের শুরু।’

এই গায়িকা মনে করেন, একটা মানুষকে চেনার জন্য যেমন দুই বছর কম সময়, আবার এক দেখাতেও মানুষের অনেক কিছুই জানা যায়।

হবু বর আরেফিন জিলানি ও গায়িকা ফাতিমা তুয জাহরা ঐশী। ছবি: ফেসবুক

আবার কখনো যুগ ধরেও চেনা যায় না। তাই দুই বছর সময়টাকে কম বলতে চান না ঐশী। সেই সময়ের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে আমাদের কথা বলতে বলতে ভালো লাগে। ধীরে ধীরে কথা বলতে গিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে তাঁকে জীবনসঙ্গী করা যায়। এসব অনুভূতি তো লজিক্যালি ব্যাখ্যা করা যায় না।’

হবু বরের কোন গুণগুলো মুগ্ধ করেছে, এমন পাঁচটি গুণের কথা ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করবেন?

গায়িকা ফাতিমা তুয জাহরা ঐশী। ছবি: ফেসবুক

এমন প্রশ্নে ঐশী বলেন, ‘আমি সবার আগে বিবেচনা করি সে কেমন মানুষ। এটা একটা মানুষের সঙ্গে দুই বছর চললেই বোঝা যায়। সেদিক থেকে বলব, আরেফিন খুবই ভালো মনের একজন মানুষ। আর মেয়েরা সব সময় চায় সঙ্গী তাঁকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন। এখানে দেখতাম তাঁর কাছে আমার গুরুত্ব আছে। তাকে আমি আমার মতো করে দেখতে পাই। সে আমাকে সম্মান করে। আমার জীবনে এমন একটা মানুষের প্রয়োজন ছিল। তৃতীয়ত, সে ব্যক্তি হিসেবে সৎ। সাধারণ জীবন যাপন করে। পরবর্তী ভালো লাগার কারণের মধ্য রাখতে চাই, সে ক্যারিয়ার ফোকাসড। ভবিষ্যতে কী করতে চায়, সে বিষয়ে ক্লিয়ার ধারণা রয়েছে। এ ছাড়া সে আমার পেশাগত জায়গাটাকে সম্মান করে, সবার আগে আমাকে সে ভালোবাসে। আমাদের বোঝাপড়া ভালো।’

২০০০ সালে রংপুর শিশু একাডেমিতে গান শেখা শুরু করেন ঐশী। ২০০৩ সালে নোয়াখালীতে মুহাম্মদ শরীফ ও পরে হাফিজ উদ্দীন বাহারের কাছে উচ্চাঙ্গ ও নজরুলসংগীতে তালিম নেন তিনি।

গায়িকা ফাতিমা তুয জাহরা ঐশী। ছবি: ফেসবুক

ঢাকায় আসার পর ‘হৃদয় মিক্স থ্রি’ অ্যালবামের জন্য শিল্পী বাছাই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে একটি মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিযোগিতার নানা ধাপ পেরিয়ে সেরা পাঁচে জায়গা করে নেন ঐশী। এই আয়োজনের সেরা প্রতিযোগীদের নিয়ে তৈরি এক অ্যালবামে ‘দখিন হাওয়া’ শিরোনামে একটি গানে কণ্ঠ দেন তিনি। সেই থেকে শুরু। ২০১৫ সালে প্রকাশিত হয় ঐশীর প্রথম একক অ্যালবাম ‘ঐশী এক্সপ্রেস’। ‘মায়া: দ্য লস্ট মাদার’ সিনেমার ‘মায়া’ গানটির জন্য ২০২০ সালে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন ঐশী।

গায়িকা ফাতিমা তুয জাহরা ঐশী। ছবি: ফেসবুক